ইসরাত জাহান লাকী॥ শুভ জন্মদিন তোমায় বঙ্গবন্ধু; তোমার জন্ম না হলে আমরা পেতাম না এই সোনার বাংলা। তোমার জন্ম না হলে আমরা পেতাম না এই স্বর্ণোজ্জল গর্বভরা ইতিহাস। তোমার জন্ম না হলে আমরা পেতাম না বিশ্বনেত্রী জননেত্রী বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নশীল ও মর্যাদাশী জাতীর পরিণত হওয়ার রূপকার শেখ হাসিনাকে। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, বাঙ্গালী জাতির অবিসংবাদিত নেতা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে ৯৮তম জন্মবার্ষিকী। গভীর শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় এই দিনটিকে বাঙ্গালী জাতি চিরদিন স্মরন রাখবে।
১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের অজ-পাড়াগাঁ মধুমতি আর বাঘিয়ার নদীর তীরে এবং হাওড়-বাঁওড়ের মিলনে গড়ে ওঠা বাংলার অবারিত গ্রাম টুঙ্গিপাড়ায় শেখ পরিবারে জন্ম নেয়া খোকা নামের শিশুটি কালের আবর্তে হয়ে উঠেছিলেন নির্যাতিত-নিপীড়িত বাঙালীর ত্রাণকর্তা ও মুক্তির দিশারী। সেই মানুষটির নিজস্ব উক্তিটি আজ মনে পড়ছে বার বার। “আমি জীবনে কখনও আমার জন্মদিন পালন করিনি। আপনারা আমার দেশের মানুষের অবস্থা জানেন, তাদের জীবনের কোন নিরাপত্তা নেই। যখন কেউ ভাবতেও পারে না মরার কথা তখনও তারা মরে। যখন কেউ ইচ্ছে করে তখনও তাদের মরতে হয়।” গভীর দীর্ঘ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে শেখ মুজিব আরও বলেন, “আমার আবার জন্মদিন কী, মৃত্যু দিবসইবা কী? আমার জীবনই বা কী? মৃত্যুদিন আর জন্মদিবস অতি গৌণভাবে এখানে অতিবাহিত হয়। আমার জনগণই আমার জীবন।”
১৯৭১ সালের ১৭ই মার্চ বিদেশী সাংবাদিকরা শেখ মুজিবুর রহমানকে তাঁর ৫২ তম জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানালে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ: দলিলপত্রের ২য় খন্ডের ৭৬১ নং পৃষ্ঠা থেকে বলছি। ছবিঃ ৩ মার্চ ১৯৭১, একটি প্রেসকনফারেন্সে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ছবি সংগ্রহ কৃতজ্ঞতাঃ মুক্তিযুদ্ধ ই-আর্কাইভ ট্রাস্ট’!