প্রশান্তি ডেক্স ॥ চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল গ্রামের সুরমা মাদ্রাসা এলাকার ৪০ দিন বয়সী শিশু আরেফিন। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে তাকে গত বুধবার দুপুরে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। কিন্তু ৫০ শয্যার একটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪০ দিন বয়সী শিশুর ভাগ্যে একটি শয্যাও জুটল না। হাসপাতালের বারান্দার মেঝেতেই চলছিল চিকিৎসা। তবে একদিন পর তার ভাগ্যে জুটল একটি শয্যা। শিশু আরেফিনের মা বলেন, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে গত বুধবার দুপুরে আমার ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করি। কিন্তু ভর্তির পর থেকে শয্যা না থাকায় মেঝেতে রাখা হয়।
শয্যার কথা বললে কর্তৃপক্ষ নেই বলে জানানো হয়। তবে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি শয্যা দেওয়া হয়। হাসপাতালে আসা প্রত্যক্ষদর্শী রাহুল দাশ নয়ন বলেন, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ৪০ দিন বয়সী একটি শিশুকে এভাবে দেখে খুব কষ্ট লাগছে। এভাবে মেঝেতে রাখার কারণে চিন্তা করছি শিশুটি সুস্থ হবে নাকি আরও ইনফেকশন হবে। তবে একটু আন্তরিক ও মানবিক হলেই একটি শয্যার ব্যবস্থা করা যেত।
বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, ভর্তির পর হাসপাতালে শয্যা খালি না থাকায় মেঝেতে রাখা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার শয্যা খালি হলে তাকে ওয়ার্ডের শয্যায় দেওয়া হয়। এমন অবস্থা চমেক হাসপাতালেও হয়। তিনি বলেন, আমি দায়িত্বশীল মেডিকেল অফিসারকে বলে দিয়েছি, যাতে শিশু ও বয়স্ক রোগীদের অবশ্যই শয্যায় রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অন্যথায় ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকি থাকে।