নয়ন॥ এ মাসে স্বাধীনতার ৪৬ বছর উদযাপন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ মধ্যরাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন পূর্ব পাকিন্তানের জনগণকে স্বাধীনতার লড়াইয়ে নামতে আহ্বান জানান। তার পরের নয় মাস রীতিমতো দুঃস্বপ্নের মধ্যে যেতে হয় বাংলাদেশকে। নির্বিচার নৃশংসতা ও যুদ্ধাপরাধে লিপ্ত পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ও তাদের দোসরদের হাতে সংঘটিত এক গণহত্যার শিকার হয় ৩০ লক্ষ মানুষ। সদ্যজাত রাষ্ট্রটিকে মেধাশূন্য করতেই তারা নিশানা করেছিলো বুদ্ধিজীবী, অধ্যাপক, শিল্পী এবং অন্যান্য উচ্চ শিক্ষিত বাঙালিদের।’
আজ যখন বাংলাদেশ মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে এবং অধিকার ও স্বীকৃতি দু’টোই আদায় করে নিচ্ছে একের পর এক ঠিক তখনই আঘাত করে যাচ্ছে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি ও এর এদেশিয় দোসররা। যার সঙ্গে এখন যুক্ত হচ্ছে আন্তর্জাতিক শক্তির চক্রান্ত। সবকিছুকে ছাপিয়ে যখন আমরা এগিয়ে যাচ্ছি তখন জঙ্গি হামলা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে অহরহ। এই স্বাধীনতার মাসে বলতে চাই জঙ্গি হামলা এবং স্বাধীনতা ও বাংলাদেশের শত্রুদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই বরং মাথা উঁচু করে এদের চিরতরে নির্মূলের কাজে ঝাপিয়ে পড়তে আমি আহবান জানাচ্ছি এদেশের তৃতিয় প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধাদের। আমরা এখনও দুইলক্ষ মুক্তিযোদ্ধা জীবিত আছি সুতরাং আমরা আবার আস্ত্র ধরব। সরকার প্রাধানের উন্নয়ন কর্মকান্ড চলমান ও গতিশীল করার লক্ষে একযোগে কাজ করে যাব আমৃত্যু এই প্রত্যাশা রেখে আজকের জন্য বিদায়।