নয়ন॥ উচ্চশিক্ষার নামে মেধাবী তরুনদের বিদেশে পাঠিয়ে জঙ্গি প্রশিক্ষণ দেওয়ার নতুন কৌশল অবলম্বন করছে একটি অসাধু চক্র। বিভিন্ন সুত্র থেকে জানা গেছে, সচ্ছল পরিবারের মেধাবী তরুণদের কৌশলে জঙ্গি সংগঠনে ভিড়িয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে দেশের বাইরে। মগজ ধোলাইয়ের পর ভূয়া পাসপোর্টের সাহায্যে বিভিন্ন দেশের ভালো ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি করিয়ে সহজেই ভিসার ব্যবস্থা করে ফেলছে এই চক্রটি। বিদেশে পাড়ি জমানোর পর তাদের শেখানো হচ্ছে ভারী অস্ত্রশস্ত্র চালানোর কৌশল।
পথভ্রষ্ট এমন কিছু তরুণ গত সপ্তাহে তুরস্ক’র ইসতানবুল বিমান বন্দর থেকে দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছে তাদের ভূয়া পাসপোর্টের কারণে। এই ঘটনাটি প্রমাণ করে অতীতে এভাবে আরো কতজন বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমাতে সফল হয়েছে।
গোয়েন্দাদের বিভিন্ন তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ইংরেজি মাধ্যমে পড়া তরুণরাই জঙ্গি নিয়োগকারীদের মূল টার্গেট। পরিবার থেকে হঠাৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া এই তরুণদের প্রথম গন্তব্য ছিল মালয়েশিয়া। কিন্তু মালয়েশিয়ার কঠোর অবস্থানের কারণে এখন জঙ্গি গোষ্ঠী বেছে নিয়েছে তুরস্ক-কে। বিভিন্ন সুত্র থেকে জানা গেছে তুরস্কতে মেধাবী তরুনদের মগজ ধোলাইসহ প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে। যদিও জঙ্গি সংগঠন গুলো আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চাপে এখন অনেকটা কোনঠাসা। কিন্তু তার পরও জঙ্গীরা তাদের কার্যক্রম বন্ধ না করে নতুন কৌশলে আবার সক্রিয় হতে চাচ্ছে। যার ফলে তাদের আরো বেশি প্রশিক্ষিত লোকবলের প্রয়োজন, যার ফলে নতুন বিপথগামী তরুণদের বিদেশ পাঠিয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে ভিন্ন কৌশলে।
গুলশানে হামলার মতো ভয়ানক ঘটনা যেন আর আমাদের প্রিয় জন্মভূমিতে না ঘটে তার জন্য আমাদের সকল কে আরো সর্তক হতে হবে। জঙ্গিরা যদি নতুন কৌশল বের করতে পারে তবে আমাদের সরকার আর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও সেই কৌশল প্রতিহত করতে হবে। জামায়াত-শিবির বা অন্যকোন রাজনৈতিক দল যদি এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে সহায়তা বা ইন্দন যোগায় তবে তাদেরকেও আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।