আর্ন্তজাতিক ডেক্স॥ ভারত এবার প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ইতিহাস তৈরি করল। ‘ব্যালিস্টিক মিসাইল শিল্ড’ তৈরি করে সামরিক ক্ষেত্রে আমেরিকা ও রাশিয়ার মত প্রথমসারির দেশগুলির সমকক্ষ জায়গায় পৌঁছে গেল ভারত। গত রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এক অনুষ্ঠানে ডিআরডিও এবং ইসরো বিজ্ঞানীদের ভূয়সী প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেন যে, এবার থেকে যে কোন ব্যালিস্টিক মিসাইলকে মাঝ আকাশে ধ্বংস করতে সক্ষম ভারত। উল্লেখ্য, ভারত ছাড়া শুধু আমেরিকা, রাশিয়া, ইজরায়েল ও চিনের কাছে এই প্রযুক্তি রয়েছে।
‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, জমি থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার উপর লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনে তা ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ‘ইন্টারসেপ্টর মিসাইল’। ২০০০ কিলোমিটার দূর থেকেও শত্রুপক্ষের ছোড়া পরমাণু ক্ষেপনাস্ত্র আকাশেই নষ্ট করে দিতে সক্ষম এই ইন্টারসেপ্টর মিসাইল। ১৯৯০ সাল থেকেই ভারত ইন্টারসেপ্টর মিসাইল বানানো শুরু করেছিল এবং ২০০৬ সালে মিসাইলটির প্রথম পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হয়।
আকাশপথে অভেদ্য বেষ্টনী তৈরি করতে চলতি মাসেই ওড়িশা উপকূল থেকে ইন্টারসেপ্টর মিসাইলের সফল উৎক্ষেপন করেছিল ভারত। আবদুল কালাম আইল্যান্ড বা হুইলার আইল্যান্ড থেকে মিসাইলটির পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপন করা হয়েছিল। ডিফেন্স রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ডিআরডিও) এক আধিকারিক জানিয়েছিলেন, এই ইন্টারসেপ্টর মিসাইলটি শত্রুপক্ষের ছোড়া ব্যালিস্টিক মিসাইলগুলিকে ভূপৃষ্ঠের ১০০ কিলোমিটার উপরে ধ্বংস করে দিতে সক্ষম। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, মিসাইলটিতে রয়েছে ‘ইনারশিয়াল নেভিগেশন সিস্টেম’ যা মুহূর্তে ধেয়ে আসা ব্যালিস্টিক মিসাইল খুঁজে তা ধ্বংস করে দেবে।
চীন ও পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান পরমাণু অস্ত্র ভান্ডারে উদ্বিগ্ন ভারত। পারমানবিক বোমা বহনে সক্ষম চিনের দংফেং ও পাকিস্তানের বাবর মিসাইলের জবাব দেবে ভারতের এই ক্ষেপনাস্ত্রটি। ইতিমধ্যে, ভারতের বিরুদ্ধে পরমাণু হামলার হুমকি দিয়েছে পাকিস্তান। ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে চীনের আগ্রাসী মনোভাব। তাই এবার ভারতীয় সেনাকে অত্যাধুনিক মারণাস্ত্রে সাজিয়ে তুলছে কেন্দ্র সরকার।