কিশোরগঞ্জে সব হীরার জন্ম হয়: প্রধানমন্ত্রী, ইলিয়াস কাঞ্চনকে

রাইসলাম॥ গত রবিবার ২৬মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে বঙ্গভবনে এক সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে অত্যন্ত হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে আলাপচারিতায় মেতে ওঠেন বঙ্গকন্যা দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনা ও নিরাপদ সড়ক চাই- এর চেয়ারম্যান জননন্দিত তারকা চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। আলাপচারিতায় দু’জনকে বেশ হাস্যোজ্জলভাবে কথা বলতে দেখা যায় এবং চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনকে দেখেই জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রথমে ধন্যবাদ জানান এবং দেশের সড়ক দুর্ঘটনারোধে সামাজিক আন্দোলন নিরাপদ সড়ক চাই- এর কর্মকান্ডে বিশেষ অবদান রাখায় ভূয়সী প্রশংসা করেন। এসময় চিত্র নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সহযোগিতা এবং দোয়া কামনা করেন। আলাপচারিতায় একসময় ইলিয়াস কাঞ্চন হাসিমুখে বলেন, আমি কিন্তু কিশোরগঞ্জের ছেলে তখন প্রধানমন্ত্রীও হাস্যোজ্জলমুখে বলে ওঠেন হ্যাঁ আমি জানি কিশোরগঞ্জে সব হীরার জন্ম হয়।
গতকাল রোববার বিকেল পৌনে ৫টায় বঙ্গভবন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগত অন্যান্য অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন সে সময় ইলিয়াস কাঞ্চনের সাথে প্রধানমন্ত্রীর এসব কথা হয়। ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, বঙ্গভবন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি অংশগ্রহণ করেন এসময় প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রিত অতিথিদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার সময় সেখানে উপস্থিত কিশোরগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা কর্মিরা ইলিয়াস কাঞ্চনকে সাথে করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যান। প্রথমে সালাম বিনিময়ের পর প্রধানমন্ত্রী নিজেই আগ্রহ নিয়ে ইলিয়াস কাঞ্চনের কাছে এসে জিজ্ঞাসা করেন আপনি কেমন আছেন- এরপর তিনি ইলিয়াস কাঞ্চনকে ধন্যবাদ জানান সড়ক দুর্ঘটনারোধে কাজ করার জন্য। সৌহার্দ্যপূর্ণ আলাপচারিতায় আন্তরিকতার সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিসচা’র কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, আপনি (ইলিয়াস কাঞ্চন) বেশ ভালো কাজ করছেন এবং নিষ্ঠার সাথে দেশের জন্য এভাবে কাজ করে যাবারও আহবান জানান। এসময় ইলিয়াস কাঞ্চন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমরা সবাই এই দেশের মানুষ- এই দেশ আমাদের সকলের। আমরা সবাই মিলে যেন দেশটাকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে পারি আপনি দোয়া করবেন। এসময় দেশ ও জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে এবং সকলের চলার পথ নিরাপদ করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী।
সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ড. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীও অংশ নেন। স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্ত পরিবারের সদস্যরাও যোগদান করেন। মন্ত্রিসভার সদস্য, ডেপুটি স্পিকার, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, প্রতিমন্ত্রী, সুপ্রিম কোর্টের বিচারক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সিনিয়র আইনজীবী, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, সংসদ সদস্য, সিনিয়র রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সম্পাদক, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ, উর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, শিল্পী ও বিশিষ্ট নাগরিকগণ সম্বর্ধনায় যোগ দেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে কেক কাটেন এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও অনুষ্ঠানে আগত সম্মানিত অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে দেশবরেণ্য শিল্পীদের পরিবেশনায় বিভিন্ন দেশাত্মবোধক গান পরিবেশনের মাধ্যমের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন এবং এর সমাপ্তী ঘটে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.