কালের পরিক্রমায় কসবার রাজনীতি

কসবার রাজনীতি একটি মজবুত ভিত্তির উপর দাড়িয়ে এখন জাতির সেবায় নিমঘœ। রাজনীতির কত রকমের হেরফের দেখে এসে বর্তমানে একটি স্থিতিশীল মেধা ও মননের এবং সততা ও আদর্শের, নতুন পুরানের, অভিজ্ঞ ও অনভিজ্ঞের তারুন্য নির্ভর উর্বর চর্চার বহুবিধ ক্ষেত্র প্রস্তুতে দৃশ্যমান। বিবেদ-বিদ্ধেশ এবং দমন-পীড়নের দিন শেষে নতুন সূর্যের শুভ্র আভায় জ্বলমল করে সেবকের ভুমিকায় যারা অবতীর্ণ রয়েছেন তাদেরকে সাধুবাধ জানাই। সাধুবাধ জানাই এই রাজনীতির নীতি ও আদর্শের ধারক ও বাহক এবং খাতেখড়ি দেয়া শিক্ষক ও ছাত্র এবং সহপাঠিদেরকে। যার হাত ধরে কসবার রাজনীতি হয়েছে স্বচ্ছ ও জনমুখী, জনবান্ধব, কল্যাণকামী, ন্যায় পরায়নতাই পূর্ণ এবং সততায় উজ্জ্বীবিত, সেবার মানদন্ডে দন্ডায়মান আলোকবর্তীকা হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে তিনি আর কেউ নন, তিনি হলেন আমাদের এডভোকেট আনিছুল হক। যার আর্ভিভাব না ঘটলে মানুষ অতৃপ্ত ও অপূর্ণ থেকেই বিদায় নিতে হতো- আর এই অভাব অনুভবে যারা বিগত দিনে মর্মে মর্মে উপলব্দি করে গত হয়েছেন। তাঁরই যোগ্য সাহায্যকারী হিসেবে আবিস্কৃত হয়েছেন এমনকি বাস্তবে স্বচ্ছ ভাবমূর্তীর মানব দরদী রাজনীতির ফেরিওয়ালা খ্যাত জীবন্ত প্রতিচ্ছবি হিসেবে দৃশ্যমান রয়েছেন জনাব রাশেদুল কাওসার জীবন সাহেব। এই কসবাকে তারা সম্মানের সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে দেয়ার জন্য রাতদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। যার সুফল ইতিমধ্যে ভোগ করে যাচ্ছেন আমার প্রিয় কসবা- আখাউড়াবাসী।


দুর্দীনের কান্ডারীগণ যে গতিতে সামাজিক ন্যায়পরায়নতা বিরাজমান রাখার সংকল্পে এগিয়ে যাচ্ছেন সেই কর্মকান্ডের গতিময়তায় ফাটল ধরাতে এখনো কোন কোন মহল নিরবে নির্ভৃতে কাজ করে যাচ্ছেন। সেই কাজের ধারাবাহিকতা হল এমন যে, এরা জনাব আনিছুল হকের নাম ব্যবহার করেই বিভিন্নভাবে এমনকি তৃণমূলের নাম ব্যাবহার করেও নেতিবাচক কাজের বীজ বপন করে যাচ্ছেন বা করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কারণ একটাই আনিছুল হকের নাম ব্যবহার না করলে এলাকার মানুষ গ্রহণ করবে না এমনকি কোন কাজ গ্রহণযোগ্যও হবে না। তাই জনাব আনিছুল হকের নাম ব্যবহার করেই ঐসকল গুণেধরা, আরশোলা, শোয়াপোকা (তুরখোলা), ওইপোকাগুলো একত্রিত হতে চেষ্টা করে এমনকি কাজ করে যাচ্ছে। জনাব আনিছুল হকের ক্যারেশমেটিক গুণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বার্ণালী যুগে বর্তমানে কোন বিরোধী দল বা মত নেই; বরং আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ সংগঠনগুলোকেই রাজনীতির মাঠে ময়দানে বিচরন করতে দেখা যায়। কারন একটাই জনাব আনিছুল হক তার সততা ও ন্যায়পরায়নতার জাদুর দৃষ্টান্তে কসবা আখাউড়াবাসীকে একত্রিত করেছেন শেখ হাসিনার উন্নয়ন মূলমন্ত্রে। এলাকার সাধারণ মানুষ দল মত নির্বিশেষে এগিয়ে যাচ্ছেন শেখ হাসিনার উন্নয়নের মহাকার্ব্যরে গতিময়তায়। যেহেতু বিরোধী দল নেই বা বিরোধী মতের কোন সামাজিক গ্রহণযোগ্যতাও নেই; তাই আওয়ামী লীগকে এমনকি এর অঙ্গ সংগঠনগুলোকে আরো সতর্ক হয়ে কাজ চালিয়ে যেতে হবে। নতুবা ঐ পূর্বের কথাটি বাস্তবে রূপ লাভ করার সমূহ সম্বাবনা থাকবে। “আওয়ামী লীগই আওয়ামী লীগের শত্রু।” এই কথাটি যেন বাস্তবায়ীত না হই সেইজন্য সকলেই গ্রহনযোগ্যভাবে মিলেমিশে ঐকান্তিকভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে সচেষ্ট থাকতে হবে।
গুণেধরাদের কুমতলবের শুভক্ষণেই যেন ভাটা পড়ে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। তবে সামাজিকভাবে মানুষ ঐ ওইপোকাদের মতলব আচ করতে পেরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন মতামত প্রকাশ করেছে, যা দেখে আমি নিজেও অনুপ্রাণীত হয়েছি এই মতামত তুলে ধরতে। আমি অতিতের ন্যায় এবারও প্রথম প্রতিবাদকারী ঐ গুণেধরাদের বিরুদ্ধে। তাদের চিন্তা হলো একটি প্লাটফর্ম তৈরী করা এবং ওইপোকাদের দলভারী করে আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে এর প্রকাশ ঘটানো। বিশেষ করে আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তাদের পক্ষের লোকদের বিজয়ী করে একটি শক্তিশালী দলে নিজেদেরকে পরিণত করা এবং পরবর্তী নির্বাচনে এর শক্তি প্রদর্শন করে ইতিবাচক রাজনীতির বদলে নেতিবাচক রাজনীতির পুরোনো চর্চা ফিরিয়ে আনা। আমি এমনও শুনেছি যে, তারা পিছপা হবে না যদি প্রয়োজন হয় কয়েক হাজার শত কোটি টাকা বিলিয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে একটি শক্তিশালী ও মজবুত প্লাটফর্ম তৈরী করবে। যেটি ভবিষ্যতে আমাদের বিরুদ্ধে (জনাব আনিছুল হকের) শক্তিশালী ভুমিকা পালন করবে। যদিও এটি শুনতে হাস্যকর এবং লোভীদের নিবুদ্ধিতার পরিচায়ক। তারপরও বলি এবং বলব ঐ ষঢ়যন্ত্র সফল হবে না এমনকি আগেও হয়নি। অনেকতো করেছেন ফল কি হয়েছে বলতে পারেন? বৃক্ষ তার পরিচয় কি —– ফলে? সুতরাং অপেক্ষা করুন অচিরেই ফল দেখতে পাবেন।
চক্রান্তকারীরা যতই দুর্বল হউক না কেন আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে এবং তাদের সকল চক্রান্তকে সমুলে ধুলিসাৎ করে আমাদের সকল কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করে এগিয়ে যেতে হবে। আগষ্টের নৌকাবহর যে উদ্দেশ্যেই হউক না কেন তার পুনরাবৃত্তি ঘটানোর আর সুযোগ দেয়া সুখকর হবে না। ঐ গ্রুপে যারা যারা যুক্ত রয়েছে প্রকাশ্যে এবং অপ্রকাশ্যে এমনকি অর্থের যোগান দাতাদেরও তালিকা করে তাদের সকল কার্যক্রমে নজরদারী করে সক্রিয় থেকে ওনাদের সকল কর্মকান্ডের জবাবদিহিতার আওতায় এনে দৃষ্টিনিবন্ধ স্থির করে রাখতে হবে। নতুবা সত্যের, ন্যায়পরায়নতার, আদর্শের এমনকি দলের, উন্নয়নের গতিশীলতার ভাটা পড়বে অথবা চলমান ধারাবাহিকতায় ছেদ ঘটবে। এখানে উল্লেখ্য যে, ঐ ওইপোকার দলের পাল্লা ভারির তরে তারা এও পরিকল্পনা এটেছেন যে, বিএনপির লোকজন তাদের সঙ্গে ভিড়বে, জামাতপন্থিরাও তাদের সঙ্গে ভিড়বে আর বাকি রইলো ঐ প্রকাশ্যে শাহালমপন্থীরা। এই চতুরঙ্গের মিলনে জনাব আনিছুল হক সাহেবের মজবুত ভিত্তিতে ঝাকুনি দিতে তারা মরিয়া হইয়া ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রহিয়াছে। এই ষড়যন্ত্রের অবসানকল্পে ঐক্যের বিকল্প নেই এমনকি আমাদের সক্রিয় রাজনীতির উদারতার পরিবর্তে কঠোরতা প্রদর্শনেরও বিকল্প নেই। যেহেতু ঘরের শত্রু বিভিষণ সেহেতু এই বিভিষনকে চিহ্নিত করে অকার্যকর করার তরে নিয়োজিত থাকতে হবে।
সুুস্থ্য ধারার রাজনীতির বাহক ও কর্ণধারদের উত্তরাধিকার জনাব আনিছুল হককে আরো শক্তিশালী অবস্থানে নেয়ার তরে আমরা সকলেই প্রস্তুত এবং আরো কঠোর ও কঠিন ইতিবাচক কর্মসূচী প্রনয়ন করে সামাজিক ব্যাষ্টনির গাথুনি মজবুত করব। জনাব এ বি সিদ্দিক, এডভোকেট সিরাজুল হক বাচ্চু মিয়া গংদের ধারাবাহিকতায় আজও আমরা এগিয়ে আর এই এগিয়ে যাওয়ার বর্তমান কান্ডারী জনাব আনিছুল হক। আমরা একত্রিত ও ঐক্যবদ্য ঐ আনিছুল হক ছায়াতলে আর এডভোকেট রাশেদুল কাউছার জীবন সাহেব হলেন আনিছুল হকের নিযুক্ত রাজনীতির ফেরিওয়ালা; যার ভুমিকা রাখাল হিসেবে সকলকে সততায়, ন্যায়পরায়নতায়, ভালবাসায় এমনকি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতায় আগলে রাখা। এই মানুষদ্বয়ের সমন্বয়েই আজ কসবা আখাউড়া প্রজ্জ্বলিত আলোকবর্তিকার দৃষ্টান্তবাহি। আসুন আমরা সকলে মিলে এই আলোকবর্তিকার ধারক ও বাহক হই। ধারাবহিক এই লিখা চলমান থাকবে॥

Leave a Reply

Your email address will not be published.