আন্তজার্তিক ডেক্স ॥ ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ বলেছেন, ১৯৩ সদস্যের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দেশটির ভোট দেয়ার অধিকার কেড়ে নিয়েছে অথচ আমেরিকার অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরান খাদ্য ও জরুরি ওষুধপত্র কিনতে পারছে না- সে বিষয়টি উপেক্ষা করে চলেছে জাতিসংঘ।
গত বৃহস্পতিবার রাতে জারিফ এক টুইটার পোস্টে বলেন, কাগজে-কলমে জাতিসংঘ ইরানকে তার ভোট দেয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করলো। ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন অর্থনৈতিক সন্ত্রাসবাদের বিষয়টি জাতিসংঘ মোটেই বিবেচনা করেনি, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরান খাদ্য কেনার মত জরুরী কাজে অর্থ ব্যয় করতে পারছে না সে বিষয়টিও উপেক্ষিত থেকে গেছে।
এর একদিন আগে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি ভলকানো বোজরিখকে লেখা এক চিঠিতে জানিয়েছেন, ইরানকে ভোটের অধিকার ফিরে পেতে হলে এক কোটি ৬২ লাখ ৫১ হাজার ডলার পরিশোধ করতে হবে। জাতিসংঘ সনদের ১৯ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুসারে যেসব দেশ দুই বছর জাতিসংঘকে বার্ষিক চাঁদা দিতে ব্যর্থ হবে, সাধারণ পরিষদে তাদের ভোটের অধিকার বাতিল হবে। এই কারণে ইরান, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, কমোরোস, কঙ্গো, লিবিয়া, নাইজার, সাও তোমে এন্ড প্রিনসিপ, দক্ষিণ সুদান এবং জিম্বাবুয়ের ভোটের অধিকার বাতিল হয়েছে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে বিভিন্ন দেশে আটকে থাকা অর্থ সংগ্রহ করতে পারছে না ইরান। ফলে জাতিসংঘের চাঁদা দিতে পারেনি বলে দাবি ইরানের।