লিজা হত্যাকারীদের শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন

ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি \ কসবায় লিজা আক্তারকে হত্যায় জড়িতদের বিচারের দাবীতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। গত (২৩ নভেম্বর) উপজেলার চান্দাইসার গ্রামে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। নিহত লিজা আক্তার চান্দাইসার গ্রামের হতদরিদ্র বাবুল মিয়ার বড় মেয়ে। লিজার স্বামীর বাড়ী পাশ্ববর্তী আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের গংগনগর গ্রামে। তিন লাখ টাকা যৌতুকের দাবীতে বিবাহের দেড় মাস পর গত ১ নভেম্বর রাতে লিজাকে হত্যা করা হয় বলে জানায় লিজার পরিবার। মানববন্ধনে লিজা হত্যাকারীদের বিচার চেয়ে এলাকার শত শত নারী-পুুরুষ মানববন্ধনে অংশগ্রহন করেন।
মানববন্ধনে লিজার মা জানায়, গত ১৪ সেপ্টেম্বর বড় মেয়ে লিজা আক্তারকে বিয়ে দেন পাশ্ববর্তী আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের গংগানগর গ্রামের হেলাল মিয়ার ছেলে রনি মিয়ার নিকট। বিয়ের কয়েকদিন পর থেকেই মেয়ে জামাতা রনি ও তার পরিবার তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে লিজাকে নির্যাতন করতে থাকে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে একাধিক বার সালিশও হয়। গত ৩১ অক্টোবর বিকেলে বোনকে আনতে যায় ছোট ভাই শাহীন। লিজার শ্বশুর বাড়ী লোকজন পরদিন সকালে বোনকে নিয়ে যেতে বলে। সকালে বোন ডাকতে গিয়ে দেখতে পায় বিছানার উপর লিজার নিথর দেহ। শাহীনকে তার ভগ্নিপতি জানায় লিজা ষ্ট্রোক করেছে। শাহীন বুঝতে পারে তার বোন জীবিত নেই। পরে সেখান থেকে সকলের চোখ ফাঁকি দিয়ে অন্য এক বাড়ি থেকে বাবা-মাকে শাহীন জানায় তার বোন জীবিত নেই।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, কসবা প্রেসক্লাব সাবেক সভাপতি মো.সোলেমান খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী-যুবলীগের প্রচার সম্পাদক এডভোকেট এনামুল হক কাজল, বিনাউটি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম, সাংবাদিক শেখ ফরিদ, জেলা যুব মহিলা লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অনু পারভীন, জেলা নারী নেত্রী শিশির আক্তার, ,ইউপি সদস্য আব্দুল্লা আল মামুন, আওয়ামী লীগ নেতা মনির হোসেন, ছাত্রদল নেতা রাসেল খান সহ এলাকার গণ্যমান্য লোকজন।
এ বিষয়ে জানতে আখাউড়া থানা অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমানকে মুঠোফোনে না পেয়ে কসবা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নাহিদ হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে ঘটনার পর নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে আখাউড়া থানায় মামলা না নেয়ার বিষয়ে তিনি জানান; এ বিষয়ে অপমৃত্যু মামলা গ্রহন করা হয়েছে। থানা থেকে তাদের বলা হয়েছিলো আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা করতে। আমরা জানতে পেরেছি তারা আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। বিজ্ঞ আদালত পুলিশ ব্যুরো ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই) কে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.