সময়ের কাজ সময়ে করাই শ্রেয়। একটি দেশের উন্নয়নের জন্য চোখ কান খোলা রেখে পরিকল্পনা অনুযায়ী অভিষ্ট লক্ষ্যের দিকে মনোযোগে এগিয়ে যেতে হবে। তবে কে কি বলল বা ভাবলো তাতে কান দেয়া যাবেনা এমনকি সময়ও নষ্ট করা যাবে না। পাছে লোকে কি বলে তা শোনার ও দেখার সময় এখন নেই। তাই নিবৃতমনে এগিয়ে যেতে হবে। তাহলেই দেশের উন্নয়ন সাধিত হবে এবং তরান্বিত হবে আমাদের উন্নয়ন ও অগ্রতির স্বীকৃতি। এই লক্ষ্য নিয়েই বর্তমান সরকার তাদের কার্যক্রম পরিচালিত করে যাচ্ছে। কিন্তু পথিমধ্যে থমকে দাঁড়ানোর মত কাজ করে বসছে অনেকেই। এই কাজগুলোকে গুছিয়ে পরিপটি করতে হিমসিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষগুলো এমনকি সরকার নিজেও। কি করতে হবে, কখন করতে হবে, কিভাবে করতে হবে এমনকি নিয়ন্ত্রণের ঝান্ডা চলমান রাখার জন্য আরো গভীরভাবে কাজ করতে হবে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে নজরদারি বাড়াতে হবে এমনকি পাবলিক সম্পৃক্ততা বাড়িয়ে অন্যায়কে নিয়ন্ত্রন করতে হবে। এই সদ্য পিয়াজ কারসাজির খেলা শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রণের আওতায় আনতে হবে। গত বছরের নেতিবাচক অভিজ্ঞতার পুনরাবৃত্তি ঘটানো যাবে না এমনকি পিয়াজ ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণের লাগাম টেনে ধরে জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে হবে। নতুবা পাবলিক প্লেসে এমনকি আড়ৎ ও দোকানে পিয়াজ বিক্রি বন্ধ করে দিয়ে শুধু সরকার নিয়ন্ত্রণে বাজার ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে হবে। জনগণের কল্যাণের তরে কাজ করে যেতে হবে নতুবা বার বার একই সমস্যার উদয় হলে জনমনে অসন্তোষ সৃষ্টি হবে এমনকি সরকারের জনমতে ধ্বস পরিলক্ষিত হবে। সরকার জনগন ও আমদানীকারকগণ এক কাতারে এসে জনকল্যাণকর কার্যক্রম দৃশ্যমান রাখতে হবে। সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপে এগিয়ে যাওয়ার উপযুক্ত সময় এখনই।
বাজার ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ এখন সময়ের দাবী। করোনাপরবর্তী পদক্ষেপে গুরুত্ব দিয়ে বাজার ব্যবস্থাকে আরো সহনশীল ও নিয়ন্ত্রণ বলয়ে আনতে হবে। জনমনে অসন্তোষের কোনরকম সুযোগ সৃষ্টি করা যাবে না। লোভী ও দৃমুখো সাপের দল থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে হবে এবং সরকারকে নিরাপদে রাখতে হবে। মিডিয়ার দ্বারা পরিচিত মিথ্যাবাদীগণকে বয়কট করতে হবে। নতুবা তারা নতুন নতুন নেতিবাচক পরিকল্পনা এটে সরকার তথা দেশবাসীকে বেকায়দার ফেলে ফায়দা লুটতে পারে।
শিক্ষা ব্যবস্থা সচল করে আগামীর প্রতিযোগীতামূলক বিশ্ব ভবিষ্যতকে নতুনত্ব দিয়ে নিজেদের করায়ত্বে আনতে হবে। নতুবা আমরা যা দেখেছি তাও আর দেখার সুযোগ থাকবে না। তাই প্রতিযোগীতায় টিকে থাকার জন্য এখনই যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়ে কাজে নেমে পড়তে হবে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং মাদরাসাগুলোকে একই আঙ্গিকে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি প্রদান করতে হবে। ভবিষ্যত প্রজন্মকে একঘরে করে রেখে এমরকি জাতির মেরুদন্ডকে ভঙ্গুর করে তোলা থেকে বিরত থাকতে হবে। নতুন পরিকল্পনায় কাজ করে যেতে হবে।