করোনার রূপ বদল এবং বর্তমানের হালচাল

করোনা ভাইরাস নিয়ে নানান জনের নানাম মত ও পথ এবং ব্যবসা। কিন্তু সাধারণ মানুষের মনে এর কোনটাই নেই। তবে বর্তমানে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসটি নতুন সংস্করণে আক্রমনে আসছে যা অতি সাধারণ ও অল্প সময়ের জন্য তবে যাদের ইউমুনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল অথবা অন্য কোন রোগে আক্রান্ত ও বয়স্ক তাদের জন্য এই একটি কষ্টকর অভিজ্ঞতা এবং দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার প্রয়োজন। কথায় আছে একবার করোনা হলে আর হবে না কিন্তু তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। করোনা এন্টিবডি বেশীদিন কাজ করে না। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে এর মাত্রা নির্ভর করে সচেতনতার উপর। আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি যে, গত ৬ মাস আগে আমার পরিবারের সবারই করোনা হয়েছিল এবং ঘরোয়া চিকিৎসায় আমরা সেরে উঠেছিলাম কিন্তু ঠিক ছয়মাস পর আবার করোনা আমার পরিবারের সবাইকে আক্রমন করে এবং এইবারের আক্রমনের ধরন সম্পূর্ণ রূপ পাল্টিয়ে নতুন আঙ্গিকে। তবে পরিবারের সবাই একদিন বা দুইদিন ভোগার পর সুস্থ্য তবে আমার ক্ষেত্রে সময় নিয়েছে ২০দিন। তাই করোনাকে গভীরভাবে চিনা ও জানার ক্ষেত্রে আমার অভিজ্ঞতা অন্যসকলের চেয়ে একটু বেশীই বলা যায়। তবে আমি করোনাকালীন গভেষনা করেছি এবং এর সম্পর্কে যে অভিজ্ঞতা হলো তা সাধারণ সর্দিজ্বর, ভাইরাসজনিত জ্বর ও কাশির চেয়ে এর বেশী কিছু নয়। তবে শরীরের ব্যাথা, গলাব্যাথা, নাক বন্ধ হওয়া এমনকি শ্বাস প্রশ্বাসে কষ্ট এইগুলি কাটিয়ে উঠা খুবই সহজ। তবে আমাদের দেশের ডাক্তারী চিকিৎসা খুবই ভাল এবং দুইবারই আমাদের ডাক্তাদের ঘরোয়া ও পারিবারিক চিকিৎসায় সম্পূর্ণ সুস্থ্য।
করোনাকে নিয়ে কোন চিন্তার কারন নেই। কারন করোনা এখন বাংলার আকাশে ও বাতাসে এমনকি ঘরে ঘরে, অলিতে গলিতে নেচে বেড়াচ্ছে। খোলস পাল্টীয়ে মানুষকে আঘাত করছে এবং সেই আঘাতের প্রতিক্রিয়ায় করোনা পরাভুত হচ্ছে। বাংলার মানুষ পারেনা এমন কোন বিষয় পৃথিবীতে এখনও আবিস্কার হয়নি। বাংলার মানুষ সবই পারে এবং পেরেছে একদিন বিশ্বকে জয় করে বাংলার ঘরে ঘরে স্বীকৃতি প্রতিস্থাপিত হবে। সরকারের আন্তরিকতা এবং জনগনের সার্বিক সহযোগীতা এখন ঘনীভুত হয়ে সকল প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ দূরীভূত হয়ে এক নতুন বাংলাদেশ সুপ্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর দেখানো ও শিখানো পথে শেখ হাসিনার দুরদর্শীতা এবং যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত বাংলাদেশকে বিশ্ববাসী নতুন করে চিনতে পারছে। বাংলাদেশ এবং বাঙ্গালী জাতিকে দাবিয়ে রাখার কোন শক্তি পৃথিবীতে আজও আবিস্কৃতি হয়নি তাই এই জাতি এগিয়ে যাচ্ছে এবং যাবে সকল অসিম ও সসিমকে পরাভুত করে।
দুর্যোগের কোন কমতি ছিলনা এবং দুর্যোগ থাকবে এরই মাঝে বেঁচে থাকার প্রেরণা ও প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে আর এই প্রেরণার নাম বাঙ্গালী। পৃথিবীতে বাঙ্গালী আছে বলেই আজ বিশ্ব টিকে থাকার এবং শান্তিতে থাকার ও নিজ নিজ অবস্থান থেকে স্বস্তিকর অবস্থানে এগিয়ে যাওয়ার দৃষ্টান্তটুকু স্বচক্ষে দেখতে পাচ্ছে। বাংলা ও বাংগালী এখন পৃথিবীর দর্পন। তাই আসুন আমরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরেকটু সচেতন হই এবং সকল ইতিবাচকতাকে স্বাগত জানিয়ে সামনে এগিয়ে যাই। সকল নেতিবাচকতা এবং এর বিরুপ প্রতিবন্ধকতাকে ইতিবাচক মনোভাবে জয় করে সামনের শ্রেষ্টত্ব বজায় রেখে নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করি। সমাজে এখনো যে নৈরাজ্য এবং বিশৃঙ্খলা বিরাজমান রয়েছে তার অবসান করি এবং সাম্যের ভিত্তিতে নিজেদেরকে একে অপরের জন্য গেঁথে তুলি। করোনা যে শিক্ষা দিয়েছে তার চর্চা বন্ধ করে মানুষের মানবিক গুণাবলিগুলিকে চর্চায় নিয়ে আসি এবং ভালবাসা ও ক্ষমায় এমনকি আবেগ ও বিবেকের তাড়নায় কাজ করি। অর্থ এবং সম্পদ এই দুই—ই যে মানুষের কল্যানের তরে কোন কাজে আসে না তা এই করোনাযুগে প্রমান হয়েছে; তারপরও যারা এখনও এই উপলব্দিগুলি সচল করতে পারেননি তাদেরকে বলছি আর নিজেদের সর্বনাশ করিবেন না বরং সর্বনাশা সর্বনাশ থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করার এখনই সময়।
শিক্ষাক্ষেত্রে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া সময়ের দাবি তবে এই দাবি বাস্তবায়নে আমরা পিছিয়ে পড়ছি তাই আশু পদক্ষেপ নিয়ে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করুন। আইন ও আদালতকে আরো সহজ করে তুলুন। প্রসাশন এবং ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষায় কাজ করুন। নিরীহ মানুষকে বাঁচাতে সর্বদা সজাগ থাকুন। যে আজ নিরীহ সে কাল সবলে পরিণত হয় তাই নিরীহ নির্বাচনে চোখ কান খোলা রেখে অগ্রসর হউন। অন্যের কথায় কারো সর্বনাশ করবেন না বরং নিজের বিচার বুদ্ধির উপর ভরসা করে সকল পদক্ষেপ সম্পন্ন করুন। এই ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টান্ত অনুসরন করে কাজ করুন। বঙ্গবন্ধুর সরকারে থেকে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে, তার নীতি ও আদর্শের সঙ্গে বেঈমানী করবেন না। তাহলে ইতিহাস কখনো ক্ষমা করবে না এমনকি প্রকৃতি ও ইতিহাসের কাঠঘড়ায় আপনার শস্তি অবধারিত। বঙ্গকন্যা বাংলার ভরসা এবং বিশ্ব বিবেক বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনা যিনি ইতিমধ্যে অনেক খ্যতি অর্জন করেছেন এবং বিভিন্ন পুরস্কার ও উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন সেই মহানায়কের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষনা করুন এবং ব্যক্তিস্বার্থ ও লোভ-লালসার উদ্ধে উঠে কাজ করুন। এই হউক আমাদের আগামীর পথচলার ব্রত।

Leave a Reply

Your email address will not be published.