করোনার টিকা নিতে হতে পারে প্রতি বছর; ফাইজার প্রধান

প্রশান্তি ডেক্স ॥ ‘উচু মাত্রার সুরক্ষা’ নিশ্চিত করতে প্রতি বছর টিকা নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে বলে জানিয়েছেন ফাইজার প্রধান ড. আলবার্ট বুর্লা। তিনি এও বলেন, বহু বছর এই প্রয়োজন থাকতে পারে। ফাইজারের প্রধান নির্বাহী বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন। ড. বুর্লা বলেন, করোনাভাইরাসের বেটা ভ্যারিয়েন্ট প্রথম শনাক্ত হয় দক্ষিণ আফ্রিকায় এবং ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট প্রথম ধরা পড়ে ভারতে। করোনার এই দুটি ধরন মোকাবেলায় ফাইজারের টিকা কার্যকর করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং এজন্য করোনার মূল টিকায় তেমন বদল করতে হয়নি। তিনি আরো বলেন, ওমিক্রন মোকাবিলায় ফাইজারের টিকা কার্যকরে করতে কাজ চলছে। ১০০ দিনের মধ্যে ওই কাজ শেষ হবে। ড. বুর্লা মনে করেন, মহামারির সময় টিকা লাখ লাখ মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে এবং এই টিকা না হলে ‘সমাজের মূল কাঠামোই ঝুঁকির মুখে পড়ত।’ ফাইজার আশা করছে, চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই তারা ফাইজারের টিকার তিনশ’ কোটি ডোজ সরবরাহ করা সম্ভব হবে। আগামী বছর চারশ’ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহের পরিকল্পনা করছে প্রতিষ্ঠানটি। কোম্পানির প্রধান নির্বাহী বলেন, মানুষেকে করোনাভাইরাসের থেকে সুরক্ষা দিতে বিশ্বজুড়ে একটি প্রতিযোগিতা চলছে। ২০২২ সালে দেশগুলো যত প্রয়োজন তত ডোজ টিকা পাবে বলেও মনে করেন ড. বুর্লা।

Leave a Reply

Your email address will not be published.