ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিনই টিকা নিতে আসছে শত শত মানুষ। কিন্তু সবাই নিবন্ধিত। প্রতিদিন টিকা নিতে সাধারন মানুষ বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। কারন গ্রহিতার তুলনায় নিবন্ধিত মানুষের সংখ্যা প্রায় চারগুন বেশী। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে লাইনে দাঁড়িয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে মানুষকে। এতে করে লংগিত হচেছ স্বাস্থ্যবিধি। কমপ্লেক্সের কতিপয় অসাধূ লোকজনকে টাকা দিলে দ্রুত ম্যাসেজের ব্যবস্থা করে দেয়ার অভিযোগও রয়েছে।
গতকাল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, মোবাইলে বা বিভিন্ন কম্পিউটারের দোকান থেকে টিকার জন্য রেজিষ্ট্রেশন করেছেন তারা ম্যাসেজের জন্য প্রতিদিনই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভীড় করছে ম্যাসেজের জন্য। কারন মোবাইলে ম্যাসেজ না আসা পর্যন্ত টিকা গ্রহন করতে পারছেনা কেউ। রেজিষ্ট্রেশনের পর থেকে প্রায় তিন থেকে চার সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও মেসেজ না আসায় মানুষ ছুটে আসছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সমস্য নিরসনে। উপজেলার সকল এলাকা থেকে লোকজন এসে ভীড় জমাচ্ছে কমপ্লেক্সে। গ্রামাঞ্চলের সাধারন মানুষদের মধ্যে অনেকেই মনে করছেন রেজিষ্ট্রেশন করলেই বুঝি টিকা নেয়া যায় এটা ভেবেও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স্রে এসে টিকা নিতে ভীড় করছেন। এ পর্যন্ত উপজেলায় টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন ৯৪ হাজার ৫৬৪জন। প্রথম ডোজ টিকা গ্রহন করেছেন ২৪ হাজার ৬৩০ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৫২৭ জন। নিবন্ধিত লোকজনের মধ্যে টিকা নিতে পারেননি এখনো ৬৯ হাজার ৯৩৪ জন। এছাড়া প্রবাসীদের মধ্যে পাসপোর্টের মাধ্যমে নিবন্ধিত হয়ে প্রথম এবং দ্বিতীয় ডোজের টিকা গ্রহন করেছেন ৬৪৭ জন । নিবন্ধনের প্রায় চারভাগের এক ভাগ মানুষ টিকা পেয়েছেন।
কসবা প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সভাপতি মো.সোলেমান খান বলেন, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলে দেয়ার পরও এক কর্মচারী র্যাপিড এন্টিজেন্ট টেস্ট করাতে আমার কাছ থেকে ১শত টাকা নিয়েছে। তাহলে সাধারন মানুষও তাদের টাকা দিয়ে টেস্ট করাতে হচ্ছে। লোকজন ম্যাসেজের বিষয়েও হয়রানীর শিকার হচ্ছে কতিপয় অসাধূ কর্মচারীদের নিকট।
আনোয়ার হোসেন উজ্জল বলেন, প্রায় তিন সপ্তাহ আগে রেজিষ্ট্রেশন করেছি। কয়েকদিন আগে রেজিষ্ট্রেশন ফরম জমা নেন কমপ্লেক্সের ষ্টাফ বেলাল হোসেন মেসেজের সমাধান করে দেয়ার জন্য। গতকাল শনিবার হাসপাতালে গেলে তার রেজিষ্ট্রেশন ফরমটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা বলে জানায়। বিভিন্ন ভাবে মানুষ বিড়ম্বনা ও হয়রানীর শিকার হচ্ছেন। স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বালাই নেই। হাসপাতালের কতিপয় অসাধূ লোকজন মেসেজের কিøয়ারেন্স দিতে মানুষের কাছ থেকে টাকা নেয়ার অভিযোগও করেন তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ অরুপ পাল বলেন, মানুষকে চেষ্টা করেও স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে সচেতন করা যাচ্ছেনা। মেসেজের বিষয়ে কেউ টাকা দাবী করে এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। তবে বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখছি। হাসপাতালের কেউ এমন কাজে জড়িত থাকলে তার বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্র্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।