রাজনীতিতে মিথ্যার প্রচলন ছিল এবং আছে ও থাকবে এটা ইদানিং আরো স্পষ্ট হচ্ছে জনাব ফখরুল সাহেবদের দালালীর ফাপরবাজী দেখে। তবে ইতিহাস বিকৃতির দায়ে আজ যারা বিচারের কাঠঘড়ায়; সেই দলের এবং দলের সঙ্গে লিয়াজো (অন্তরঙ্গ ও গোপন যোগাযোগ) রক্ষাকারীদের বর্তমান চালচলন ও বক্তব্যে স্পষ্ট যে, ঐ বিচার সু সম্পন্ন না করা পর্যন্ত বিকৃতির রেশ কাটবে না। ইদানিং আবার নতুন করে মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে হাজির হয়েছে কোন শিক্ষা এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ইউনিভার্সিটিবিহীন ডক্টরেটদের সামষ্টিক জ্ঞানপাপিদের উদ্ভাভিত লাজলজ্জ্বাহীন শব্দচয়নে উচ্চারিত তারেক কুকোর হাত ধরেই খালেদার মুক্তিযোদ্ধযাত্রা। ইতিহাসের কলঙ্কতম লজ্জাজনক মনের অভিলাষ আজ প্রকাশিত এবং প্রত্যাখ্যাত। এভাবে আরো কতকি দেখব এবং শুনব তবে এই দেখা ও শুনার অবসান ঘটানোর সময়ও এখনই। তাই আসুন সঠিকতার যুগে পদার্পণ করি।
বাংলার জনগন এখন জানেন ইতিহাস বিকৃতকারীদের এবং এদের উদ্দেশ্য ও আকাঙ্খা। তবে দেশে এবং বিদেশে বসে মিথ্যার বেসাতি সাজিয়ে সেই উদ্দেশ্য এবং আকাঙ্খা বাস্তবায়নের জন্য মরিয়া হয়ে পড়েছে। কিন্তু সেই উদ্দেশ্য ও আকাঙ্খা পুরণের কোন সম্ভাবনা নেই তবে সেই অশুভ লিপ্সা চরিতার্থ করার খায়েসে মত্ত হয়ে যে মাতলামী শুরু হয়েছে এমনকি ব্যক্তিস্বাথ্য চরিতার্থে ঐ মাতলামীতে ইতি টানতে যা যা প্রয়োজন তার সবটুকুই করার এখন উর্বর সময়।
মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধ, আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে, স্বাথ্য আদায়ের নেশায় মত্ত্ব হয়ে আবোল-তাবোল বলা মানুষগুলিকে এখনই থামানো প্রয়োজন। বিশেষ করে বিদেশে বসে ইতিহাস বিকৃত করা এবং ষঢ়যন্ত্র বাস্তবায়নের আদেশ ও নির্দেশ প্রদান করা বন্ধ করা জরুরী হয়ে পড়েছে। আর দেশে বসে সেই আদেশ বাস্তবায়নে মরিয়া হয়ে উঠা মানুষগুলোকে সুস্থ্যধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে। যদি কেউ নিজস্ব ইচ্ছায় মাতাল থাকতে চায় তাহলে তাকে জেলে নয় বরং পাবনায় পাঠানো উচিত। কারন জেলে পরিবর্তন হওয়ার যুগ শেষ বরং অর্থ থাকলে জেল হয়ে যায় আনন্দ ও উল্লাসপূর্ণ সুখ শান্তির নিরব আশ্রয়কেন্দ্র মাত্র। তবে সংশোধনাঘার হিসেবে পাবনা মানষিক হাসপাতালই উত্তম হবে। সেই পাবনায় আরো জায়গা বৃদ্ধি করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
জনগণের প্রত্যাখ্যাত হয়ে এখন ভবঘুরে বা পলাতক থেকে প্রচেষ্টা চালিয়ে তারা যদি তাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে তাহলে বর্তমান উন্নয়ন ও স্থীতিশীলতা এবং চলমানের গতিশীলতা ভূলুন্ঠিত হবে। আর এই যৌক্তিক উপাখ্যান এবং এর অধ্যায় সম্পর্কে এখনই জনসচেতনতা বৃদ্ধি করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। যে ইতিহাস মানুষ জানে এবং আগামীর প্রজন্মকেও সঠিকভাবে তা জানাতে হবে, সচেতনতা বৃদ্ধিকল্পে পদক্ষেপ নেয়া ফরজে আইনে পরিণত হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অতিত ও বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ সম্পকে। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস পাকিস্তান আর্মী ক্যাম্পে জানযুয়ার অধিনে বসবাস করেছেন। প্রতিদিন ফুর্তী ও আমোদ-প্রমোদে মত্ত থেকেছেন। এটাই ছিল মেডামের মুক্তিযুদ্ধ। জনাব জিয়াউর রহমান চিঠি দিয়েছিলেন এবং পাক আর্মী ক্যাম্প থেকে চলে আসতে এবং নিরাপদ স্থানে থাকতে বলেছিলেন। কিন্তু বেগম সাহেবা জিয়াউর রহমানকে প্রত্যাখ্যান করে তাঁর খায়েশ পূরণের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে মরিয়া হয়ে ঐ ক্যাম্পে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তিনি তার খারাপ জীবনের অপূর্ণতাকে পূর্ণ করার মোক্ষম সুযোগ হাতছাড়া করতে চাচ্ছিলেন না। তাই দীর্ঘ নয় মাস কাটিয়ে পাকিস্তানীদের পরাজয়ে ভীত হয়ে উপায়হীনভাবে জিয়ার কাছে ফিরে আসতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু জিয়া বাধ সাধে; ঐ বিরজ্ঞনা বা নির্যাতিত মেডাম জিয়াকে গ্রহণ করতে মেজর জিয়া নারাজ। তখন কিন্তু বঙ্গবন্ধু মেডাম জিয়ার বাবা বা অভিভাবক হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে বর্তমান প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহায্যে মেজর জিয়ার সংসারে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন এবং জিয়াকে মেয়ের জামাই ভেবে পদোন্নতিও দিয়েছিলেন। কিন্তু কি শুধু জিয়াতেই তিনি সন্তুষ্ট ছিলেন? না! যা ইতিহাস ও অনৈতিকতার ঐতিহ্য হিসেবে মানব ইতিহাসের কলঙ্কিত অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত। সাধারণ মানুষ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং নৌ, বিমান এবং আর্মি সেনারা সবই জানেন। দয়া করে তাদের কাছ থেকে জেনে নিন সঠিক চারিত্রীক ইতিহাস। আর ঐ নোংরা ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় সন্তানরাও শিক্ষিত হয়ে ঐ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছেন।
আজ নোংরামীর কথা বলতে ও লিখতে মন সায় দেয় না কিন্তু বাস্তবতার অবয়বে ঐসকল প্রকাশ্যে আনতে হয়। যাই হউক আমি মুরুব্বীদের নিয়ে আর কিছু বলতে চাই না বরং বিনয়ের সহিত বলতে চাই অতিত থেকে শিক্ষা নিন এবং সৃষ্টিকর্তার কাছে তৌবা করে ফিরে আসুন। জনগণ এবং ইতিহাসকে নিয়ে আর ঘাটঘাটি বা টানাটানি করবেন না। সঠিক ইতিহাস এবং যুগের চাহিদানির্ভর দাবির প্রতি সদয় দৃষ্টি দিয়ে সামনে এগিয়ে যান। করোনামুক্ত বিশ্ব গড়তে যা যা প্রয়োজন তাই করুন। বিশ্বকে নিশ্চয়তা এবং নিরাপত্তায় অভয়ারণ্যে নিজ নিজ ভুমিকা পালন করুন। পাপ-পঙ্কিলতা থেকে ফিরে আসুন এবং পাপ-পঙ্কিলতার পথ পরিহারে স্ব স্ব ধর্মের আবরণে নিজেকে সাজিয়ে তুলুন। বাউন্ডেলে নূরু আবোল তাবোল বলে পরিবেশ দুষণে মনোনিবেশ করেছে। তবে পরিবেশ এরচেয়ে বেশী দুষিত হয়ে আছে তাই নুরুল যাই বলে না কেন মানুষ আজ আর সেই দিকে মনযোগ দেয় না বরং জনগণ তাদের প্রয়োজনে মনোনিবেশ করে দিনগুজার করে এগিয়ে যাচ্ছে। কঠিন ও কঠোর সংগ্রামে এখনই নিয়োজিত হওয়ার সময় আর জনগণ এই সময়কে গুরুত্ব দিয়ে শ্রদ্ধার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্চে। মানুষের প্রয়োজনে গুরুত্ব দিন এবং সমাজের কল্যানে এগিয়ে আসুন আর জাতির প্রয়োজনে নিবেদিত প্রাণ হয়ে এগিয়ে যান। বিশ্বের তরে আগামীর প্রয়োজনীয়তা নির্বাচনে কাজ করুন এবং বিশ্বালয়ে বিচরণে নিজেদেরকে নিয়োজিত রাখুন।
জনাব ফখরুল সাহেব এবং নুরুল সাহেবদের সহযোগী না হয়ে বরং উন্নয়ন এবং অগ্রগতির ক্রমবর্ধমান ধারাবাহিক অগ্রযাত্রায় শরীক হউন। স্থিতিশীলতায় নিজেদেরকে নিয়োজিত করুন এবং আগামীর জন্য প্রস্তুত হউন যাতে নতুন আগত কোন করোনারূপী ছোবল প্রতিহত করে সামনে এগিয়ে যাওয়া যায়। বাংলাদেশ ঘুরে দাড়িয়েছে এবং দাড়িয়ে থাকবে। বাংলাদেশের রাজনীতি ও অর্থনীতি সচল হয়েছে এবং হয়ে থাকবে। আগামীর প্রয়োজনে আমি, আপনি ও আমরা সকলে মিলে মিশে নিতি-আদর্শ এবং চিন্তা ও কাজের সমন্বয় সাধনে সৃষ্টিকর্তার অভিপ্রায় সম্পৃক্ত করে কাজ করতে হবে। আসুন সকল পরিস্থিতি মোকাবেলায় সৃষ্টিকর্তার স্মরণাপন্ন হউন এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতার বেড়াজালে নিজের আবাসস্থল এবং পরিবেশ ও সমাজ এবং দেশ ও বিশ্বপরিমন্ডল সাজিয়ে তুলোন।