আজ আবারো বসতে হলো সেই পুরোনো এবং নতুনের হালখাতা নিয়ে। জীবনের এই হালখাতাই এখন প্রত্যেকেই দন্ডায়মান। আজ আমরা শিখতে ও বুঝতে পেরেছি যে, করোনা পরবর্তী বিশ্ব প্রতিযোগীতাই টিকে থাকতে হলে এখনই প্রস্তুুত হতে হবে; তবে সেই প্র¯ু‘ত হওয়ার নিরীখেই এখন তরিঘরি করে প্রস্তুুতি নিচ্ছে জাতি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সেই খেই হারিয়ে এখন প্র¯ু‘তি নিচ্ছে পুরোনো এবং নতুনকে স্বাগত জানানোর জন্য। তবে এই প্রস্তুুতির স্থায়ীত্ব কতটুকু তাও ভেবে দেখার বিষয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনেক আগে থেকেই স্কুল কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিয়ে প্রস্তুুতির প্রান্তরে এগিয়ে যাচ্ছে তাক লাগিয়ে; আবার কেউ কেউ ঐ প্রস্তুুতিতেও বাধার ঢেউ তুলছে বা আওয়াজ তুলে যাচ্ছে। যাতে নতুন শঙ্কায় আবার জর্জরীত হতে পারে বিশ্ব। তবে এই শঙ্কাকে মোকাবেলা বা কাটিয়ে উঠারও প্রস্তুুতি নতুন করে এখনই নিয়ে রাখতে হবে।
কোন কোন দেশে বা রাষ্ট্রের প্রধানের দ্বারা বাধ্যতামূলক টিকার ব্যবস্থা গ্রহন করার কোন বিকল্প নেই। তবে সেইসব দেশের রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানরাইতো স্বাধীনতা বলে বড় গলায় আওয়াজ তুলে বা চিৎকার করে। কিন্তু আজ সেই স্বাধীনতায় কেন তারা জোড় পুর্বক বাধা দিয়ে অগ্রসরমান পৃথিবীকে দাবিয়ে রাখতে চেষ্টা করছে? অথবা শক্তি এবং ক্ষমতা ও আইন দিয়ে পৃথিবীকে নতুন একটি বাস্তবতায় রূপদান করতে মরিয়া হয়ে আছে। যারা স্বাধীনতা নিয়ে বেশী আওয়াজ তুলে তারাই কিন্তু স্বাধীনতাকে খর্ব করে এমনকি শক্তি প্রয়োগের দৃষ্টান্তে অগ্রজে থাকে। কে টিকা নিবে আর কে নিবে না সেটা তার বা প্রত্যেকের ব্যক্তিগত বিষয়। আমার জীবন আমার; তাই আমিই আমার জীবন সম্পর্কে ভাল ও মন্দের সিদ্ধান্ত নেব। এটাই হলো বাস্তবতা এবং সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছার পরের ধাপ; কিন্তু এইক্ষেত্রে বাধা বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীরা কিন্তু বর্তমানে একাট্ট্রা হয়ে জোট বেধেছে। তাই সাধু সাবধান আগামীর কল্যাণ ও পরিকল্পনা এবং প্রস্তুুতির ক্ষেত্রে।
আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার অচলায়তন ভেঙ্গে নতুনের কেতন উড়ানোর জন্য প্রস্তুুতি চলছে তবে এই প্রস্তুুতিটা অল্প সময়ের মধ্যে সাধিত বলে কিছু ঘাটতি রয়েই যাচ্ছে। তবে ধীরে ধীরে এর ক্রমোন্নতি সাধিত হবে বলে ধরে নেয়া যায়। তবে কিছু কিছু স্কুল এখনও সরকারের বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে প্রস্তুুতি সম্পন্ন করতে অপারগ এবং তারা আরো কিছুটা সময় নিয়ে স্কুলে খুলে স্বশরীরে শিক্ষার ব্যবস্থা করবে বা করতে চায়। তবে এই ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মাধ্যমে বা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল গুলোই অগ্রজে। এখানেও সরকার দৃষ্টিপাত দেয়া জরুরী এবং দেশীয় আইন অমান্য বা লংগনের শাস্তি বিরাজমান রেখে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা জরুরী এবং সময়ের দাবী। যেহেতু স্কুলগুলো অনলাইনে পড়ালেখা চালিয়ে গার্ডিয়ানদের পকেট খালি করেছে এবং বিস্তর ফারাকসহ শিক্ষার ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়েছে সেহেতু সরকার কোন প্রতিকার বা ভ্রুক্ষেপ না করে বরং বাস্তব দৃশ্যমানতা এবং আইন পালনে বাধ্য করানো সময়ের দাবী। তবে কোন আশংকা বা ভীতি এমনকি বৈশ্বিক চাপের কাছে মাথা নত না করে এই চলমান শিক্ষা ব্যবস্থার নেয়া পদক্ষেপকে অগ্রসরমান রাখা জরুরী। কোন ভাবেই আর কোন অহেতুক ছোতুয় এই শিক্ষায় বা শিক্ষা ব্যবস্থাকে পথে বসানো থেকে বিতর থাকার অনুরোধ করছি। এমনি ঐ কারনে মানুষের মনের এবং শিক্ষার ও শিক্ষানুরাগীদের বিরাগভাজনের কারণে পরিণত না হওয়ার অনুরোধ রাখছি। স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা এই দুই বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্তরা যেন আর কোন ভুলের ফাঁদে পা না দেন সেই কামনাই করছি।
পিছিয়ে পড়াদের অগ্রগতিতে প্রস্তুুতি নিয়ে দৃশ্যমান বাস্তবায়ন জরুরী। ঝড়ে পড়াদের ফিরিয়ে আনার কাজেও নতুন আঙ্গিকে প্রস্তুতি নিতে হবে। দুই প্রস্তুুতিতেই পুরোনো এবং নতুনের ঝলক রাখতে হবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিনোদন, আনন্দ এবং খাবার এমনকি পারিবারিক মৌলিক চাহিদা পুরণের ক্ষেত্রেও দৃষ্টিনন্দন দায়িত্ববোধ জাগ্রত রেখে নতুন পরিকল্পনায় এগিয়ে যেতে হবে। ঘুনে ধরা ও ঘরে বসা জ্ঞানপাপীদের পরামর্শের বাইরে গিয়ে নতুন কিছু করে দেখাতে হবে। নতুবা ঐ ঘুনেধরা সমাজের মাজা বা কোমর ভেঙ্গে তছনছ হয়ে চলমান উন্নয়ন ও গতিময়তা থেকে ছিটকে পড়ার সম্ভাবনা বেশী কাজ করবে। তাই এই পিছিয়ে পড়া থেকে অগ্রগতির অগ্রজে অবস্থান করা পুরোনো ও নতুনের সংমিশ্রনের প্রস্তুুতিতে করোনার চেয়েও শক্তিশালী দৃশ্যমান ভুমিকা রাখতে হবে। যা দেখে বিশ্ব এবং সকল অপশক্তির
অপ-তৎপরতা মুখ থুবরে পড়বে। কোন ভাবেই ভয়ের সঙ্গে বা সন্ধেহের সঙ্গে এমনকি বিশ্ব ভয়ের সংস্কৃতির সঙ্গে আপস করা চলবে না। বরং এই ভয়ের সংস্কৃতি থেকে বেড় হয়ে এসে যাবতীয় কার্য সম্পাদনে সাহসী বীরের ভুমিকা কথা ও কাজে এমনকি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান রাখতে হবে। চিন্তা এবং কাজের সমন্বয়ের ফল কথার মাধ্যমে প্রকাশ করে স্কয়ারে পরিণত করতে হবে। এই জাতির উন্নয়নে পরিলক্ষিত স্কয়ারকে কিউবিক আঙ্গিকে নেনো গতির চেয়ে দ্রুতলয়ে এগিয়ে নেবে আগামীর প্রজন্ম। তাই ঐ প্রজন্মকে গুরুত্ব দিয়ে এখনই প্রস্তুুতের প্রস্তুুতির লক্ষনে পদক্ষেপ নিয়ে দ্রুতলয়ে এগুতো হবে। আসুন আমরা বিশ্বভয়কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাই আমাদের সম্ভাবনাময় আগামী প্রজন্মকে। আর নয় করোনাকে ভয়; আর নয় ডেঙ্গুকে ভয়, আর নয় মহামারীকে ভয় বরং প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোড়ালো করে বিশ্বকে ভয়ের সংস্কৃতি থেকে এমনকি শান্তি ও স্থিতিশীলতা এবং নিশ্চিত নিশ্চয়তার বন্ধনে আবদ্ধ করি। এই কাজটুকু আমরাই শুরু করি এবং বিশ্বকে উপহার হিসেবে সাহস এবং শক্তি ও মনোভলের যোগানে এগিয়ে নিই।
রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও শুরু হয়েছে প্রস্তুুতির। হ্যা এটাই শুভ এবং যুগান্তকারী পদক্ষেপ। রাজনীতি হতে হবে জনবান্ধব এবং জনকল্যাণের নিম্মিত্তে। তাই শুধু সমালোচনা এবং পদের অধিকারী হয়েই ক্ষান্ত তা কিন্তু রাজনীতি নয়। তাই এই করোনা রাজনীতিকে ঘরবন্ধী এমনকি নেতিবাচক মিডিয়া বন্ধীতে পরিণত করেছে। আর এর থেকে বের হওয়ার এখনই উপযুক্ত সময়। তাই বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ এবং এক কথা বাংলাদেশের জনক ও ধারক এবং বাহকদের কাছ থেকেই রাজনীতির নিতি ও এর উত্তরনের ব্যবস্থা দৃশ্যমান হয়েছে। তাই যারা এই আওয়ামী লীগ থেকে বের হয়ে বিভিন্ন ছোট ছোট দলে এমনকি উপদলে ভাগ হয়ে রাজনৈতিক সহযোগী হিসেবে কাজ করছে; তারা কিন্তু আওয়ামী লীগের পদলেহন করে অথবা আওয়ামী লীগের কাজ থেকেই শিক্ষা নিয়ে সামনে এগুবে। আর এই কাজটিই সুসম্পন্ন করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ। বিচক্ষণ নেতৃত্বগুণ এবং দুরদর্শী চিন্তা ও সুদূরপ্রসারী মনেবলের পরিচয় বহনকারী মুজীব কন্যা তার প্রজ্ঞার ফল প্রকাশ করেছেন দলীয় উপদেষ্টা ও প্রেসিডিয়ামদের নিয়ে মিটিং করে দিকনির্দেশনা দিয়ে। তিনি আগামী নির্বাচনের প্রস্তুুতি নিতে যে আদেশ দিয়েছেন তা যুগান্তকারী। দলীয় সংগঠন এর উপ কমীটিগুলোকে নতুন পরিকল্পনা প্রনয়ন করতে এবং প্রস্তুতি নিতে যে আদেশ দিয়েছেন তার উপর ভরসা করেই দল, রাজনীতি এবং সরকারের ভারসাম্য রক্ষা ফলপ্রসু হবে।
এই প্রস্তুুতির মাধ্যমেই জনকল্যানের আবশ্যকতা বিরাজমান রয়েছে। এই আহবানের মাধ্যমে রাজনীতির নীতি ও আদর্শ এবং দেশ সেবার মনোভাবের বহি:প্রকাশ জাগ্রত রয়েছে। এই আহবানের মাধ্যমেই রাজনীতির হাতেখড়িতে শিক্ষা নিয়ে এগুনোর দিক্ষা রয়েছে। তবে এই ক্ষেত্রে বলতে হয় ক্ষমতা এবং পদ এই দুই-ই কিন্তু সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত। আর সৃষ্টিকর্তা উপযুক্ত ব্যক্তিকেই নির্বাচিত করে দায়িত্ব অর্পন করান। তবে সেই দায়িত্ব ততদিনই দীর্ঘায়ীত হই যতদিন ঐ দায়িত্ব সৃষ্টিকর্তার অভিপ্রায়ে পরিচালিত হয়। এই ক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উর্ত্তীর্ণ হয়েছেন সৃষ্টিকর্তার অভীপ্রায়ের পরীক্ষায়। তাই তিনি এই জাতির কল্যাণের তরে তাঁর জীবন উৎসর্গ করবেন এবং পৃথিবীর ইতিহাসে পিতার পরে নিজের নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখিয়ে সমুজ্জ্বল করে রাখবেন। এটাই বাস্তবতা এবং আগামীর আগাম ভবিষ্যতবানী।
সকল বিষয়েই পুরোনো এবং নতুনের সমন্বয়ে প্রস্তুুতি নেয়া হউক। আর এই প্রস্তুুতি নেয়ার সময় এখনই। আল্লাহর আদেশে যেমন বলা আছে সবকিছুরই একটা সময় আছে। সেই অনুযায়ী বলা যায় নতুন ও পুরোনোর সমন্বয়ে প্রস্তুুতি নেয়ার সময়ও এখনই। আসুন এই প্রস্তুুতিতে স্ব স্ব অবস্থান থেকে অবধান রাখি। ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করি এবং সকল নেতিবাচকতাকে পরিহার করি। নতুন ও পুরোনোর সমন্বয়ের প্রস্তুুতিতে নেতিবাচকতা পরিহারের চর্চার ব্যবস্থা উদ্ভাসিত থাকুক এবং ইতিবাচক সকল কর্মকান্ড দ্রুতলয়ে অগ্রসর হওয়ার কাজ চলমান থাকার ব্যবস্থা সকল অপচেষ্টামুক্ত থাকুক। আসুন আমরা এই ক্ষেত্রে স্ব স্ব দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়ে প্রস্তুুতিতে কাজ করি। নিজেদেরকে প্রস্তুুতির সঙ্গে একাগ্রচিত্তে নি;শর্ত বন্ধনে আবদ্দ করে আগামীর কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ হয়ে অগ্রসর হই। জয় আমাদের হবেই নিশ্চিত। এই ক্ষেত্রে সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাস এবং নির্ভরতা ও ঈমান রেখে নির্ভয়ে, সন্দেহতীতভাবে এগিয়ে যাবো; তাহলেই জয় নিশ্চিত।