কসবায় ভাতিজা কাসেমের ধর্ষনের শিকার চাচী ; থানায় মামলা

ভজন শংকর আচার্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ ভাতিজার ধর্ষনের শিকার হলো চাচী। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার বায়েক গ্রামে আবুল কাসেম নামক এক যুবক তার প্রবাসী চাচার স্ত্রীকে ধর্ষণ করে । গোষ্টীর লোকেরা বিচার করার নামে কালক্ষেপন করে প্রহসনমুলক বিচারে বসলে প্রবাসীর স্ত্রী ওই সালিশ প্রত্যাখ্যান করে কসবা থানায় মামলা দায়ের করে। গত বুধবার (১৮ আগস্ট) সকালে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। থানায় দায়েরকৃত মামলার বিবরনে প্রকাশ, কসবা উপজেলার বায়েক গ্রামের মমিন মিয়ার পুত্র আবুল কাসেম একজন নারী লোভী, মাদক ব্যবসায়ী ও অসৎ প্রকৃতির লোক। ধর্ষিতা ও কাসেমের বাড়ী পাশাপাশি। ধর্ষিতা রমনীর স্বামী ও একমাত্র পুত্র বিদেশে চাকুরী করে। মাধ্যমিক স্কুলে পড়–য়া এক কন্যাসহ ওই রমনী বাড়িতে থাকেন । গত ২২ জুলাই ওই রমনী রাত ১০টায় ঘরের বাইরে টিউবওয়েল থেকে পানি আনতে গেলে ধর্ষক লুকিয়ে ঘরে ঢুকে পালিয়ে থাকে। রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টায় ওই রমনীকে ঝাপটাইয়া ধরে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। তার আর্তচিৎকারে পাশের রুমে থাকা মেয়ে এসে দেখে ফেললে ধর্ষক আবুল কাসেম দৌড়ে পালিয়ে যায়।
পাড়ার সর্দারগন সালিশের কথা বলে সময় কালক্ষেপন করে এবং একপর্যায়ে সালিশ বসে। সেখানে এক সন্তানের পিতা ধর্ষক কাসেম ধর্ষনের কথা শিকার করে। ধর্ষিতা রমনীকে সালিশে থাকার কথা বললে তিনি সালিশ থাকেননি। ধর্ষিতা রমনী জানায় এঘটনায় সে অসুস্থ হয়ে ডাক্তারের নিকট চিকিৎসাধীন আছে। পাশ্ববর্তী বাড়ির ফাহমিদা আক্তার জানান, এ ঘটনায় আমরা মুখ দেখাতে পারছিনা। ভিকটিমের মেয়ে জানান, মামলা করার পর আমাদের হুমকি দিচ্ছে। পাড়ার সর্দার গিয়াসউদ্দিন মাষ্টারকে বাড়িতে এবং ফোনে পাওয়া যায়নি। গ্রামের বাশার সর্দার বলেন, ঘটনা সত্য। কাসেমকে জুতা পেটা করেছি কিন্তু ওই মহিলা বিচার মানেনি। কসবা থানা ওসি আলমগীর ভ’ইয়া জানান; গত ১৩ আগষ্ট কাসেমের বিরুদ্ধে ধর্ষিতা রমনী থানায় মামলা করে। গত ১৪ আগষ্ট ভিকটিমের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ডাক্তারী পরীক্ষা করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.