কসবা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জ্ইাকার সহযোগিতায় উপজেলা পরিষদের ২০ শয্যা বিশিষ্ট সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ড নির্মান কার্যক্রম দুই সপ্তাহ যাবত বন্ধ রয়েছে। ফলে প্রায় তিন লাখ উপজেলাবাসী করোনা রোগীদের নিয়ে হতাশ।
কসবা উপজেলার করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কসবায় মারাত্মক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। করোনা এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে প্রায় শতাধিক মানুষ মারা গিয়েছে। কসবা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে কেউ কোনো যথাযথ সেবা পায়নি অক্সিজেনের অভাবে। ফলে অধিকাংশ রোগীই ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছে। আবার কেউ লাশ হয়ে ফিরে এসেছে।
কসবার এমন দুরবস্থা দেখে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এমপি’র চেষ্টায় জাইকার সহায়তায় এবং উপজেলা পরিষদ এই প্রকল্পটি হাতে নেয়। অক্সিজেন প্ল্যান্ট ওয়ার্ডে প্রতিস্থাপনে ১৬ লাখ ১৫ হাজার টাকা ব্যায় ধরা হয়। দরপত্র বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই কাজ পায় সেভগার্ড হেলথ কেয়ার নামে একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি গত জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে কাজ শুরু করে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ অরুপ পাল বলেন; গত দুই সপ্তাহ যাবত কাজ বন্ধ রয়েছে। ফলে আমরা কোনো রোগীকে আইসোলেশনে রাখতে পারছিনা।
জাইকার প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম বলেন; সবকিছুর ব্যবস্থা করা হলেও ঠিকাদারের গড়িমসির কারনে কাজ বন্ধ রয়েছে। মুঠোফোনে যোগাযোগ করে ঠিকাদারকে পাওয়া যাচ্ছেনা।
এ বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সেভগার্ড হেলথ কেয়ারের জেনারেল ম্যানেজার মাসুদুল আলম সানি বলেন, লোকবলের অভাবে কিছুদিন যাবত কাজ বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে তার লোকজন কিশোরগঞ্জে কাজ করছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ উল আলম বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আইসোলেশন ওয়ার্ডের সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্টের কাজ চলমান থাকার কথা। কাজ বন্ধ থাকার বিষয়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আমাকে কিছু বলেননি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।
কসবা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভ’ইয়া জীবন বলেন, গত মাসেই ঠিকাদার জরুরী ভিত্তিতে অক্সিজেন আইসোলেশন প্ল্যান্ট’র কাজ শেষ করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো । কেন এমনটি হলো আমি তাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করবো।