ফেসবুকের নেতীবাচক ব্যবহার পরিত্যাগ বাঞ্চনীয়

ফেসবুক একটি জনপ্রীয় মাধ্যম। এই মাধ্যমকে বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে ব্যবহার করছেন বিভিন্ন নেতিবাচক, বিভ্রান্তি ও গলাবাজী এমনকি অন্যের ক্ষতি, সামাজিক, পারিবারিক, রাজনৈতিক ও কর্মক্ষেত্রের স্বচ্ছ পরিবেশ নষ্টের এমনকি অশ্রাব্য ও বিশ্রি ভাষার, কুৎসা রটনার কাজে। এটা খুবই দুঃখের ও বেদনার। আমরা স্ব -শিক্ষায় শিক্ষীত কিন্তু হওয়া দরকার ছিল সুশিক্ষায় শিক্ষিত। এই সুশিক্ষায় ফিরে যেতে হলে আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে এমনকি সচেতন হতে হবে। যারা ঐসকল কাজে লিপ্ত তাদেরকে ঘৃণা নয় বরং ভালবাসায় জড়িয়ে ফিরিয়ে আনতে হবে আমাদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত সমাজের সামাজিক বন্ধনে।
আমরা জানি এক বালতি দুধে এক ফোটা চেনাই যথেষ্ট। এই চেনাকে উপযুক্ত ব্যবহারের মাধ্যমে দুধের চেয়েও মুল্যবান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করাই আমাদের এখনকার যুবসমাজ তথা সুশিক্ষিত সমাজের কাজ। এইতো কয়েক দিন ধরে ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী ও জঙ্গী কার্যক্রমের উপর বিশাল আলোচনা এবং খৈই ফোটার বানী। বিভিণœ জন্য বিভিন্ন মত ও পথ বাতলিয়ে যাচ্ছেন সংক্ষিপ্তভাবে। কিন্তু বিস্তারিতভাবে আসল ঘটনার মুলোৎপাটনে কেউ এগিয়ে আসেনি। কেউবা আবার সরকারের সমালোচনা করে বিভিন্ন মত দিচ্ছেন কিন্তু সেই মতের উপরও বেশীক্ষণ স্থীর থাকতে পারছেন না। এটা একটু ভেবে দেখবেন। নিজে যা করতে পারবেন না তা অন্যকে করতে বলবেন না এমনকি চিলে কান নিয়ে গেছে বলে কানে হাত না দিয়ে চিলের পিছনে পিছনে দৌঁড়াবেন না। হুজুগে লাফ দিয়ে কিছু লিখবেন না বা করবেন না। সাবধান সুস্থমস্তিঙ্কে ধীরস্থীরভাবে গবেষণামূলক কাজ করুন এবং তা এই জনপ্রীয় মাধ্যমের মাধ্যমে জনগণের সামনে তুলে ধরুন।
এইতো কুমিল্লার নির্বাচন নিয়েও কম ঝড় বইছে না। সে সমস্ত ভাষার ব্যবহার আমরা দেখছি তা খুবই দৃষ্টিকটু। কারণ এই লিখার মাধ্যমে দলের এবং নিজের ব্যক্তিত্বও নষ্ট হচ্ছে। তরুন প্রজন্ম শিখতে পারছে এই দৃষ্টিকটু ভাষা ও কুরুচিপূর্ণ ব্যবহার। আসুন আমরা ফিরে আসি এই নোংরা এবং অস্বস্তিকর পরিবেশ থেকে। নবাগত আগামী প্রজন্মকে শিখতে সাহায্য করি সহনশীল ও সংযত আচরণ ও ভাষার ব্যবহার চর্চার করার জন্য। সবাই আমরা স্ব স্ব অবস্থানে জ্ঞানী এবং জ্ঞানের গরিমা প্রকাশ না করে বরং ন¤্রতা দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যায়।
একটি বিষয়ের দৃষ্টিপাত করা জরুরী। আমাদের সম্মানীত ফেসবুক বন্দুর যুক্তিযুক্ত বস্তুনিষ্ট এবং সর্বজর্ন গ্রহণযোগ্য লিখা লিখে নিজের জ্ঞানের ব্যাপ্তি যেমন প্রসারিত হয় তেমনি জাতিও হয় সমজ্ঞানী এবং উন্নত ও উর্বর মস্তিঙ্কের অধিকারী। এই কাজে নিজেকে শামিল করতে নিয়োজিত হউন। এই ধরণের বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যার বুলি দিয়ে নিজেকে আর কলংকিত করবেন না। বাংলার মির্জাফর বার বার জন্মায় না একবারই জন্মিয়েছিল। সুতরাং মিরজাফর সাজার চেষ্টা করবেন না। জঙ্গীর তান্ডব বাংলার মানুষ দেখে অভ্যস্ত এবং সেই মানুষের মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির লক্ষ্যে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের জন্য এখন বলে বেড়াচ্ছেন র‌্যাবের গোয়েন্দা প্রধান আজাদকে জঙ্গিরা মারে নাই মেরেছে রেবের ডিজি বেনেজির। এই পাগলেও বিশ্বাস করবে না কিন্তু এই ধরণের লিখা দিয়ে নিজেকে আর নীচে নামাবেন না। কারণ আপনি লিখুন। আপনারে এই লিখনি যে সম্মান দিয়েছে তা ধরে রাখুন। নিজেকে ইতিবাচক হতে সাহায্য করুন এবং নেতিবাচক মনোভাব পরিহার করুন। অন্যের লিখায় কমেন্টে মন্তব্য করে নিজের জ্ঞানহীনতার পরিচয় দেবেন না। বরং নিজেকে আরো যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তোলার ব্যবস্থা করুন। কমেন্ট লিখা এবং এর জবাব দেয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করার প্রয়োজন নেই বরং সুন্দর লিখা, যুক্তিযুক্ত এমনকি সামগ্রীক কল্যাণের তরে নিজেকে নিয়োজিত করুন। যেন সকলেই এর উপকারভোগী হতে পারে।
আগে অন্যের কথা মনযোগ দিয়ে শুনুন এবং পারিপাশ্বিক অবস্থা বুঝুন তারপর নিজে ভাবুন এবং আগামীর প্রয়োজনে কিছু করুন বা বলুন। কিন্তু না শুনে না বুঝে কোন কিছু লিখা বা মন্তব্য করা এমনকি যুক্তি দেওয়াও বাঞ্চনীয় নয়। ব্যক্তিত্ব তৈরীতে নিজেকে নিয়োজিত করুন। সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠুন। আমাদের এই সামাজিক মাধ্যমে তার সর্বোচ্ছ সম্মানীত স্থানে রেখে কাজ করুন। কলঙ্কের তিলক নিজের কাধে নিয়ে এগিয়ে আসুন। যাতে করে সমাজ, সংস্কৃতি এবং মানুষ ঐ কলঙ্ক থেকে মুক্ত থেকে পথ চলতে পারে এবং আগামী তরে নতুন সম্ভাবনাটুকু কাজে লাগিয়ে জাতি, দেশ ও সমাজ বিনির্মানে সহায়তা করতে পারে। আমাদের পথ চলায় দৃঢ় অঙ্গিকার হউক আমি বদলাতে চাই, আমি পারি না ওরা পারে। আমাদের পাশে আছে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব আশরাফুল মাকলুকাত এবং সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদ।
পরিশেষে বলতে চাই মাদক এর ছোবল থেকে আমাদের তরুন প্রজন্মকে বাচাতে হবে। যারা জড়িয়ে গেছে তাদের উদ্ধার করা এখন এক সামাজিক দায়িত্ব। ফরজে আইন হিসেবে বিবেচ্চ। এই গত কয়েকদিন মিডিয়ার তোলপার করছে মাদক নামক মরন ছোবল। ব্রাহ্মণবাড়িয়া টু কক্সবাজার এর এসপি মহোদয়রা মাদকের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষনা করেছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া, আখাউড়া ও কসবায় মাদক সেবিদের আক্রমন করে তাদের অর্জিত সম্পদ এবং যানবাহনগুলি থানা নিয়ে এসে গণজমায়েত পরিচালিত করে। ঐ আসক্তদের বাঁচাতে আবার বিভিন্ন মহলের তদবির, এমনকি কুকর্ম প্রকাশিত হলে আবার আরেক গ্রুপের সাফাই গাওয়া ও ভাল সার্টিফিকেট দিয়ে পদায়ন করতে চেষ্টা করা।
আমরা মিডিয়ার বদৌলতে যা শুনেছি এবং জেনেছি তার আলোকে শেখ হাসিনার জিরো টলারেন্স নীতির প্রয়োগ করে মাদক মুক্ত সমাজ, জনপদ, দেশ, পরিবার গঠনে তৎপর হয়ে এগিয়ে আসতে হবে। প্রতিবাদ এবং সাফাই গাওয়া চলবে না। শৃঙ্খলার এবং শান্তির পতাকাতলে হাজির হয়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের প্রত্যেকের স্ব স্ব দায়িত্ব পালনে আরো সচেতন হয়ে এগিয়ে যেতে হবে। রসুনের কোয়ার পরিচয়ে আর বাচতে চাই না। নিজেদের স্বতন্ত্র এবং সম্পূর্ন স্বাধীন পরিচয়ে বাঁচার ব্যবস্থা করতে হবে। সবই নিজের উদ্যোগেই নিতে হবে। তাই এই জনপ্রীয় মাধ্যমকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে ব্যবহার করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.