প্রশান্তি ডেক্স ॥ অভিযান চলাকালে কারো ফোন রিসিভ করবেন না বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
গত শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বনানী ১১ নম্বর সড়কে অবৈধ বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড, শপ সাইন, প্রজেক্ট সাইন অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এদিন অঞ্চল-৭ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদের নেতৃত্বে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় প্রায় ৫০টি অবৈধ বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড ইত্যাদি উচ্ছেদ করা হয়। পরে এই সকল বিলবোর্ড সাইনবোর্ড ৪০ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রয় করা হয়।
এসময় মেয়র বলেন, অভিযান চলাকালে অনেকেই আমাকে ফোন করে অনুরোধ করছেন, অনেকে সময় চাইছেন। কেউ বলছেন, আমার সাইনবোর্ডটা ভাঙবেন না। কেউ কেউ আমাকে বলছেন, আপনি তো ফোন রিসিভ করেন না। আমি সবাইকে বলতে চাই, যখন মোবাইল কোর্ট চলবে, অভিযান, উচ্ছেদ চলবে, আমাকে কেউ ফোন করবেন না। ফোন করলেও আমি ধরবো না।

আতিকুল ইসলাম বলেন, আইন এবং নীতিমালার বাইরে এ শহরে কেউ কিছু করতে পারবেন না। যা কিছুই করেন না কেন, সিটি করপোরেশনের পারমিশন (অনুমতি) নিতে হবে। সবকিছুরই আইন আছে, নীতিমালা আছে। কিন্তু আমরা দেখছি কেউ কোনো ধরনের আইন-নীতিমালাকে তোয়াক্কা না করে, যে যার মতো সাইনবোর্ড, শপ সাইন, এলইডি সাইন লাগাচ্ছেন। অভিযানের সময় সবাই বলে, আমরা জানি না। কিন্তু আপনি যখন ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছেন, সেখানে সাইনবোর্ডের মাপও উল্লেখ করা হয়েছে। ৩ ফুট বাই ৪ ফুট সাইনবোর্ডের অনুমোদন নিয়ে যদি ৩০ ফুট বাই ৪০ ফুট সাইনবোর্ড তৈরি করেন, সেখানে যদি এলইডি লাইট লাগানো হয়, সেটা অবৈধ। এভাবে আইন অমান্য করে ঢাকা শহরে আপনারা ব্যবসা করতে পারবেন না। তিনি বলেন, আমরা একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরাট একটি সাইনবোর্ড উঠিয়ে দিয়েছি। বাচ্চারা যখন জানবে তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি অবৈধভাবে সাইনবোর্ড লাগিয়েছে তারা কী শিক্ষা পাবে? এই যে ক্লিনিকটি অবৈধভাবে রাস্তার উপর সাইনবোর্ড লাগিয়েছে, তারা কী চিকিৎসা দেবে? এভাবে সাইনবোর্ড লাগানোর ফলে শহরের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আকাশ দেখা যায় না। অবৈধভাবে সাইনবোর্ড যারা লাগান, তারা নিজেদের অনেক ক্ষমতার অধিকারী বলে মনে করেন। ওনারা ব্যবসা করছেন, ওনারা পয়সা বানাচ্ছেন। তবে অবৈধ কোনো ধরনের সাইনবোর্ড শহরে থাকতে পারবে না।
তিনি বলেন, আমরা এখন গুলশান, বনানী, প্রগতি সরণিতে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছি। আগামী মাসে ডিএনসিসির অন্য এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হবে। এভাবে পর্যায়ক্রমে ডিএনসিসির সকল এলাকায় অবৈধ সাইনবোর্ড উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।