প্রশান্তি ডেক্স ॥ কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গত ২২ মার্চ ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ভস্মীভূত হাসপাতাল পুর্র্নিমাণে নির্মাণসামগ্রী নিয়ে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে তুর্কি একটি সামরিক কার্গো বিমান গত বৃহস্পতিবার রওনা হয়েছে। ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে শরণার্থী শিবিরের কয়েক হাজার অস্থায়ী ঘরের সঙ্গে একটি হাসপাতালও পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ৫০ শয্যাবিশিষ্ট একটি অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মাণের সরঞ্জাম এবং প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র নিয়ে আসছে তুর্কি ওই সামরিক বিমানটি।
এ ছাড়া তুরস্কের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ১৩ সদস্যের একটি দলও আসছে হাসপাতালের কাজ তদারকিতে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের নির্দেশে দেশটির জরুরি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এএফএডি), স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও নগরায়ণ মন্ত্রাণালয়ের সমন্বয়ে একটি দল বাংলাদেশে আসছে রোহিঙ্গাদের জন্য ওই হাসপাতাল নির্মাণের কাজ তদারকিতে। রাজধানী আঙ্কারার এতিমেসগুত সামরিক বিমানবন্দর থেকে একটি এ-৪০০এম সামরিক বিমান হাসপাতালের নির্মাণসামগ্রী নিয়ে বাংলাদেশে রওনা করেছে। আরেকটি বিমানে করে ২২ চিকিৎসক আসছেন তুরস্ক থেকে। পুড়ে যাওয়া হাসপাতালটি ছিল রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সবচেয়ে বড় হাসপাতাল। ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ভয়াবহ নির্যাতনে দেশটি থেকে সাড়ে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা সংখ্যালঘু মুসলিম বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। তাদের নানাভাবে সহায়তা করে আসছে তুরস্ক।
খবর আনাদোলুর।