মার্কিন কংগ্রেসে মাতৃভাষার জন্য বাঙালিদের রক্তদানের অবিস্মরণীয় তথ্য

প্রশান্তি আন্তজার্তিক ডেক্স ॥ গত ৮ বছরের মত এবারও ১১৭তম কংগ্রেসে মায়ের ভাষার জন্য বাঙালিদের অকৃপণভাবে রক্তদানের অবিস্মরণীয় ঘটনাবলির আলোকে ‘২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ যুক্তরাষ্ট্রেও যথাযথ মর্যাদায় পালনের আহ্বানে কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং একটি রেজ্যুলেশন উপস্থাপন করেছেন। ১৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার উত্থাপিত এ রেজ্যুলেশনে সারাবিশ্বে বর্তমানে ৬ হাজার ভাষার মধ্যে ২২৭৯টি বিলুপ্তির প্রচন্ড ঝুঁকিতে রয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রেও ৩৮১টি ভাষার মধ্যে ১৪৫টি বিলুপ্তির প্রচন্ড ঝুঁকিতে রয়েছে বলে তথ্য-উপাত্তের উদ্ধৃতি দিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। এসব ভাষাকে রক্ষাকল্পেই ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর প্রথমে ইউনেস্কো এবং পরবর্তীতে ২০০২ সালে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে গৃহিত সিদ্ধান্তে ২১ ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়। অর্থাৎ জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্রসমূহকেও দিনটি ভাবগম্ভীর পরিবেশে উদযাপনের আহবান রয়েছে।
নিউইয়র্কের ষষ্ঠ কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্ট (কুইন্স, ফ্লাশিং) থেকে ২০১১ সাল থেকেই ডেমক্র্যাটিক পার্টির টিকিটে বিজয়ী হয়ে আসা গ্রেস মেং কংগ্রেসনাল বাংলাদেশ ককাসেরও প্রভাবশালী সদস্য হিসেবে প্রবাসী বাংলাদেশীদের অধিকার ও মর্যাদার প্রশ্নেও সোচ্চার। তবে একুশ ফেব্রুয়ারিকে যথাযথ মর্যাদায় উদযাপনের এ রেজ্যুলেশনের জন্য তাঁকে উদ্বুদ্ধ করেছে মাতৃভাষার জন্যে বাঙালিদের রক্তদানের ঘটনা এবং তার নির্বাচনী এলাকার আশপাশেরও বহু ভাষা বিলুপ্তির আশংকা থেকে। এ প্রসঙ্গে গত বৃহস্পতিবার প্রদত্ত এক বিবৃতিতে গ্রেস মেং বলেছেন, আমার সৌভাগ্য যে, মাতৃভাষার জন্য প্রাণ উৎসর্গকারি বাংলাদেশিদের বড় একটি সংখ্যা আমার নির্বাচনী এলাকায় বাস করছেন। তারা কঠোর পরিশ্রমী এবং তাদের সন্তানেরাও অত্যন্ত মেধাবি হিসেবে বহুজাতিক এই দেশে নিজ নিজ অবস্থান সংহত করতে সক্ষম হয়েছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রতি বছরই একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপনে নিউইয়র্কে গৃহিত কর্মসূচিতে অংশ নেই। এবারও ভার্চুয়ালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে থাকার ইচ্ছা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.