প্রশান্তি ডেক্স॥ বিআরটিসি (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন) সরকারের লাভজনক প্রতিষ্ঠানটি যুগের পরাক্রমায় এসে খাদের কিনারায় দাড়িয়ে শুধু লোকসানীই নয় বরং নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন খেলায় মেতেছিল। ঠিক তখনই সরকার তার ইচ্ছার বহি:প্রকাশ ঘটানোর লক্ষ্যে দায়িত্ব পরিবর্তনসহ সংস্কারে মনোনিবেশ করেছিল। আর সেই লক্ষ্যেই একজন পরিচ্ছন্ন এবং যোগ্য কান্ডারী খোঁজে বের করে যিনি দীর্ঘদিন সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে সততা এবং আন্তরিকতা ও সফলতার দৃষ্টান্তসহকারে বাস্তবতার নীরিখে ডিজিটাল বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির সমন্বয়ে একনিষ্টভাবে কাজ করে উন্নতির স্বাক্ষর রেখে যাচ্ছেন তেমন একজন লোক খুঁজছেন; আর সেই আলোকেই জনাব মো: তাজুল ইসলাম সাহেবকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এডমিনের (প্রশাশন) এর দায়িত্ব থেকে এনে বিআরটিসির চেয়ারম্যান এর দায়িত্বে নিয়োজিত করেন। তিনি বাংলাদেশ সরকারের একজন অতিরিক্ত সচিব। তবে তার পদচারনায় এখন বিআরটিসি সংস্কারে এবং উন্নতির মানোন্নয়নে এমনকি পরিচ্ছন্ন সেবার দৃষ্টান্তে এককথায় লোকসানী অপবাধ ঘোচিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে।
![](https://shaptahikproshanti.com/wp-content/uploads/2021/11/BRTC.jpg)
জনাব ইসলাম সাহেব চেয়ারম্যান হিসেবে বিআরটিসিকে অভিজ্ঞতায় এবং যোগ্যতায় আর সততার ন্যায়পরায়নতায় সাজিয়েছেন অতি এক উচ্চাসনে। যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অভিপ্রায় এবং একান্ত চাওয়া। সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো স্বচ্ছতায় এবং উন্নয়ন অভিমুখি ভাবমুর্ত্তিতে সমুজ্জ্বল থাকবে। আর সেবার মানোন্নয়ন এবং লাভের যুগোৎপত ক্রমোন্নতি বজায় রেখে সামনে এগুবে এটাই এখন এই যুগের দাবী এবং বিচক্ষন দেশদরদী সরকারের চাওয়া ও পাওয়া। বিআরটিসির সচিব এবং মন্ত্রীমহোদয়ও এই একই প্রতিক্ষার প্রহর গুনে সামনে এগুচ্ছেন যা বর্তমান চেয়ারম্যান বাস্তবায়নাধীন রেখে বাস্তবাতায় দৃশ্যমান রেখে পরিচ্ছন্ন গতিময়তা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছেন। আগামী দিনে বিআরটিসির ন্যায় অন্যান্য সরকারী প্রতিষ্ঠানেও এমন দৃষ্টান্ত স্থাপনের লক্ষ্যে জরুরী পদক্ষেপ নিয়ে কাজ করা উচিত। সরকারের আন্তরিকতা ও সাহায্যের সর্বোচ্চ নিশ্চয়তা থাকা সত্ত্বেও কেন সফলকাম হচ্চে না তাও খতিয়ে দেখা এবং সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা উচিত। তবে এই ক্ষেত্রে বিআরটিসি একটি মনদন্ড এবং দৃষ্টান্ত হতে পারে।
জনাব তাজুল ইসলাম সাহেব গত ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১ বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্পোরেশন এর চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করেন। তৎপুর্বে তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব এবং বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ১১তম ব্যাচের সদস্য; তিনি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) হিসেবে কর্মরত ছিলেন; তিনি মাঠ প্রশাসন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। যোগদানের শুরুতেই তিনি ২১দফা নির্দেশনা দিয়েছেন এবং বর্তমানে চলমান পদক্ষেপ হিসেবে কর্পোরেশনের আয় বৃদ্ধি, ব্যায় সংকোচন ও যাত্রী সেবার মান উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তাঁর এই মহতী ও উদ্যোমি পদক্ষেপের ফলশ্রুতিতে বিআরটিসি আজ লাভবান। যা দৃশ্যমান হলো এভাবে:-মার্চ ২০২১ সর্বমোট আয় ৩৬.৮০ কোটি টাকা আর সর্বমোট ব্যায় ৩২.৪৪কোটি টাকা। লাভ ৪.৩৬কোটি টাকা। এই যাত্রায় আবার খাত ওয়ায়ী আয়-ব্যায়ও জানা প্রয়োজন। তবে বিস্তারিত আমাদের নিকট রয়েছে। বাসের আয় সেপ্টেম্বর ২২২৮.৩৬ এবং ব্যায় ২১৩৯.৫৫= লাভ ৮৮.৮১। ট্রাকের আয় সেপ্টেম্বর ১০৩৯.৮৭ এবং ব্যায় ৮২৬.৪৬= লাভ ২১৩.৪১। স্থাপনার ভাড়া আদায় সেপ্টেম্বর ৮৩.৫৮। বর্তমানে বিআরটিসি’র ১৬০০টি বাস রয়েছে । ট্রাক আছে ৫৮৯টি। আরও অনেক আছে যা আমাদের অনুসন্ধানে রয়েছে। শৃুধুৃ উন্নয়ন এবং লভ্যাংশে নয় বরং কর্মীবাহিনীর জীবন মানের প্রতিও গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি। গ্রাচুইটি ও সিপি ফান্ডসহ যাবতীয় কর্ম সম্পাদনে তিনি অতি সহনশীল এবং গুরুত্ব দিয়ে ভবিষ্যৎ বিআরটিকে সাজিয়ে রুলমডেল হিসেবে দৃশ্যমান রাখছেন।
একনজরে এই হলো বিআরটিসির সংক্ষিপ্ত দৃশ্যমানতা এবং জবাবদিহিতার রুপকর্ম। সরকার আন্তরিক হলে এবং কর্মকর্তরা সৎ উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে দেশের জন্য কাজ করলে এর ফল এমনই হওয়ার কথা এবং হয়েছেও তাই। জয় হউক সরকার এবং সং ও নিষ্ঠাবান কর্মঠ কর্মকর্তাসম্বলিত কর্মীবাহিনীর কর্মকান্ড। আগামী দিনে এই জয়যাত্রা অব্যাহত থাকুক এই কামনায় আজকের সংক্ষিপ্ত লিখার পরিসমাপ্তি টানলাম।