প্রশান্তি ডেক্স ॥ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ছাত্রলীগ-যুবলীগ প্রতিদিনই বিভিন্ন মানুষ হত্যা করে যাচ্ছে। নারীরা সম্ভ্রম রক্ষা করতে পারছে না। বাসে, স্কুলে গেলেই তারা সর্বোত্তম নির্যাতিত হচ্ছে। সেসকল প্রতিটি অপকর্মের সাথে একজন আওয়ামী লীগার পাবেন।
গত সোমবার (১৭ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল কর্তৃক খুন-গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার বিরুদ্ধে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আজকে মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে আমরা এখানে এসে দাঁড়িয়েছি। কে হত্যা করেছে সিনহাকে? আমি প্রদীপ দাস এবং লিয়াকতকে যতটুকু দোষী মনে করি তার চাইতে বেশি দোষী এই আওয়ামী লীগ সরকার। তারা তাদের গদি টিকিয়ে রাখার জন্য এই বাহিনীকে বিচারবহির্ভূত হত্যার লাইসেন্স দিয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের পরিস্থিতি এখন ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের পরিস্থিতি। সবকিছুর সীমা ছাড়িয়ে গেছে। দেশ রক্ষা করার দায়িত্ব সামরিক বাহিনীর। সামরিক বাহিনী দেশ রক্ষা করবে কী! তারা নিজেদেরকে রক্ষা করতে পারছে না। পুলিশ বাহিনীর দায়িত্ব জনগণকে রক্ষা করা। আজকে নিরীহ জনগণকে তারা প্রতিদিন গুলি করে মারছে। আজকে একজন মেজর হত্যা হওয়ায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু এরকম ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, এই যে সিনহা হত্যাকাণ্ড এটিকে আমরা কোনো রাজনৈতিকরণ করতে চাই না, আমরা অপেক্ষা করে দেখব। আমরা আশা করব প্রধানমন্ত্রী যে কথা বলেছেন এর সুষ্ঠু বিচার হবে। যদি সুষ্ঠু বিচার না হয় আমরা প্রধানমন্ত্রীকে দায়ী করবো। তার কারণেই সিনহার পরিবার হত্যার বিচার পায়নি। আমরা অপেক্ষা করে রইলাম। এই বাংলাদেশ থাকবে এ রাজপথ থাকবে।
তিনি বলেন, এই দেশ আজ দুই নম্বরে ছড়াছড়ি। একটু আগে আমাদের বন্ধু সাদেক হোসেন খোকার পুত্র ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক বক্তব্য দিয়েছেন। যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হতো তাহলে তিনিই ছিলেন ঢাকা দক্ষিণের মেয়র। আমার ডানে বামে আলাল মান্নাসহ অনেক নেতৃবৃন্দ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন কিন্তু নির্বাচন পর্যন্ত আসতে দেয়নি সরকার। দলীয় প্রার্থীদের বাক্স ভরে একটি দুই নম্বরি সরকার এবং একটি দুই নম্বরি পার্লামেন্ট তারা কায়েম করেছে।
হাফিজ বলেন, মুক্তিযোদ্ধের সময় ৮০ হাজার মুক্তিযোদ্ধা ছিল। আওয়ামী সরকারের চক্রগতির ফলে তা বেড়ে এখন আড়াই লক্ষে পর্যবসিত হয়েছে। প্রতিদিন নতুন মুক্তিযোদ্ধা জন্ম নিচ্ছে। যে কারণে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি জনগণের ক্ষোভ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানানোর জন্য সময়ের সাহসী সন্তানেরা আজ রাজপথে এসে দাঁড়িয়েছে। এখানে যারা উপস্থিত হয়েছেন এরাই হলো বাংলাদেশের সাহসী সন্তান। টেলিভিশনে অনেক বুদ্ধিজীবী দেখা যায় আজকে কোথায় তারা?