ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) \ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা স্বা¯’্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ উম্মে সাবিহা’র বিরুদ্ধে ভুয়া এক্সরে ফিল্ম দিয়ে গ্রিভিয়াস ইনজুরি সনদপত্র দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে। এ ব্যাপারে পৌর এলাকার নোয়াপাড়া গ্রামের ভুক্তভোগী আবু তাহের নামে এক ব্যক্তি ডাঃ সাবিহার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনের নিকট অভিযোগ পেশ করেছেন। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জন প্রয়োজনীয় ব্যব¯’া গ্রহনের জন্য নির্দেশ দিলেও ডাঃ সাবিহা কোন পদক্ষেপ না নিয়ে গত রবিবার দ্রæত সনদপত্র কসবা থানায় প্রেরণ করে হাজী আবু তাহেরের প্রতিপক্ষদের সহায়তা করার গুরুতর অভিযোগে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লেখ্য, সামাজিক বিরোধকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ নেতা রবিউল্লাহ ও একই গ্রামের শাহআলম গংদের মধ্যে গত ১৮ অক্টোবর সকালে সংঘর্ষ হয়। উভয় পক্ষের লোকজনই আহত হয়। একই গ্রামের শাহীন আলম (২৭), নাজমুল হোসেন (২৮) এ প্রতিবেদককে জানান, সংঘর্ষে মারাত্মকভাবে কেহই আহত হয়নি। সংঘর্ষের বিষয়ে উভয় পক্ষই কসবা থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
হাজী আবু তাহের জানান; ডাঃ সাবিহা রবিউল্লাহর পক্ষ অবলম্বন করে এবং প্রভাবিত হয়ে তার ভাই রুবেল মিয়াকে মিথ্যা গ্রিভিয়াস ইনজুরি সদনপত্র দিয়ে সহায়তা করে। জানা যায়, ওই সনদপত্রে সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের আঘাতে রুবেলের পা ভেংগে গেছে উল্লেখ করা হয়।
ডাঃ সাবিহার সংগে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন; রোগীকে জেলা সদর হাসপাতালে ¯’ানান্তর করা হয়েছিলো। সেখানে রোগীর চিকিৎসা হয়েছে। রোগী জেলা শহরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিক থেকে এক্সরে করে ফিল্ম ও রিপোট জমা দিয়েছে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে কসবা উপজেলা স্বা¯’্য কমপ্লেক্সে কর্মরত আমিসহ তিন সদস্য বিশিষ্ট বোর্ড রুবেল নামে রোগীকে গ্রিভিয়াস ইনজুরি সনদ পত্র দিয়েছি। বিষয়টি আমার একক সিদ্ধান্ত নয়।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বা¯’্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ অরুপ পাল বলেন; কর্মরত চিকিৎসক ডাঃ সাবিহা যে সনদপত্র দিয়েছেন তা এক্সরে ফিল্মের উপর ভিত্তি করে। ক্ষতিগ্র¯’ ব্যক্তি ই”েছ করলে আদালতের মাধ্যমে প্রতিকার চাইতে পারেন। জেলা সিভিল সার্জন মহোদয় সনদ পত্র বিতরন বন্ধ রাখার এমন কোনো নির্দেশ দেননি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যে প্রাইভেট ক্লিনিক থেকে রুবেল মিয়ার এক্সরে করে রিপোর্ট আনার দাবী করা হয়েছে ওই ক্লিনিকের নাম আল খিদমাহ ডায়ানষ্টিক সেন্টার। আল খিদমাহ ডায়ানষ্টিক সেন্টারের ম্যানেজার মোহাম্মদ আসিফ’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কসবার রুবেল মিয়া নামে কোনো রোগীর পায়ের এক্সরে গত দুমাসের মধ্যে আমাদের এখানে করা হয়নি।
কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি মো.ইব্রাহীম জানান, গত ৪ বছর আগে মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় রুবেল মিয়ার একটি পা ভেংগেছিলো। গত ১৮ অক্টোবরের সংঘর্ষে রুবেল মাথায় সামান্য আঘাত পেয়েছিলো। সে পায়ে কোনা আঘাতপ্রাপ্ত হয়নি। একটি মহলের সহযোগীতায় ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে নেয়ার জন্য মিথ্যা সনদপত্রের মাধ্যমে প্রতিপক্ষকে হয়রানীর চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়। আমরা চিকিৎসকের এহেন কর্মকান্ডে হতাশ হয়েছি।
এ বিষয়ে রুবেলকে মুঠোফোনে না পেয়ে তার ছোট ভাই মামলার বাদী রবিউল্লাহর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, হাজী আবু তাহের গংরা মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনার দিনই আমার বড় ভাইয়ের পা ভাংগা গিয়েছে।
কসবা থানা অফিসার ইচনার্জ মুহাম্মদ আলমগীর ভূইয়া বলেন, আইন অনুযায়ী আমাদের পক্ষ থেকে ব্যব¯’া নেয়া হ”েছ। তবে ইনজুরির বিষয়ে চিকিৎসকের সনদপত্র নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।