প্রশান্তি ডেক্স ॥ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বিভিন্ন এলাকায় এলজিইডি’র পাকা সড়কপথ পুকুরে ধসে যাচ্ছে। সরকারি বিধি না মেনে সড়ক ঘেঁষে ব্যক্তি মালিকানায় পুকুর খননে সড়কের এ ক্ষতি হচ্ছে। সড়কের ক্ষতিতে সুষ্ঠু ও সহজ চলাচল ব্যহত হচ্ছে।
এদিকে, সড়ক রক্ষায় গাইড ওয়াল নির্মাণে অনেক পুকুর মালিক বাধা দিচ্ছে বলে জানা যায়। উল্লাপাড়া উপজেলায় এলজিইডি থেকে গত ক’বছরে অনেকগুলো গ্রামীণ সড়ক পাকাকরণ হয়েছে। নতুন উদ্যোগে আরো কাঁচা সড়ক পাকাকরণ হচ্ছে। আগামীতে পর্যায়ক্রমে গ্রামীণ কাঁচা সড়কগুলো পাকা করা হবে বলে জানানো হয়।
উল্লাপাড়ার বিভিন্ন ইউনিয়নে এলজিইডি’র সড়ক ঘেঁষে বহু সংখ্যক পুকুর রয়েছে। এর মধ্যে রামকৃষ্ণপুর, সলংগা, পূর্ণিমাগাঁতী, কয়ড়া ইউনিয়ন এলাকায় সড়ক ঘেঁষে বেশি সংখ্যক পুকুর আছে। সড়কপথ ঘেঁষে প্রতি বছরই একের পর এক নতুন পুকুর খনন করা হচ্ছে। সরকারি বিধি-বিধান না মেনে মাছ চাষের জন্যে ব্যক্তি মালিকানার পুকুরগুলো খনন করা হয়েছে এবং খনন করা হচ্ছে আরো নতুন পুকুর। প্রায় সবগুলো পুকুরই বেশ গভীর। পুকুরের চালা বানানোর জন্যও ব্যবহার করা হচ্ছে সরকারি সড়কপথ।
এলজিইডি সূত্রে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ১৯৯৬ এর ধারা ২৮ মোতাবেক, নিজ ভূমির কমপক্ষে ১০ ফুট অভ্যন্তরে পুকুর বা জলাশয় সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। সরকারি সড়কের কিনারা থেকে কমপক্ষে ১০ ফুট দূরত্বে (জায়গা রেখে) পুকুর কিংবা জলাশয় খনন করতে হবে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সলংগা ইউনিয়নের গোজা সড়ক, রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের অলিদহ সড়ক, ধরইল সড়কের অনেক অংশ সংলগ্ন পুকুরে ধসে গেছে। ধামাইলকান্দি-সলংগা পাকা সড়কপথ গত ক’মাস আগে মেরামত করা হয়েছে। গোজা এলাকায় সড়ক ধসে ক্ষতি হয়েছে। অলিদহ এলাকায় বেশ কয়েক জায়গায় ও ধরইল সড়কের কালিকাপুরে পুকুরে ধসে গেছে সড়কের অংশ।
উপজেলা প্রকৌশলী মাঈন উদ্দিন বলেন, বিধি মোতাবেক সড়কের কিনারা থেকে কমপক্ষে ১০ ফুট জায়গা রেখে তবেই পুকুর খনন করতে হবে। এতে সড়কের স্থায়ীত্ব ও গুণগত মান বজায় থাকে। সেখানে পুকুরগুলো সড়ক ঘেঁষে কাটা এবং চালা হিসেবে সরকারি সড়কপথ ব্যবহার করায় ক্ষতি হচ্ছে সড়ক পথের। সেখানে সড়ক টিকছে না। এদিকে ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক মেরামত ও রক্ষায় গাইড ওয়াল নির্মাণে সরকারি বিপুল অর্থ ব্যয় হচ্ছে। অনেক জায়গায় গাইড ওয়াল নির্মাণ করতে গেলে পুকুর মালিকেরা বাধা দিচ্ছে বলে তিনি জানান।