প্রশান্তি আন্তজার্তিক ডেক্স ॥ কাশ্মীর ইস্যুতে ফের ভারত বিরোধী অবস্থান নিয়েছে তুরস্ক। বলা হচ্ছে, মূলত পাকিস্তানের সুরে সুর মিলিয়ে পাক ভাষায় কথা বলছে তুর্কী। গত ৫ আগস্ট থেকে তুরস্কের গণমাধ্যমগুলো এ নীতিতে কাজ শুরু করেছে।
এর আগেও একই প্রস্তাবে পাকিস্তান দাবি তুলেছে, অবৈধভাবে জম্মু-কাশ্মীর দখল নিয়েছে ভারত। সেই সুরেই তুর্কীর নতুন নীতি হয়েছে ‘অবৈধভাবে জম্মু-কাশ্মীর দখল করেছে ভারত’। আর সেই শিরোনামে এগিয়ে চলছে দেশটির গণমাধ্যমগুলো। আর গত ৪ আগস্ট থেকে তুর্কির জনগণ এই টার্মটির ব্যবহার শুরু করেছে।
তবে জানা যায়, এর আগেও তুর্কি ভারত বিরোধী অবস্থান নিয়েছিল। তারা বরাবরই বলেছে, ভারত জম্মু-কাশ্মীরের অবৈধ দখলদারিত্ব চালায়। এ ঘটনার পর হিন্দুস্তানে তর্কীর জাতীয় গণমাধ্যম আনাদুলুর সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছিল ভারত। পরবর্তীতে তুর্কির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওই সংবাদ মাধ্যমকে আরও তীব্র গতিতে এগিয়ে যেতে উৎসাহ দেয় এবং ‘ভারতের অবৈধ জম্মু-কাশ্মীর দখল’ এ নীতিটির ব্যবহার বারিয়ে দেয়।
খবরে বলা হয়, এসব নীতির ব্যবহারের ফলে পাক-তুর্কির মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠে। বলা হয়, এটি নতুন কিংবা আকস্মিক কোন ঘটনা নয়। এটি পূর্ব পরিকল্পিত।
ভারতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের এক কেন্দ্রীয় বিবৃতিতে বলা হয়, অন্যান্য মুসলিম দেশগুলো যখন নিরপেক্ষ আচরণ করে তখন তুরস্ক ও পাকিস্তান ভারতের পদক্ষেপের প্রকাশ্যে বিরোধিতা করে। এতে ইঙ্গিত দেয় যে ইসলামী দেশগুলির মধ্যে বিভাজন আরও প্রসারিত হচ্ছে। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক ইস্যু হিসেবে বিবেচনা করে।