সাকিব আবদুল্লাহ ॥ বাজারে লাগামছাড়া পেঁয়াজ, সবজি ও ব্রয়লার মুরগির দাম। গত শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, অন্তত ৪০ টাকা কেজির কমে মিলছে না কোনো সবজি। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে তিন থেকে পাঁচ টাকা, ব্রয়লারের দাম বেড়েছে প্রতিকেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা।ইলিশের ভরা মৌসুম চলছে এখন। বাজারে মাছের রাজা থাকলেও দাম আকাশছোঁয়া। ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম হাঁকা হচ্ছে প্রতিকেজি ৮০০ টাকা। আধাকেজির নিচের ক্ষেত্রে কেজিতে ৬০০ টাকা চাইছেন বিক্রেতারা।
রুইমাছ আকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ৩০০ টাকা কেজিতে। ট্যাংরা জাতীয় ছোট মাছের কেজি ৪০০ টাকার আশেপাশে। পেঁয়াজের কেজি ৫০ থেকে ৫২ টাকায় থাকলেও দেশি রসুন এখন ৭০ টাকা কেজি। ডায়মন্ড আলু বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা পাল্লায়। এক সপ্তাহ আগের তুলনায় চালের দাম বাড়েনি। মোটা চাল ৪৬ টাকা এবং ‘২৮’ বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকা কেজিতে। তবে বেড়েছে পাকিস্তানি মুরগির দাম। তা কেজিতে অন্তত ১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৯০ থেকে ২৯৫ টাকায়। ব্রয়লারের দাম ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা কেজি। গরুর মাংসের কেজি ৬০০ টাকায় স্থির আছে। বাজারে দেখা গেছে, টমেটো, বেগুন, শসা, কাঁকরোল, চিচিঙ্গা, ঢ্যাঁড়স, চালকুমড়া, বরবটি ইত্যাদি সব সবজির দামই কাছাকাছি। তবে ৪০ টাকা কেজির নিচে কোনো সবজি পাওয়া যায়নি। এগুলো সর্বোচ্চ ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়ও বিক্রি হতে দেখা গেছে।
সবজি, পেঁয়াজ ও ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়ার কারণ হিসেবে সরবরাহ কম থাকাকেই দায়ী করেছেন একাধিক বিক্রেতা। তারা বলছেন, পণ্য পর্যাপ্ত এলেই দাম কমে যাবে। ক্রেতা কাউসার হোসেন ইত্তেফাক অনলাইনকে বলেন, ব্রয়লার মুরগির দাম থাকা উচিত ১২০ টাকার মধ্যে। দুই/তিন সপ্তাহ আগে এমনই ছিল। ইলিশের মৌসুমেও এই মাছে হাত দেওয়া যাচ্ছে না। এখন বাজার মানেই ডাকাতি। বেসরকারি চাকরিজীবী মুস্তাফিজ আহমেদ ইত্তেফাক অনলাইনকে বলেন, একটা/দুইটা সবজি কিনলেই এখন আর কিছু কেনার উপায় নেই। এই বাজারে সীমিত আয়ের মানুষদের চলা কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।