দেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে নৌকা বাইছ প্রতিযোগীতায় প্রথম হওয়া নৌকাটির মত। এই গতি এবং এর বাস্তবায়নের পিছনে যারা কাজ করছেন সেই মস্তিস্কগুলোকে দু:চিন্তাগ্রস্থ করার লক্ষ্যে এমনকি উন্নয়নের গতিতে বাটা বা বধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে দেশের অভ্যন্তরে বসে দেশী এবং বিদেশী চক্রান্ত অব্যাহত রয়েছে। এই চক্রান্তের পিছনে যারা রয়েছেন সেই দেশ বিরোধী চক্র বলে যাদেরকে চিহ্নিত করে থাকি সেই সাধারণ থেকে অসারণ হয়ে যাওয়া মানুষগুলি কেন যে, দলীয় এবং ব্যক্তিস্বার্থের মোহে এমনকি বিদেশী স্বার্থের কাছে মাথা নত করেে শুধু নিজের ক্ষমতা এবং লোভের কাছে পরাভূত হয়ে দেশ মার্তৃকার এতবড় সর্বনাশ করে। এইতো দেশের এবং বিদেশের সকল মিডিয়ার বদৌলতে দিনকি দিন পরিস্কার হয়ে যাচ্ছে আমাদের দেশের জন্য কারা কারা কি কি করেছেন এবং করে যাচ্ছেন। কারা এই দেশটাকে আমাদের হাতে দিয়ে গেছেন? কার কারনে আজ আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি? কে এখন দেশটাকে বিশ্বদরবারে মর্যাদার আসনে উন্নীত করেছেন? এসব এখন স্পষ্ট হয়েছে দেশ ও বিদেশের সকলের নিকট। একটি স্লোগান শোনা ও দেখা যায় “বঙ্গবন্ধু দিয়েছেন দেশ ও ভিত্তি এবং সেই ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে তাঁর সুযোগ্য কন্যা দিয়েছেন সমৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক মুক্তি এবং উন্নততর পর্যায়ে পৌঁছার নিশ্চয়তা।”
এই উন্নতি ধরে রাখতে এমনকি শেষ পর্যন্ত পৌঁছতে যে ত্যাগ এবং কার্যক্রম বাস্তবায়ন প্রয়োজন তা করে যাচ্ছে আমাদের দেশের তরুন প্রজন্ম এবং স্বাধীনতার পক্ষের পরোক্ষ যোদ্ধারা। কিন্তু মাঝে মাঝে এর ব্যাত¦্যয় ঘটিয়ে যাচ্ছে বিপরীত চরীত্রের মাঝারি এবং উচ্চ পর্যায়ের মানুষগুলি। কেউ আমরা নেতা কেউ আমরা কুটনীতিক কেউবা আবার সেনা অফিসার ; আবার কেউবা মস্তবড় ডিগ্রীধারী এমনকি সম্মানীত পুরস্কারে ভূষীত ব্যক্তিও বটে। সবচেয়ে বড় কথা আমরা সবাই এখন তাদেরকে চিনি এবং তাদের চরিত্রকেও জানি। তারা এই জাতির জন্য কি করেছেন এমনকি জাতির প্রয়োজনে কি দিয়েছেন তাও জানি। সবচেয়ে বড় কথা হলো তারা সবাই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষাভাবে সুযোগ নিয়েছেন এবং জাতিকে ও দেশকে বিসর্জন দিয়েছেন। আমাদের দূর্ভাগ্য এদের মত মানুষ এই সোনার বাংলায় জন্ম হয়েছে ভেবে। মিরজাফর এবং ঘসেটি বেগমরা যে এক কাতারে দাঁড়িয়ে উদীয়মান উন্নয়নে অগ্রসরমান দেশটাকে পিছনের দিকে নিয়ে অন্ধকারে নিমজ্জিত করেছিল সেই অবস্থার পুনরাবৃত্তি আবারো করার পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। সাবধান বাংলার খাঁটি বাঙ্গালী বীর সেনানীরা এখনও এই দেশ এবং উন্নয়ন চক্রান্তমুক্ত নয়? বরং উন্নততর চক্রান্তের স্বীকারের মাঝেও এগিয়ে যাচ্ছে শেষ সীমার দিকে।
এই যে দুর্নীতি এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী বিএনপি নেতৃবৃন্দ এবং বুদ্ধিজীবি বেশ্যাদের নিলর্জ বেহায়াপনা ও মিথ্যাচার অহরহ প্রতিয়মান হয়; তখনকি আপনার মনে একটুও ঘৃণা জন্মে না? যদি জন্মে তাহলে কেন কোন প্রতিবাদ না করে নিরব থাকছেন। প্রতিবাদ করুন এবং ঝাপিয়ে পড়–ন উন্নয়নের গতিকে সমুন্নত রাখতে। বলতে দ্বিধা নেই বিএনপি এর তৃণমুল সমর্থকরাতো কোন ক্ষতি করেনি এবং নেতৃবৃন্দের দূর্নীতির সঙ্গে নিজেদেরকে যুক্তও করেনি কিন্তু দুর্নাম থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করার কোন পদক্ষেপতো এখনো নেননি। তাই বলছি, বিএনপি, জামাত, দেশবিরোধী বুদ্ধিজীবি, ড. ডা.দ্বয় এবং স্বঘোষিত শুসিল নেতাদের দ্বারা কি ক্ষতিই না করেছেন আমাদেরও দেশের অগ্রসরমান উন্নয়নে। জালাও পোড়াও, জঙ্গি সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হলো দেশের বাইরে জিয়া পরিবারের বিচার, বাংলাদেশের দরিদ্রের টাকা আমেরীকার নির্বাচনে ব্যায় হওয়া, দেশের গরীব মানুষদের টাকা মেরে খাওয়া নিলজ্জ ইউনূস পদ্মা সেতুর কাজে বাধাদিয়ে বিদেশী অর্থের সাহায্য ফিরিয়ে জাতিকে মিথ্যা বদনাম দিয়ে সাময়িক ছোট করা। এসব কি আমাদের দেশের মানুষ মেনে নেবে? কি কারণে তাদেরকে এই দেশে বসবাস করার সুযোগ দেয়া হবে? আমাদের প্রশ্ন যত সম্ভব এই দৃষ্কৃতিকারীদের দেশ থেকে নাগরিকত্ত্ব বাতিল করে তাদের অর্থ বাজেয়াপ্ত করে ফাসি দেয়া বা অন্য কোন দেশে পাঠিয়ে দেয়া আশু প্রয়োজন।
যারা দেশের এতবড় ক্ষতি করলো এবং দেশ বিদেশে এখন এই মিথ্যা অপবাদ ঘুচিয়ে সত্যের জয় হলো তখন কেন আপনারা চুপ করে ঘরে বসে আছেন? ঘৃণিত ঐ দুতিয়াল চক্রের বিচার সরকার না করলে বাংলার জনগণ করে বিশ্ববাসিকে দেখানো উচিত; যে বাঙ্গালী শুধু ক্ষমাই করে না বরং নিজ হাতে বিচারও করে দেশকে দেশীয় শত্রুমুক্ত করতে জানে। স্বঘোষিত শুশিলরা কোথায়? কেন এখন মুখে কুলপ এটে বসে আছেন। আপনারাও কি নিরবতা পালনের মাধ্যমে নিজেদেরকে ঐ ঘৃণিত চক্রের সদস্য বানানোর বাসনায় লিপ্ত। একটি কথা বলতে চাই সত্যের নৌকা সাতবার ডুবলেও সাতবারই ভাসে; কিন্তু মিথ্যার নৌকা একবার ডুবলে আর ভাসে না। তাই এখন আর মিথ্যার কোন সুযোগ নেই। মিথ্যা পরাজিত এবং ডুবে গেছে তাই হতাশ না হয়ে ফিরে আসুন এই বাংলার উন্নয়নে এবং শেখ হাসিনার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে। নতুন ডুবন্ত তরীর আশা না করে দেশ থেকে চলে যান অন্যদেশে যেখানে এবং যার সাথে তাল মিলিয়ে সকল ষড়যন্ত্র করতেন। আমাদের বিশ্বাস আপনারা যারা ঐ ঘৃণীত ব্যক্তিদের মিষ্টি কথায় এবং ছলনায় নিজেদেরকে জড়িয়ে ছিলেন তাদের এখনই উপযুক্ত সময় ফিরে আসার এবং আসুন এই অগ্রসরমান বাংলার উদীয়মান অর্থনীতিকে উন্নততর স্থানে সুপ্রতিষ্ঠিত করি। বাংলাদেশ এবং এই দেশের বীর বাঙ্গালীকে মাথা উচু করে চলবার যে ব্যবস্থা রচিত হয়েছে তা অব্যাহত রাখি। আগামী প্রজন্মকে বেহেস্তি আবহে বসবাস করার ব্যবস্থায় নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করি।
নির্বাচন এবং নির্বাচন কমিশন নিয়ে বড় কথা না বলি। কথায় আছে চোরের মার বড় গলা। এখন আর গলাবাজি না করি। অতিতের প্রমানিত ভুলের পক্ষে সাফাই না গাই। কাকের কাছ থেকে শিখা মিথ্যাভাবে আর চালাকি এখন না করি। সবকিছুই এখন স্বচ্ছ কাচের মত পরিস্কার; তাই মানুষ সবই দেখে এবং বুঝে। আমাদের সামনে এখন শুধু ধিক্কার দেয়া আর আপনারা ধুকে ধুকে মরার উপক্রমে যাওয়া। যাই হোক প্রধানমন্ত্রী উদার এবং তার নীতি ও পরিকল্পনা উদার তাই সুযোগ নিতে আর চেষ্টা করবেন না বরং নিজেদেরকে আয়নায় দেখে মেপে মেপে কথা বলুন।
বিভাগ হয়েছে কিন্তু এই বিভাগকে উন্নতির সোপান বা পর্যায়ে নেয়ার জন্য কাজ করতে হবে। নাম নিয়ে মাতামাতি না করে বরং প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা এবং সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা ও বিনয়ের সাথে গ্রহণ করে এগিয়ে যেতে হবে। ঢাকায় ১০ বছরের পুরোনো বাস বন্ধের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই এবং যা প্রয়োজন তা করতে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই বিদেশ সফর সফল হউক এবং বাংলাদেশ ও এই দেশের কল্যাণের তরে সকল কার্যক্রম সুন্দরভাবে সম্পন্ন হউক। যে কাজ করার দরকার ছিল ৩০ বছর পূর্বে সেই কাজ এখন করছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণে। তারপরও আমরা এগিয়েছি এবং এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে যে কোন অফিসে এখন কাজ আগের তুলনায় ৮০ভাগ দ্রুতগতি সম্পন্ন। পোস বা বকশিষ ছাড়াই কাজ হচ্ছে এখন আর তা হচ্ছে দৈনন্দিত কাজ হিসেবে। এইটা ১০ বছর আগে ভাবা যেত? যেতনা কারণ তখন শেখ হাসিনার ডিজিটাল সরকার ছিল না। তারপরও এখন যে যে ক্ষেত্রে কাজের গতি কম এবং মানুষের মনের ময়লা পরিস্কার হয়ূনি সেই জায়গাগুলিতে কাজ করতে হবে পাশাপাশি এগিয়ে নিতে হবে আমাদের এই স্বপ্নের সোনার বাংলার উন্নয়ন গতি। ফিরিয়ে পেতে হবে আমাদের হারানো ঐতিহ্য এবং অধিকার। দেশোন্নয়ন বিরোধী মুক্ত বাংলাদেশ কায়েম হউক এই আমাদের প্রত্যাশা।