ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ কসবায় কঠোর লক ডাউন ও প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে সীমান্তবর্তী নয়নপুরের গরু বাজার গতকাল (৮জুলাই) বৃহস্পতিবার বসেনি। তবে ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী মাদলা ও পুটিয়ায় সিএনজি স্ট্যান্ডে ভারতীয় গরু বিভিন্নভাবে ক্রয় করে পিকআপ ভ্যান দিয়ে গরু দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রেরণ করা হয়েছে। জানা যায় ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীরা সীমান্তের পুটিয়া ও খাদল-মাদলা সিএনজি স্ট্যান্ডে বিক্ষিপ্তভাবে গরু বিক্রি করেছে।
গত সপ্তাহে সীমান্ত থেকে কৈখলা পর্যন্ত ত্রিপুরার ঢলের পানি থাকায় গত বৃহস্পতিবার ও রবিবার বাজার বসেনি। বাজার ইজারাদারদের আশা ছিলো ঈদের আগে গতকাল বৃহস্পতিবারের বাজারটি পুরোদমে চলবে। কিন্তুু আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নির্দেশে প্রশাসন কঠোর হওয়ায় বাজার অনুষ্ঠিত হয়নি। তবে বাজার না বসলেও প্রতিদিন সীমান্ত থেকে যেভাবে গরু পিকআপ ভ্যানে পাচার হয় তা অব্যাহত ছিলো। তবে অন্যান্যদিনের চেয়ে কিছুটা কম।
বায়েক ইউপি চেয়ারম্যান আল মামুন ভূইয়া জানান-লকডাউনকালে নয়নপুরে গরু বাজার বসার বিষয়টি নিয়ে আমরা কঠোর অবস্থানে। মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশ কোনোক্রমেই গরুর বাজার চলবেনা। তিনি আরো জানান কসবায় এখন করোনা পজেটিভ মারাত্মক বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বুধবার বিকেলে স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে ৫২ জনের মধ্যে ২৭ জনের করোনা পজেটিভ এসেছে। এর মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তাই প্রশাসন ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীরা গরু নিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এসে গরু বিক্রি প্রসংগে মুঠোফোনে জানতে চাইলে ৬০ বিজিবি‘র অধিনায়ক কর্নেল মেহেদী হাসান বলেন , ভারতীয় গরু বাংলাদেশে প্রবেশ করে এটা আমরা অবগত আছি, তবে কোনো ব্যবসায়ী বাংলাদেশে প্রবেশ করে এমন খবর পাওয়া গেলে আমাদের দেখিয়ে দিলে আমরা তাদের আটক করবো।