সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ॥ ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এর প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে সাতক্ষীরার সাত উপজেলার মধ্যে ছয় উপজেলার শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সুন্দরবন সংলগ্ন আশাশুনি ও শ্যামনগর উপজেলা বিভিন্ন এলাকায়। উপকূলীয় বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। মানুষের ঘরবাড়ি, মাছের ঘের, কাঁকড়া খামার, ফসলি জমি সুপেয় পানির পুকুরগুলো সব ভেসে গেছে। পানির তোড়ে জেলা সদরের সাথে আশাশুনি ও শ্যামগরের যোগাযোগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সাধারণ মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে না উঠলেও বাড়ির নিকটবর্তী উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়া নদীর ১৭ স্থান ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ এখনও নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মশিউর রহমান
জানান, জেলায় ৪৫৬০টি মৎস্য ঘেরের প্রায় ৩৫ কেটি টাকার মাছের ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এর প্রভাবে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এখন বলা সম্ভব নয়। গত বুধবার দুপুরের দিকে পূর্ণিমার পূর্ণ জোয়ারের সময় নদীতে ৫-৬ ফুট পানি বৃদ্ধি পায়। এ সময় শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা, পদ্মপুকুর, বুড়িগোয়ালিনি, মুন্সিগঞ্জ, কৈখালী ইউনিয়ন এবং আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা, প্রতাপনগরসহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হতে শুরু করে। একই সময় থেকে কালিগঞ্জ উপজেলা ও দেবহাটা উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ইছামতি নদী, কালিন্দি নদী ও কাকশিয়ালি নদীর পানি উপচে পার্শ্ববর্তী লোকালয়ে প্রবেশ করে ব্যাপক এলাকা প্লাবিত করেছে।