প্রশান্তি ডেক্স ॥ আগামী ৩০ সেপ্টেবরের মধ্যে অ্যাডহক ভিত্তিক নিয়োগসহ ১৪ দফা দাবি জানিয়ে গত বুধবার (২৬ আগস্ট) আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতি (সকশিস)। জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন করে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০১৬ সালের মে মাসে ৩০২টি বেসরকারি কলেজকে সরকারিকরণ করা হয়। এরপর কমিটি গঠন, পরিদর্শনসহ নানা কাজের নামে দীর্ঘ সময় ক্ষেপণ করা হয়। পরবর্তীতে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করার লক্ষে মাউশি থেকে প্রদত্ত কাগজপত্রের চাহিদাপত্রসহ সকল শিক্ষক-কর্মচারী ও প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র ও তথ্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি) জমা নেয়। এসব কাগজপত্র ও সফট্ কপি বিবেচনায় না নিয়ে পুনরায় তৃতীয় ধাপে গত বছরের জুন মাসে মাউশিতে মূল কাগজপত্র দেখে যাচাই-বাছাই করে শিক্ষক-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে নানা ধরণের অযাচিত মন্তব্য লিখে শিক্ষকদের জাতীয়করণ থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করা হয় বক্তব্যে। সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, একই ব্যক্তি কাগজপত্র বারবার যাচাই-বাছাইয়ের নামে সময়ক্ষেপণ ও দীর্ঘসূত্রিতার কারণে শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকারিকরণের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের বাড়তি টিউশন ফি পরিশোধ করতে হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রায় চার হাজার শিক্ষক কর্মচারী সরকারিকরণের সুযোগ সুবিধা না পেয়েই অবসরে চলে গেছেন। বর্তমান ২৯৯টি কলেজের ক্ষেত্রে বর্তমান কর্মরতদের মধ্যে যাদের বয়স ৫৯ বছর পূর্ণ হয়েছে তাদের নাম কর্তন করে পদ সৃজনের প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। যা অযৌক্তিক, অমানবিক, বৈষম্যমূলক, নিয়ম বর্হিভূত ও অধিকার লংঘন করা হবে। এছাড়াও
সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক ও কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা ২০১৮ না মেনে আত্তীকরণ করার চেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ করা হয়। শিক্ষকদের দাবি আদায়ে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অ্যাডহক নিয়োগ, আত্তীকরণ থেকে কাউকে বঞ্চিত না করা, অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের মধ্যমে কাগজপত্র যাচাই করণ, শিক্ষা ক্যাডারের সংযুক্তি শিক্ষকদের প্রত্যাহার ও বদলি বন্ধকরণ, যোগদানের দিন থেকে শতভাগ গণণাসহ ১৪ দফা দাবি জানানো হয়। তাদের দাবি মেনে নেয়া না হলে আগামী ২৬ আগষ্ট প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন প্রদান, ২৬ থেকে ৩১ আগষ্ট স্থানীয় সংসদদের আবদেন জমা দান, মত বিনিময়, পহেলা সেপ্টেম্বর দেশব্যাপী গণসংযোগ, ৪ অক্টোবর ৬৪ জেলা সদরে ও জেলা প্রশাসকের অফিসের সামনে মানববন্ধন এবং ১১ অক্টোবর ঢাকায় মানববন্ধন পালনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিতভাবে দাবি তুলে ধরেন সরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতির (সকশিস) সহ-সভাপতি জাকারিয়া মাহমুদ, সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সংগঠনের সভাপতি জহুরুল ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ-সভাপতি নছরুল আযম, অনুপ রায়, মহি উদ্দিন বাবুল ও মো. রফিকুল ইসলাম; সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক দিপু কুমার গোপ, যুগ্ম সম্পাদক আবু ইসাহাক, মো. রুহুল আমিন ও আ ন ম রিয়াজ; সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল হাসান পাঠান ও মনিরুল ইসলাম। এছাড়া কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতারা উপস্থিত ছিলেন।