ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ কসবায় ৯ম শ্রেনীতে পড়–য়া এক ছাত্রীকে ফুঁসলিয়ে এসে জোরপূর্বক ধর্ষনের ঘটনায় শাহিন মিয়া (২২) নামে এক লম্পটকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত শাহীন মিয়া উপজেলার গোপিনাথপুর গ্রামের মৃত আনোয়ার মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার ছাত্রীর মা রহিমা বেগম বাদী হয়ে শাহীনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পুলিশ তাকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে ।
ছাত্রীর মায়ের করা অভিযোগসুত্রে জানা যায়, ওই ছাত্রী স্কুলে আসা যাওয়ার পথে উত্যক্ত করতো শাহীন মিয়া। এক সময় দুজনের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়। গত শনিবার (৩ জুলাই) শাহীন ওই ছাত্রীকে বিয়ে করার কথা বলে তার কথিত এক ভাবীর বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে লোকজন না দেখে ওই ছাত্রী জানতে চায় লোকজন কোথায়। শাহীন লোকজন ও কাজী সাহেব আসছে বলে ফুসলিয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষক করে। পরে ওই ছাত্রীকে ভয় দেখায় কাউকে না বলতে। কাউকে বললে প্রাণে মেরে ফেলা হবে। পরে শাহীন ওই ছাত্রীকে তার বাড়ির নিকটে সিএনজি থেকে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। বাড়িতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী তার মাকে বিস্তারিত জানায়। পরে মা রহিমা বেগম ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় গন্যমান্য লোকজনদের জানায়। গ্রাম্য বিচারকদের সময়ক্ষেপনের কারনে থানায় মামলা করতে দেরী হয়। গতকাল শাহীনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
অপরদিকে গত বৃহস্পতিবার উপজেলা পৌর শহরের শীতল পাড়া এলাকায় তের বছরের এক প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় ওই প্রতিবন্ধী কিশোরীর মা নুরনাহার বেগম বাদী হয়ে রাব্বি মিয়া (২৩) নামে ওই লম্পটের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। অভিযুক্ত রাব্বী মিয়া শীতল পাড়া এলাকার মৃত বাবুল মিয়ার ছেলে।
প্রতিবন্ধী কিশোরীর মায়ের করা অভিযোগে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার ওই কিশোরীকে ঘরে রেখে তার মা বাহিরে যায়। এই সুযোগে ওই প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ঘরে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে রাব্বী মিয়া। ওই কিশোরীর আর্তচিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে লম্বট রাব্বী মিয়া দৌড়ে পালিয়ে যায়। কিশোরী মা বাড়িতে এসে মেয়ের অবস্থা দেখে এবং প্রতিবেশীদের কাছে শুনে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর রঙ্গু মিয়াকে জানায়। তিনি থানায় মামলা করার পরামর্শ দেন। পরে কিশোরীর মা নুরুন্নাহার বেগম গত বৃহস্পতিবার ৮ জুলাই রাতে রাব্বী মিয়াকে আসামী করে থানায় মামলা করেন।
কসবা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ আলমগীর ভ’ইয়া জানান, পৌরএলাকার শীতলপাড়া ও গোপিনাথপুরে দুটি ঘটনায় ধর্ষনের অভিযোগ হয়েছে। গোনিথাপুরের শাহীন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অপর মামলা আসামী রাব্বীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ধর্ষণের শিকার কিশোরীদের ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।