কে এই তসলিম, কি তার পরিচয়

গোপীনাথপুর গ্রামের অত্যান্ত ভদ্র পরিবারে জন্ম নেয়া এক অভদ্র, স্বার্থপর, হিংসুক, লোভী, নিমুকখারাম, চরিত্রহীন, মিথ্যাবাদী উপাধীপ্রাপ্ত স্বসম্মানে সম্মানীত ব্যক্তিটিই হলেন জনাব তসলিমুর রেজা। তিনি স্বউপাধী দিয়ে বড় মাপের নেতা হওয়ার খায়েশ দেখান এবং মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে নিজেই নিজের ঢোল পিটান। আমি যে কথাগুলো লিখলাম তার সবগুলোর প্রমান এবং স্থিরচিত্র আমার সংরক্ষণে সংরক্ষিত আছে। প্রয়োজনে এইসকল সকলের দৃষ্টিতে আনয়ন করা হবে। নেতৃত্বের ইতিবাচক গুনাবলীর কোনটিই তার মধ্যে নেই, বর কথা হলো বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হওয়ার বিন্দু-বিসর্গ যোগ্যতাও পরিলক্ষিত হয়নি। তবে স্বার্থপর ও মিথ্যাবাদী এবং অন্যের সমালোচনাকারী, চরিত্রহীন, নিমুকখারাম, মিথ্যাবাদী হিসেবে ইতিমধ্যে এলাকায় সুনাম ও সুখ্যাতি অর্জন করেছেন।
তিনি তিতাস গ্যাস কোম্পানীতে চাকুরী করেন এবং নিয়োগ বানিজ্যের পসরা সাজিয়ে বিলাসবহুল অট্টালিকার মালিক এমনকি নামে বেনামে অনেক সম্পদের অধিকারী হয়েছেন। জনাব খাশেম খান এর সৌজন্যে এবং ওনার মামা ও মায়ের আকুতি-মিনতিতে তিতাসের চাকুরীটি পেয়েছিলেন। জনাব খাশেম খান ছিলেন তিতাসের সাবেক এমডি এবং জনাব তসলিমুর রেজা সাহেবের খালাতো ভাই। কোন যোগ্যতায় নয় বরং দয়ার বদৌলতেই আজকের অবস্থান। খাসেম খান বর্তমানে স্ব পরিবারে ইউএসএ বসবাস করছেন।
পারিবারিক ঐতিহ্যকে জলাঞ্জলি দিয়ে মিথ্যাকে পুজি করে অন্ধকার জগতের ক্রিতদাসদের রাজা হিসেবে নিজেকে প্রকাশ করতে যা যা প্রয়োজন তার সবটুকুই তিনি করেছেন। মদ, নারী, ঘোষ, মধ্যস্থতাকারীর ব্যবসা, আওয়ামী ক্ষমতার দাপদ দেখিয়ে মন্ত্রী, এমপির নাম ভাঙ্গিয়ে উপরি আয়ের নেতিবাচক ব্যবস্থা তিনি পাকাপোক্তভাবেই করেছেন। ভাইয়ে ভাইয়ে দ্বন্ধের নেতিবাচক কলঙ্ক মাখা জীবন নিয়ে সম্মানীতদের অসম্মান করার যাবতীয় কার্য তিনি সিদ্দি করে ফেলেছেন। উপকার নিয়ে তাদের সমালোচনা, নামে বেনামে এবং বিভিন্ন মাধ্যমে ও কৌশলে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। এমপি হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। স্থানীয় মেম্বার হওয়ার যার কোন যোগ্যতা নেই সেই কিনা এমপি হওয়ার স্বপ্ন দেখেন? তিনিতো গায়ে মানে না আপনি মোড়ল! রাজনীতির মাঠে তিনি বা তিনার কোন ভুমিকা নেই এমনকি এলাকার মানুষ তিনাকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে। তবে লাজ-শরমহীন এক জ্বড় বস্তুতে তিনি বর্তমানে পর্যবসীত হয়েছেন। আগামী সংখ্যায় বিস্তারিত ছবি, সনসহ এবং উনার ভাল-মন্দের ফিরিস্তি তুলে ধরব। ওনার মত মহান মানুষের কৃতি প্রকাশই আমাদের নৈতিক ঈমানী দায়িত্ব।
তিনি একজন ভদ্রচিত অভদ্র তাই সকল ইতিবাচক কল্যাণকামী মানুষের সমালোচনা এবং পিছো নিয়ে নেতিবাচক পরিকল্পনা আটছেন। কসবার রাজনীতি, উন্নয়ন, স্বচ্ছতা, ন¤্রতা, ইতিবাচক কল্যাণকামী জনবান্ধব নেতাকে নিয়ে নেতিবাচক পরিকল্পনা এটে মাঠে নেমেছেন। যিনি আজ কসবাকে সম্মানের সুউচ্চ শিখরে তুলেছেন, বিশ্ব দরবারে কসবার পরিচিতি তুলে ধরেছেন সেই মহামানব জনাব আনিছুল হক সাহেবের প্রতিদ্বন্ধি হয়েছেন। তাও আবার গোপনে; আনিছুল হকের নাম ব্যবহার করেই। এলাকায় অবাঞ্চিত এবং জীবন নিয়ে পালানোর কোন সুযোগ থাকবে না যদি জনগণ বুঝতে পারে তিনার কুমতলব। তবে আমার পুর্বের প্রতিবাদ এবং বর্তমান লিখায় মানুষ সচেতন হয়ে এই কুলাঙ্গারকে ভয়কট করবে অচিরেই। তিনি পরিকল্পনা এটেছেন ধীরে ধীরে সমগ্র এলাকায় আনিছুল হক বিরোধী গ্রুপ তৈরী করবেন এবং আগামী ইউপি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচিত করে সঠিক সময়ে ব্যবহার করার। সেই লক্ষ্যেই এলাকায় তিনি এবং তিনার দলের সকলে মিলে বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নেন। তবে সব কর্মসূচীতেই মন্ত্রীমহোদয়ের নাম ব্যবহার করেন। গত ঈদের পরে তিনি নৌকাবাইছ তামাসা করেছেন; যা আগষ্ট মাসের অমর্যাদার সামিল। এবার আবার তৃণমূলের নামে পদবঞ্চিতদের উস্কিয়ে চা চক্রের আয়োজন ও আলোচনার ব্যবস্থা করেছেন। এতেও আবার মন্ত্রীমহোদয়ের নাম ব্যবহার করেছেন। ঘটনাচক্রে এই আয়োজন আবার স্থগিতও হয়েছে। কি করবেন উনি? উলুর পাখ উঠলে আগুনে পুড়ে মড়ে; বোকা মানুষ চালাক হলে উপায়হীনভাবে পানিতে ডুবে মরে। সামনে ওনার ত্রাহী ত্রাহী সময় আসছে।
এইতো কিছুদিন আগেও তিনি বিভিন্ন মামলায় জর্জরিত ছিল এবং চাকুরী চলে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিন। কিন্তু সেই তসলিম সাহেব তখন মাননীয় আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী মহোদয়ের দয়ায় জীবনে রক্ষা পেয়েছেন। আর আজ এই প্রতিদান দিতে তিনি মরিয়া হয়ে উঠেছেন। সম্মানিত উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব রাশেদুল কাউছার জীবন সাহেব উনাকে যথেষ্ট সহযোগীতা করে মামলা থেকে মুক্ত করেছেন কিন্তু তিনি সেই মানুষটির সমালোচনায় মুখর। একেই বলে নিমুকখারাম। কথায় আছে উপকারীকে বাঘে খায়। তবে এই ক্ষেত্রে উপকারভোগীকেই বাঘে খাবে। কসবার রাজনীতি, উন্নয়ন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা, ভাতৃপ্রতিম সহবস্থান এবং কর্মসংস্থানের রেকর্ড অর্জনকারীদেরকে নিয়ে কেউ কোন মন্তব্য করলে তার জীবন্ত করব হবে এটা আমার বিশ্বাস। তবে প্রকাশ্যে না করে গোপনে করায় এখনও প্রাণে বেঁচে আছে।
আমার বিশ্বাস কসবার সাধারণ মানুষ এবং আওয়ামী পরিবারের সদস্যগণ একযোগে এখন এই আগাছা ও পরগাছাদের নিড়ানির মাধ্যমে পরিস্কার করে এলাকাকে নিষ্কলুষ করবে এবং মাননীয় আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রীমহোদয়কে এবং উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব রাশেদুল কাউছার জীবন সাহেবকে নিয়ে কসবার স্বর্নোজ্বল অধ্যায় উপভোগ করবে। যে যাত্রা বহমান সেই যাত্রাই কসবার সকল মানুষ দল মত নির্বিশেষে আনিছুল হকের ঐকান্তিক নিস্বার্থ কর্মী হিসেবে নিয়োজিত রয়েছে। তাই ঐ তসলিমুর রেজা গংদের অবাঞ্চিত এবং বিতাড়িক করা সময়ের দাবি। জয় হউক কসবা বাসীর এবং আগামীতে সময় করো আরো বিস্তারিত প্রমানসহ লিখব।

Leave a Reply

Your email address will not be published.