কসবায় দীর্ঘ ৫০ বছর পর ৮টি গ্রামের মধ্যে সড়ক সংযোগ ॥ আনন্দিত এলাকাবাসী

ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার ভাটি এলাকা বাদৈর ইউনিয়নের ৮টি গ্রামের মধ্যে নিবিড় সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করেছেন বাদৈর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী আবু জামাল খান। সরকারের অনুদানের অপেক্ষায় না থেকে জনগনের দাবী মেটাতে নিজেই ব্যক্তিগত অর্থে কাজ শুরু করেন পুরোদমে। ফলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবনও তার প্রতিটি কাজে অকুন্ঠ সমর্থন ও উৎসাহ যুগিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিটি গ্রামের মধ্যে আভ্যন্তরীন ও উপজেলা সদরের সাথে সংযোগ স্থাপন করে আদর্শ ইউনিয়ন গঠন করতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন আবু জামাল। পাশাপাশি পাশ্ববর্তী খাড়েরা ইউনিয়নের দেলী, পাতাইসার, সুলতানপুর গ্রামকেও নির্মানাধীন সড়কের সাথে সংযুক্ত করে উপজেলা সদরে যাওয়ার পথকেও সুগম করেছেন। এতে বাদৈর ইউনিয়নের মান্দারপুর গ্রাম সহ প্রায় লক্ষাধিক মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা সুদৃঢ় হয়েছে। স্বাধীনতার পর দু’বার শিকারপুর থেকে দেলী সংযোগ সড়কটি নির্মান করার চেষ্টা করা হলেও এই সড়ক নির্মান করা সম্ভব হয়নি কতিপয় ভূমি মালিকদের বাঁধার কারনে। আইনমন্ত্রীর নির্দেশনায় স্বেচ্ছায় স্থানীয় অধিবাসীরা ও ভূমির মালিকরা সড়ক নির্মানে সহযোগিতা করলে চেয়ারম্যান হাজী আবু জামাল খান মাত্র এক সপ্তাহে প্রায় তিন কিলোমিটার সংযোগ সড়কের মাটি কাটার কাজ শেষ করেন। এখন চলছে সড়কের ড্রেসিংয়ের কাজ। পরে এতে ইট বসানো হবে বলে জানান চেয়ারম্যান। সড়ক নির্মানের পর পরই রাস্তার দুই পাশের জমির মুল্য দিগুন বেড়ে গেছে বলে আনন্দের সহিত জানালেন এলাকার ভূমির মালিকগন। শিকারপুর গ্রামের হাজী সোলায়মান জানান,মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে ৫ লাখ টাকা মুল্যের জমি ১০ টাকায় বিক্রি করেছি। একই গ্রামের রহমত উল্লাহ জানান, আমার পুকুরের পাশ দিয়ে রাস্তা যাওয়ায় আমি অনেক উপকৃত হয়েছি। সৈয়দাবাদ আদর্শ কলেজের সাবেক ছাত্র ও আশির দশকের কলেজ ছাত্র সংসদের নির্বাচিত এজিএস রফিকুল ইসলাম ভূইয়া বলেন; আইনমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় চেয়ারম্যান আবু জামাল এলাকাবাসীর অনেক দিনের স্বপ্ন পুরন করেছেন। এছাড়াও তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুদল হাই ওরফে দাগু ভূইয়া বাড়ী পর্যন্ত প্রায় পৌনে এক কিলোমিটার আরো একটি নতুন সড়ক তৈরি করেছেন। ওই পাড়ার প্রায় ২শত পরিবার এই গ্রামের সাথেই এক প্রকার বিচ্ছিন্ন ছিলো। কসবা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাপস চক্রবর্তী জানান; বাদৈর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী আবু জামাল খান একজন জনবান্ধব চেয়ারম্যান। প্রকল্প অনুমোদনের পূর্বেই নিজের অর্থায়নে কাজ শুরু করে ফেলেন। সরকারী বরাদ্দের দিকে তাকিয়ে থাকেন না তিনি। বরাদ্দ আসলে আমরা তাকে সেই অর্থ প্রদান করি। তিনি বরাদ্দকৃত অর্থের চেয়ে জনস্বার্থের কথাই আগে ভাবেন। এ প্রসংগে চেয়ারম্যান হাজী আবু জামাল খান বলেন; “মানুষের সেবার মাঝে মনে তৃপ্তি পাই। আমি এই অবহেলিত বাদৈর ইউনিয়নকে একটি আদর্শ ইউনিয়ন হিসেবে গড়তে চাই।” কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন বলেন; বাদৈর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবু জামাল একজন কাজ পাগল মানুষ। তিনি আওয়ামী লীগ’র একজন নিবেদিত কর্মী।

Leave a Reply

Your email address will not be published.