ভজন শংকর আচার্য্য কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ৭ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন আগামী ৩১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণা উপজেলা সরগরম। তবে ইভিএমে ভোট দেওয়ার বিষয়ে শঙ্কিত অধিকাংশ ভোটার। বিশেষ করে বয়স্ক ভোটাররা যাতে বেশী শঙ্কিত বলে জানা গেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, প্রার্থীরা ভোট চেয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। চায়ের স্টল থেকে শুরু করে হাটে, মাঠে সবখানে এখন শুধু নির্বাচন নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা। এইদিকে পছন্দের প্রার্থী নিয়ে মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছেন সমর্থকেরাও।
তবে প্রার্থীরা ভোট চাওয়ার পাশাপাশি শঙ্কা দূর করতে ইভিএমে ভোট দেওয়ার বিষয়ে ভোটারদের স্মার্টফোনে ইউটিউব থেকে ইভিএমে ভোট দান পদ্ধতি ডাউনলোড করে শেখানোর চেষ্টা করছেন। এরপরেও নিরক্ষর, মধ্যবয়স্ক ও বৃদ্ধ নারী ও পুরুষ ভোটাররা ভোট দেওয়া নিয়ে শঙ্কিত। যদিও উপজেলা নির্বাচন কমিশনার এর পক্ষ থেকে প্রতি গ্রামে গিয়ে নির্বাচনের দিন আগে ইভিএমে ভোট দান পদ্ধতি শেখানো হবে।
এরপরও হাট বাজারে চায়ের দোকানগুলোতে ভোটারদের শঙ্কা প্রকাশ করতে দেখা গেছে। তবে শত শঙ্কা থাকলেও ভোটারদের মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে। কারণ তারা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারবেন। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ভোটাররা সরকার ও আইনমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
উপজেলা কায়েমপুর গ্রামের জমির আলী আমার সংবাদকে বলেন আগে আমরা ব্যালটে সিল মেরে ভোট দিয়েছি। এখন শুনছি মেশিনের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হবে। ছেলেরা মোবাইলে দেখিয়েছে কিভাবে ইভিএমে ভোট দিতে হবে। এরপরও ভেতরে ভয় কাজ করছে শুদ্ধভাবে মিশিনে টিপ দিতে পারব কিনা।
এছাড়া গ্রামের আব্দুল করীম সহ বেশ কয়েকজন মরুব্বি এ শঙ্কা প্রকাশ করেন। গোবিনাথপুর সখিনা বেগম বলেন জন্মেও শুনি নাই মেশিনে ভোট দেওয়া যায়। ব্যালটে সিলের বদলে এখন মেশিনের মাধ্যমে ভোট দিতে হবে শুনে ভালোই লাগছে কিন্তু কিভাবে ভোট দিতে হবে তা তো জানি না। ইভিএম নিয়ে শঙ্কা থাকলেও নাতিরে নিয়ে ভোট দিতে যাবেন বলে আনন্দ প্রকাশ করেন তিনি। উপজেলা নির্বাচন কমিশনার জাসিদুল ইসলাম বলেন ইভিএমে ভোট নিয়ে শঙ্কার কারণ নাই। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী আমাদের পক্ষ থেকে নির্বাচনের দুদিন আগে ৭টি ইউপিতে মক ভোটিংয়ের মাধ্যমে ইভিএমে ভোট দেওয়ার পদ্ধতি শেখানো হবে।