বিশ্ব রাজনীতি এখন সরগরম বহু চমকালোতে। সেই চমকালোর একটি হলো করোনা টিকা। এই টিকা নিয়েও কম রাজনীতি হয়নি এমনকি হবে ও বৌকি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এই টিকা বাজারজাত করেছে তবে শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোই এই টিকাকেন্দ্রিক লাভের স্বাদ আস্বাধন করে যাচ্ছে। তবে আশার কথা হলো অর্থের বিনিময়ে টিকা মিলছে বলে স্বস্তির নি:শ্বার ঝেড়ে ফেলছে অনেকেই। আবার অনেকে এই টিকা নিয়ে নোংরা রাজনীতিও করার পায়তারা শুরু করেছে। তবে কেউ কেউ আবার টিকার যুক্তিকতা এমনকি সফলতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। তবে সকল ঝল্পনা ও কল্পনার অবসান ঘটিয়ে টিকা বাণিজ্য এগিয়ে যাচ্ছে ও যাবে নিরবে। কারো কথায় কান না দিয়ে বা তোয়াক্কা না করে এই বানিজ্যের প্রসার ঘটবে এটাই স্বাভাবিক। বাণিজ্য এবং রাজনীতি এই দুইয়ে এখন জনগণের জীবন বিপন্ন। কথায় আছে শিলে পাটায় ঘষাঘষি মরিচের জীবন শেষ। হ্যাঁ এখানে মরিচের নয় আশরাফুল মাখলুকাত (মানুষের) জীবন শেষ হচ্ছে।
যাদের কাজ দোষ খোজা বা ধরা অথবা সমাজে নৈরাজ্য বা বিশৃংখলা সৃষ্টি করা সেই মানুষগুলোই আজ বিশ্বের বিভিন্ন নেতিবাচক তকমা নিয়ে এগুচ্ছে। এইতো আমেরীকায় নতুন রাষ্ট্রপ্রধান এসেছে এবং পুরাতন এর বিদায় ঘটেছে। তবে সবই এখন জনসম্মুখ্যে… কিন্তু কিছু বিষয় এখন জনসম্মুক্ষ্যে আসেনি বা সত্য সত্যহিসেবে প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়নি কিন্তু সময়ের বিবর্তনে ঐ সত্য ঠিকই প্রকাশিত এবং প্রচারিত হবে। তবে এর দায় থেকে বর্তমানের কেউ কেউ অব্যাহতি পাবে কিন্তু আগামীর আর দায়মোচন হবে না। বরং ঐ কলংকের দায় নিয়েই সামনে এগিয়ে যেতে হবে আর হচ্ছেও বৈকি; আর এটিই ইতিহাস। তবে বিশ্ব ইতিহাসের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের বাংলাদেশের ইতিহাসও এখন সরগরম বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। এরমধ্যে করোনা টিকা নিয়ে মাতামাতি শুরু হয়েছে। কেউ এতে ফায়দা লুটার চেষ্টায়রত রয়েছে। তবে শত্রুর মোকাবেলা করে করোনাকে মোকাবেলা করা এই পর্যন্ত সফল হয়েছে বলেই ধরে নেয়া যায়। আর শত্রুর নেতিবাচক প্রচারনা ও প্রকাশ্যে পরিবেশ দুষিত করার বক্তব্যে এখন জনগন আর আগের মত কান পেতে শুনছে না বলেই ধরে নেয়া যায়। তারপরও সচেতন থাকতে হবে যাতে করে মহৎ ও কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলায় বরাবরের মতই সফলতা অর্জনের সক্ষমতা দৃশ্যমান রাখতে পারি। সরকার বিরোধীরা বিরোধীতার খাতিরে বিরোধিতা করে যাচ্ছে এবং যাবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের সেই পুরোনো অস্ত্র নতুন করে ব্যবহারের আওতায় আনার আর নতুন কোন সুযোগ না হউক এটাই আমাদের সকলের চাওয়া পাওয়া।
যেখানে টিকা পাওয়াই ছিল দুরূহ সেখানে সফলতার সহিত টিকা সংগ্রহে সরকার সফল আর সেই সফলতায় যেন খোত সৃষ্টিতে ব্যস্ত রয়েছে দেশ ও সরকার বিরোধী চক্র। এখানেই কি শেষ; না আরো রয়েছে টিকা বিতরনেও আগাম সমস্যা বের করার চক্রান্ত এমনকি জনমনে টিকাবিমুখতা সৃষ্টিতে নতুন করে ষঢ়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে ঐ ষড়যন্ত্রী মহল। মোট কথা জনগন ও সরকার উভয়েই এখন সচেতনার সহিত এই গুরুত্বপূর্ণ সময়টুকু অতিবাহিতকরণে দৃষ্টিগোচর করতে হবে। করোনা এসেছিল আশির্বাদস্বরূপ আর বিদায়ও হচ্ছে আমাদের আশির্বাদস্বরূপই। তাই ঐ আশির্বাদকে কোনভাবেই বিফলে যেতে দেয়া যাবে না। তাই সুযোগ ও সময়কে যথোপযোক্তভাবে কাজে লাগিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে এমনকি এগিয়ে নিতে হবে দেশ ও জনগণকে। ধর্মীয় ও রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে বাধাস্বরূপ কাজগুলোকে চিহ্নিত করে ঐসকল বাধা অপসারণে জনগণ ও সরকার একযোগে ঐক্যের ভিত্তিতে কাজ করতে হবে-হ্যা এখন থেকেই করতে হবে। করোনায় যারা নেতিবাচক ফায়দা হাছিল করতে পারেনি তাদের মনোকষ্টে এখন ইতিবাচক ফায়দা হাছিলে দায়িত্বরত হিসেবে কাজ করার সুযোগ করে দিতে হবে যাতে করে আগামীর তরে নতুন ইতিহাস নবউদ্যোমে উদ্ভাসিত হয়।
নিজ নিজ পরিবারে সম্প্রীতি ও ঐক্য অটুট রাখার জন্য কাজ করে যেতে হবে। শব্দবোমার আঘাতে বা বিস্ফোরণে পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক সম্প্রীতি নষ্ট্রের যে লক্ষণ পরিলক্ষিত হচ্ছে তা রোধকল্পে এখনই কাজ শুরু করতে হবে। একটি একটি করে বের হওয়া বোমা যেন শতকোটিতে পৌঁছতে না পারে সেই বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপে এগিয়ে যেতে হবে। দেশের স্থীতিশীলতা, রাজনৈতিক স্থীতিশীলতা, সরকারের স্থীতিশীলতা এবং সমাজ কল্যাণ ও বিনির্মানের স্থীতিশীলতা বিরাজমান রাখতে কার্যকরী পদক্ষেপে এগিয়ে যেতে হবে। ইদানিং যে হারে শব্দবোমার আঘাত শানিত হচ্ছে সেই হারে এর প্রতিকারের কোন ব্যবস্থা পরিলক্ষিত হচ্চে বলে দৃশ্যমান হচ্ছে না। তাই নজর এখন সুনজরে পর্যবসীত হউক এবং প্রত্যেকের প্রাপ্তি প্রত্যেককে বুঝিয়ে দেয়া হউক। আমাদের সামনে আনন্দের হাতছানি যে উকি দিচ্ছে তা নতুন করে আর নষ্ট হতে দেয়া যাবে না তাই ঐ শব্দবোমায় জর্জরিতরা মুখ খুলবার আগেই কিছু একটা পদক্ষেপ নেয়া জরুরী হয়ে পড়েছে।
পৌড় এবং ইউপি নির্বাচনের প্রতিটি ধাপে সমাপ্তির যে রেষ তা যেন বিফলে না যায় সেইদিকে মনযোগ দিতে হবে। কোনভাবেই নেতিবাচক, মুখরোচক এবং অকার্যকর দৃষ্টান্তের ধারক ও বাহক হতে দেওয়া যায় না বা হওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কোনক্রমেই যোগ্যপাত্রে কন্যা দানের বিপরিতে যাওয়া যাবে না। অসৎ পাত্রে ক্ষমতা দানের যে পৌরানিক মহড়া গত হয়েছিল এবং সেবার নতুন এক দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়ে সমান্তরাল রূপ লাভ করতে শুরু করেছিল সেই যাত্রা অব্যাহত রেখে এগিয়ে যেতে হবে। কোনক্রমেই পৌড়ানিক মহড়ার নব আবিস্কার এর সুযোগ করে দেয়া যাবে না। ইতিহাসের কলঙ্ক লেপন করে পুনরায় নতুন ইতিহাস রচনায় সহায়তার ব্যবস্থাকে রহিত করতে সময়োচিত পদক্ষেপে এগিয়ে যেতে হবে। করোনা বিতারণের সঙ্গে সঙ্গে দেশ থেকে ঐসকল পুরোনো কুসংস্কার দূর করে এগিয়ে যেতে হবে। যাতে করে করোনা পরবর্তী দেশ হবে নি:ঝঞ্জাল ও নি:ষ্কলুষ এবং স্বচ্ছ এক ইতিবাচক নৈসর্গিক স্বর্গরাজ্য। যা হবে উপভোগের এবং নিশ্চিত আশা ও উদ্দিপনার এবং বিশ্বকে পথ দেখানোর এক সমুজ্জ্বল নব আবিস্কারের।
অনেক চড়াই উৎরাই পার করে এখন বিশ্ব ব্যবস্থা নতুন এক শুভ সূচনাই পদাপর্ণে; আর এই নব উদ্যোমে আমাদের সরকারও আমাদের মৃতপ্রায় শিক্ষা ব্যবস্থাকে জীবন ফিরিয়ে দিতে কার্যকরভাবে চালুর প্রক্রিয়া শুরু করেছে। আশা করি আগামী ফেব্রুয়ারী মাস থেকে এই ব্যবস্থা পুরোদমে গতিশীল হবে। প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরে পাবে আগামীর গতিশীল প্রজন্ম। সকল ক্ষেত্রে দিশা দেয়ার দিশারী এবং গতিশীলতার কান্ডারীরা নেমে পড়বে কর্মযর্ঘ্য।ে কর্মক্ষেত্রে এবং শিক্ষাক্ষেত্রেও ফিরে আসবে কর্ম চাঞ্চল্য। তবে আশা করা যায় যে, শিক্ষা ব্যবস্থায় যে ব্যবসায়ী দৃষ্টিভঙ্গির ছোবলে আক্রান্ত ছিল তার কিছুটা হলেও রহিতকরণ করা হবে। কোন ফারাক বা বৈষম্য নতুন করে আর রচিত হবে না এমন নিশ্চয়তার লক্ষ্যে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। সরকার এবং এর অধিনস্তরা শিক্ষার মাঝ থেকে অপঘাত বা রাজনৈতিক অদুরদর্শীতা এবং বাণিজ্যিক চিন্তা নিরসনকল্পে সুচিন্তিত, সুপরিকল্পিত এমনকি আগামীর জন্য যুগোপযোগী করে এগিয়ে যাওয়ার সকল ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করে বাস্তবতার নিরীখে এগিয়ে নেয়ার সকল দ্বার উন্মুক্ত রেখে এগিয়ে নিতে হবে। কোন আপোষকামীতায় আর মনোনিবেশ করা যাবে না। বরং যেসকল বাধাসমূহ প্রকারান্তরে এখনও দৃশ্যমান তা রহিতকরনে বা দুরীকরণে কাজ করে যেতে হবে। আমাদের মনে যে করোনা ভিতীর ক্ষত তৈরী হয়েছে তার থেকে নিশ্চিতরূপে বের হয়ে আগামীর কল্যাণে শতভাগ মনোনিবেশ করতে হবে। জনগন, ছাত্র-শিক্ষক এবং সরকার এর মধ্যে সুদৃঢ় ঐক্য গড়ে তোলে আগামীর কল্যাণের তরে করোনানীতি এবং বিশ্ব রাজনীতি পক্ষবেক্ষণ করে সার্বিক কল্যাণের তরে এগিয়ে যেতে যা যা করনীয় তার সবটুকুই উজার করে এগিয়ে যাওয়ার আকাঙ্খা পোষন করে সর্বাধিক প্রায়োগীক দৃশ্যমানতার প্রত্যাশায়… আগামীর কৃতকর্ম পরিচালিত হউক।