প্রশান্তি ডেক্স ॥ স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, জলবায়ু বিরূপ প্রভাব নিরুপক সূচক অনুযায়ী ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর ভিতরে বাংলাদেশের অবস্থান ৭ম। এই ঝুঁকি মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ডেলটা প্ল্যান-২১০০’ গ্রহণ করেছেন। সে অনুযায়ী বাংলাদেশ জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় কাজ করে যাচ্ছে। বাসযোগ্য একটি পৃথিবী গড়ে তুলতে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা জরুরী। তাই গাছ লাগিয়ে, কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা করে পৃথিবী রক্ষা করতে হবে।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে ‘গ্লোবাল ইয়ুথ ক্লাইমেট সামিট-২০২১’ এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ইয়ুথ লিডারশীপ সেন্টার আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ইজাজ আহমেদ। বক্তব্য রাখেন সামিটের প্রধান উপদেষ্টা ডার্বি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য স্যার ক্রিস্টোফার বল। সঞ্চালনা করেন, গভার্নিং বোর্ড মেম্বার ফারজানা কাশফি। স্পিকার জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় উদ্ভাবনী ধারণা প্রদানকারী স্যার ক্রিস্টোফার বল ও তাঁর স্ত্রীসহ ইভেন্ট বিজয়ী বারোজন অগ্রসর তরুণকে স্কলারশিপ পাওয়ায় অভিনন্দন জানান।
স্পিকার আরো বলেন, ৪৮ টি ঝুঁকিপূর্ণ দেশের সমন্বয়ে গঠিত ফোরামের বর্তমান সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় যৌথ প্রচেষ্টা চালাতে হবে। তরুণেরা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা করতে নতুন ও উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনায় গতিশীলতা এনে দিতে পারে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষ্যে বিভিন্ন মহাদেশের তরুণদের একত্রিত করে তাদের মধ্যে নেতৃত্ব দেবার দক্ষতা তৈরি এবং জলবায়ুর বিরুপ প্রভাব মোকাবেলায় যোগ্য করে গড়ে তুলতে এই ইভেন্ট আয়োজনের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান তিনি।