প্রশান্তি ডেক্স ॥ ইউনিয়ন পরিষদ ভোটের পঞ্চম ধাপেও সারাদেশে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন নেটিজেনরা। স্থানীয় নির্বাচনে দিন দিন নির্বাচনী সহিংসতা বেড়ে চলায় ব্যাপক ক্ষোভ ও নিন্দা জানান সচেতন নাগরিকরা। ইউপি নির্বাচন শুরু হওয়ার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে প্রায় ভাইরাল হচ্ছে ভোট সহিংসতার খবর। গত বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট চলাকালে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এরপর ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা নিয়ে সংঘর্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয় আরো চারজন।
এছাড়া অনেক স্থানেই ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, বোমাবাজি, ব্যালট ছিনতাই, বুথ দখল, প্রার্থীদের ভোট বর্জন, পুলিশের গাড়িতে আগুন, প্রিসাইডিং অফিসারকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এসব সহিংস ঘটনায় দিনভর আলোচনায় ছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। নির্বাচনী সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে রেজাউল করিম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘নির্বাচনে অনিয়মের আশঙ্কার জন্যই সংঘর্ষের সূত্রপাত তৈরি হয়, আর এমন অনিয়মের সুযোগ কেন তৈরি করা হয়।নির্বাচনে মানুষ নিহত ও আহত হলে, বলা হয় কয়েকটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সুষ্ঠু হয়েছে।কয়েক ধাপের ইউপি নির্বাচনে সংহিসতা মুক্ত নির্বাচন পরিচালনা করতে পারেনি, তাহলে কি আগামী সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠ করা সম্ভব।’’স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় মার্কা দেওয়ায় সহিংসতা বেড়েছে বলে মনে করেন অনেকে। তাদের একজন মাহবুবুল হাসান লিখেছেন, ‘‘এই সব হানাহানি ও করুন মৃত্যুর সব দায়িত্ব বর্তমান সরকারকে নিতে হবে। গ্রামগঞ্জে স্থানীয় সরকার পর্যায়ের নির্বাচনে মার্কা দিয়ে দলীয় নির্বাচন করার ফলাফল এই অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু।’’
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে শরীফ আহমদ লিখেছেন, তারপরও ইসির বলবে,”ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ আর উৎসবমুখর হয়েছে”। বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে বিচারের সম্মুখীন করা উচিত।কারণ,অতীতে ইউপি নির্বাচনে দলীয় কোনো প্রতীক ছিল না।তারা এই পদ্ধতি বদলে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন চালু করল।ফলাফল, প্রাণ হানি আর নির্বাচনী সহিংসতা।’’