ডা.দিপন॥ তুলসী সবুজ রঙের গুল্মজাতীয় একটি উপকারী উদ্ভিদ। এ গাছের পাতায় বহু রোগ সারানোর উপকারী গুণ রয়েছে। তুলসীপাতার রস বা চা প্রতিদিন একগ্লাস করে পান করলে, আমাদের কিডনিতে পাথর হওয়ার শঙ্কা কমে যায়। আর যদি কিডনিতে পাথর জমে তাহলে তুলসী পাতার রস টানা ৬ মাস পান করলে সেই তা গলে প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে যায়। এছাড়া সর্দি, কাশি, কৃমি, প্রস্রাবে জ্বালা কমায়, হজমকারক ও কফ গলাতে দারুণ কাজ করে তুলসীপাতা। এটি ক্ষত সারাতে এন্টিসেপটিক হিসেবেও কাজ করে।
তুলসিপাতা দিয়ে চা ও মিশ্রণ তৈরির কয়েকটি প্রস্তুত প্রণালী পাঠকদের সামনে তুলে ধরা হলো:
তুলসী পানি : উপকরণ : দুই কাপ পানি ও কয়েকটি পাতা।
প্রস্তুুত প্রণালী : একটি পাত্রে দুই কাপ পানি নিন। এর সঙ্গে কয়েকটি তুলসিপাতা সিদ্ধ করুন। ফুটে উঠলে নামিয়ে পান করতে পারেন। এই মিশ্রণটি গলা ব্যথা ও খুসখুসে কাশি কমিয়ে আপনাকে আরাম দেবে।
তুলসী-চা: উপকরণ : ১০-১৫টি তুলসীপাতা, গুড়, পানি ও লেবুর রস।
প্রস্তুত প্রণালী : প্রথমে গুড় ও তুলসীপাতা বেটে নিন। এর মধ্যে দেড় কাপ পানি ও এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে চুলায় বসান। মিশ্রণটি ফুটে উঠলে নামিয়ে ফেলুন। এই চা পান করলে আপনার শরীর উষ্ণ থাকবে।
ভেষজ তুলসী-চা: উপকরণ : এক টুকরো আদা, গোলমরিচ, লবঙ্গ, তুলসীপাতা, দারুচিনি, এলাচ পরিমাণ মতো।
প্রস্তুুত প্রণালী : পরিমাণমতো পানিতে উপরের উপকরণগুলো মিশিয়ে জ্বাল দিন। ১০ মিনিট পর নামিয়ে ছেকে পান করতে পারেন। এই ভেষজ তুলসী-চা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া রোগ থেকে বাঁচানোর ক্ষমতা রাখে।
হার্বাল জুস: উপকরণ : আজওয়াইন, তুলসীপাতা, জিরা, আমচুর গুঁড়া, লবণ এবং পুদিনা পাতা পরিমাণ মতো।
প্রস্তুত প্রণালী : চার কাপ পানিতে উপরের উপকরণগুলো মিশিয়ে ১০-১৫ মিনিট জ্বাল দিন। এরপর পান করুন। এই জুস প্রতিদিন পান করলে হজমশক্তি বাড়বে এবং পানিশূন্যতা থেকেও আপনাকে রক্ষা করবে।