ক্রেতা কমেছে, দাম কমেনি

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ দেশজুড়ে কঠোর বিধিনিষেধের কারণে রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজারে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় ক্রেতার ভিড় এখন বেশ কম। তবে পণ্যের দামে তা প্রভাব ফেলেনি। উল্টো পাড়া–মহল্লার দোকানে প্রায় সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। অবশ্য বড় কাঁচাবাজারে চালের দাম বাড়েনি।
মহল্লার দোকানে চালের মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে মোহাম্মদপুর, কাটাসুর ও মিরপুর এলাকার তিনজন বিক্রেতা বলছেন, ‘লকডাউনের’ কারণে পণ্য আনা–নেওয়ার খরচ বেড়েছে। মূলত এ জন্যই চালসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের দাম কেজিতে দু–এক টাকা করে বেশি নিচ্ছেন তাঁরা।
রাজধানীর তিনটি কাঁচাবাজারে গত বৃহস্পতিবার মোটা পাইজাম চালের খুচরা মূল্য ছিল প্রতি কেজি ৪৫ থেকে ৪৬ টাকা। বিআর-২৮ চাল প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকায়। আর মিনিকেট ৬০-৬২ টাকা এবং নাজিরশাইল চাল প্রতি কেজি ৬৮ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কয়েক সপ্তাহ ধরেই কমবেশি এই দরেই চাল বিক্রি হয়ে আসছিল।
তবে গত মোহাম্মদপুর ও মিরপুরের বিভিন্ন মহল্লার দোকানে বিআর-২৮ চাল প্রতি কেজি ৫২ থেকে ৫৩ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর মিনিকেট চাল ক্রেতাদের কাছ থেকে মহল্লার দোকানিরা নিয়েছেন প্রতি কেজি ৬৩ থেকে ৬৫ টাকা। মোহাম্মদপুরের নুরজাহান সড়কের মুদিদোকানি জব্বার হোসেন বলেন, লকডাউনের কারণে পরিবহন খরচ বেড়েছে। রাস্তায় নামলেই ট্রাক ও পিকআপের চালকদের মামলা, জরিমানা গুনতে হচ্ছে। চালকেরা তাই গাড়িভাড়াও বাড়িয়ে দিয়েছেন।
সবজির দাম নতুন করে বাড়েনি। আলু প্রতি কেজি ২৫ টাকা, পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৫৫ টাকা, রসুন (আমদানি) প্রতি কেজি ১৪০ টাকা, আদা (আমদানি) প্রতি কেজি ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ শুরুর এক দিন আগে গত ৩০ জুনও এসব পণ্য ওই দরেই বিক্রি হয়েছিল। যদিও লকডাউন ঘোষণা হবে, এই খবর প্রচার হওয়ার পর একলাফে আলুর দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ২৫ টাকা হয়ে যায়। একইভাবে দেশি পেঁয়াজের দামও কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে যায়।
পটোল, চিচিঙ্গা, ঢ্যাঁড়স, বেগুন, বরবটি, কাঁকরোল, পেঁপে ও করলা প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কাঁচা মরিচের দরও প্রতি কেজি ৪০ টাকা। গত মাসের শেষে বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটারে ৪ টাকা কমিয়ে ১৪৯ টাকা করা হয়। তবে নতুন এই দামের তেল এখনো বাজারে আসেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.