ইতিহাসের পরিক্রমায় পৃথিবীর গতি প্রকৃতি এগিয়ে যচ্ছে এবং যাবে কিন্তু বাস্তবতার নীরিখে এর জটিলতম সমীকরণগুলো কাটিয়ে উঠতে যে মেধা ও শ্রম এবং সাহসিক পদক্ষেপ নিতে হয় তা কিন্তু বাস্তবে খুবই কম মানুষের মধ্যে দৃশ্যমান রয়েছে। যাদের মধ্যে এই গুণ ও জ্ঞানগুলো রয়েছে তাদের নিস্তেজতায় এমনকি দুনিয়াবী লাভের হিসেব-নিকেষের গড়মিলে ঝড়ে যাচ্ছে মুল্যবান এমনকি সম্ভাবনাময় সৃষ্টির সৃজনশীল অগ্রগামী আগামীর মানুষগুলো। এইতো পৃথিবী কাতরাচ্ছে কভিডের ছোয়ায়। কিন্তু কেউ কেউ এর থেকে রেহাই পাচ্ছে আর কেউ কেউ পাচ্ছে না- এর মধ্যে কি রহস্য লোকায়িত তা খতিয়ে দেখতে অনুরোধ জানাচ্ছি। আমাদের আগামী এখন নির্ভর করছে সঠিক ও যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের উপর। পৃথিবীর মানুষগুলো যেন দিন দিন জড় বস্তুতে পরিণত হচ্ছে। কিন্তু কি এই পরিণতির দায় কারো উপরে চাপানো যায়। না সম্পূর্ণ দায় নিজ কাঁধে নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। কারণ সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টিপূর্ব যে পরিকল্পনা করেছেন এবং বর্তমানের জন্য যে ব্যবস্থা সচল রেখেছেন তার অনুসারী এবং অনুসন্ধানকারী হিসেবে নিজেদেরকে সু প্রতিষ্ঠিত করাই মূল লক্ষ্য। কিন্তু আমরা বা বিশ্ব এখন টিকার উপর নির্ভরশীল হয়ে এগুচ্ছে আর এতে সৃষ্টিকর্তার উপর নির্ভরশীলতা দিন দিন কমে এসে শুন্যের কৌটায় পৌছেছে। টিকায় কি সমাধান অথবা টিকার দ্বারা কি বিশ্ব এখন নিরাপদ। না টিকাতে এখনো নিরাপদ ভাবার কোন কারণ নেই। সদ্য টিকা নেয়া সংসদ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়ে ইহলোকের মায়া ত্যাগ করেছেন। কারন কি? কারন হলো তার নির্ধারিত সময় শেষ।
সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে নির্ধারিত সময় বেধে দিয়েই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন এবং এই নির্ধারিত সময়ের আগে বা পরে কারোরই কোন ক্ষতি সাধন হওয়ার সম্ভাবন নেই কিন্তু আমরা নিজেরাই নিজেদের ক্ষতি সাধন করার নিমিত্তে কাজ করে যাচ্ছি। যেহেতু টিকা মানুষের সৃষ্টি তাই এই সৃষ্টিতে কোন নিখুঁততা নেই এমনকি জীবন রক্ষার নিশ্চয়তাও নেই। তাই টিকা নির্ভরতা ছেড়ে আসুন সৃষ্টিকর্তায় নির্ভরতা বাড়িয়ে আগমীর নিশ্চিত নিশ্চয়তা সুনিশ্চিত করি। টিকাবিহীন যেভাবে সরকার ও জনগন একযোগে মোকাবেলা করে এই করোনা বা কভিডকে পরাজিত করেছে এমনকি বাংলাদেশকে সার্বিকভাবে স্থীতিশীলতায় উন্নয়ন ও উন্নতির ধারাবাহিকতায় অব্যাহত রেখেছে সেহেতু টিকাবিহীন জীবনের নিশ্চয়তাই প্রাধান্য পাক। তবে যারা যারা টিকা নিতে ইচ্ছুক এবং টিকা নিয়েছেন আসুন টিকা নির্ভরতা ও এর উপর আস্থা ও বিশ্বাস কমিয়ে সৃষ্টিকর্তার উপর পুরোপুরি আস্থা ও বিশ্বাস স্থাপন করে অশান্ত পৃথিবীকে শান্ত করতে এগিয়ে যায়।
জ্ঞান বিজ্ঞানের সঙ্গে ঈমান আমল ও বিশ্বাসকে আরো সমৃদ্ধ এবং সুদৃঢ় করতে সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ সম্বন্ধ আরো গভীর করে তুলি। তাঁর ইচ্ছা, আকাঙ্খা ও অভিপ্রায় বুঝে আগামীর কল্যাণের তরে এবং মঙ্গলের নিমিত্তে একযোগে কাজ করি। ধর্ম-কর্ম এবং জাত-বেজাত ও ছোট-বড়’র এর সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যের সুবিশাল ছায়াতলে সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে নিজেদেরকে সুপ্রতিষ্ঠিত করি। মানুষ হিসেবে সকল মানবিক গুনাবলীগুলি প্রয়োগে মনযোগী হই। পৃথিবীর নৈরাজ্য বিতারিত করতে সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত জ্ঞান ও গুণ এবং সৃষ্টিকর্তার সাবজনীন সহযোগীতা নিয়ে অগ্রসর হওয়ার পথ প্রসস্থ করি।
মানুষের সৃষ্টি ভয় শয়তানের অভিপ্রায়ে ব্যবহার বন্ধ করতে সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখুন। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় চালূ রেখে ভয়ের ত্রাস বিদুরীত করুন। কোন অপচেষ্টার কাছেই আর মাথানত করার সুযোগ নেই। পৃথিবীকে পথ দেখাতে বাংলাদেশের দৃষ্টান্ত যেন এক অভয়ারন্যে পরিণত হয়েছে; আর এই কারণের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পেয়েছেন অনেক প্রশংসা ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জনের মাধ্যমে মর্যাদার এক সম্মানিত স্থান। এই অর্জিত মর্যাদার স্থানকে আরো সুদৃঢ় করতে সকলে মিলে একযোগে কাজ করার সময় এখনই। তাই আসুন সাহসীকতার সহিত সময়ের পরিক্রমায় আরো গতিময়তা নিয়ে এগিয়ে যায়।