৬ষ্ট এবং শেষধাপে কসবা উপজেলা ইউনিয়ন নির্বাচন

প্রশান্তি ডেক্স॥ ৬ষ্ট ধাপে কসবা উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন হলো। এই নির্বাচন ঐতিহাসিক নির্বাচন হিসেবে ইতিহাসে স্বীকৃতি পেল। বাংলাদেশের সকল ইউনিয়ন নির্বাচনই দলীয় প্রতিকে সম্পন্ন হয়েছিল কিন্তু একমাত্র কসবা ও আখাউড়ায় ছিল ব্যতিক্রম। কিন্তু এই ব্যতিক্রমের ইতিহাস রচয়িতা হলেন আমাদের আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী এডভোকেট আনিছুল হক এমপি। তিনি তাঁর নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচনকে উন্মুক্ত করে দিয়েছেন যাতে দলীয় প্রতিক বিহিন নির্বাচনে সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ এবং স্বচ্ছ ও জবাবদীহিমূলক নির্বাচনের আয়োজন ইভিএম মেশিনে নতুনত্ব যুক্ত হয়েছে। জনগণ নির্ভয়ে তাদের ভোট প্রদান করেছেন এবং মনের কোণে জমানো সকল ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইভিএম ভ্যালটের মাধ্যমে। আমার জীবনের ৫০ বছরের অভিজ্ঞতায় এই প্রথম একটি সুষ্ঠ সুন্দর এবং আনন্দঘন পরিবেশে ঝামেলামুক্ত নির্বাচন প্রত্যক্ষ করলাম। ধন্যবাদ মাননীয় আইনমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীকে; পাশাপাশি ধন্যবাদ জানাচ্ছি নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকলকে। যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিয়েছেন। দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে এই নির্বাচনটি ইতিহাস হিসেবে স্থান পাবে এবং আগামীর জন্য একটি মানদন্ডের মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।
দলীয় প্রতিকবিহীন নির্বাচনে দলীয় এবং স্বতন্ত্ররূপী বিরোধী দলীয় লোকজন স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহন করে একটি সফল ও প্রাণবন্ত গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিয়ে দলীয় গ্রহনযোগ্য এমনকি নিরপেক্ষ ভালমানুষদের জয়ী করেছেন। যারা জয়ী হয়েছেন তারা প্রত্যেকেই আইনমন্ত্রীর মাধ্যমে সরকারের হাতকে শক্তিশালী করণে ভুমিকা রাখবেন। সবাই তৃণমূলের সর্বাধীক গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি। আওয়ামীলীগের উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের গ্রহণযোগ্য নেতাও বটে। যাদের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ এগিয়েছে এবং এগিয়ে যাবে আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অভিপ্রায় পরিপুর্ণতায় পরিপূর্ণ হবে। সৎ সঙ্গে সর্গবাস আর অসৎসঙ্গে সর্বনাশ। তবে মাননীয় আইন মন্ত্রী একজন সৎ, দক্ষ, যোগ্য এবং মেধাবী ও নির্লোভ সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি। তিনি তাঁর কর্মীদেরকে বেঁছে নিতে যে আয়োজন করেছেন তার শতভাগ সফল তিনি হয়েছেন। তিনি তারই মত লোকদেরকে এবার নির্বাচিত করে আগামীর কর্মকান্ডের অংশীদারী হতে এমনকি উন্নয়ন কর্মকান্ডকে তরান্বিত করে এগিয়ে নিতে নবযাত্রা শুরু করেছেন। কে বলেছে আওয়ামী লীগ আমলে সুষ্ঠ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়না? হয় সবই হয় এবং হবে ও হয়েছে। তাই মিথ্যা বেসাতী দিয়ে গলা ফাটিয়ে আর লাভ নেই বরং সত্যকে মেনে নিয়ে সরকারের উন্নয়নের অংশীদার হউন।
কসবা আখাউড়ায় সবাই আওয়ামী লীগের নেতা ও কর্মীদ্বয় নির্বাচিত হয়েছেন। সদ্য শেষ হওয়া ৩১/০১/২০২২ইং তারিখ শেষ হওয়া কসবা উপজেলায় ৭টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে সুষ্ঠ ও গ্রহণযোগ্যভাবে আওয়ামী লিগের ইউনিয়ন সেক্রেটারীদ্বয় এবং উপজেলা পর্যায়ের সহ-সভাপতি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। যারা প্রতিদ্বন্ধীতায় ছিলেন তারও আওয়ামী লীগেরই নেতাদ্বয়। পাশাপশি বিরোধী দলীয় নেতারাও প্রতিদ্বন্ধীতায় তলানিতে ছিলেন। এতে করে বুঝা যায় দলীয় সমর্থক ও কর্মীর বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়ে দলীয় অগ্রগতি তরান্বিত হয়েছে। আগামী দিনেও হবে এমনকি আরো গতিশীলভাবে হবে। যারা ঐ নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন তাদের নাম পর্যায়ক্রমে উল্লেখ করলাম এবং একটি গ্রুপ ছবি দিয়ে লিখার সমাপ্তি টানার আশা ব্যক্তি করছি। তবে লিখার শেষে এও আশা করছি যেন আপনারা জনআকাঙ্খার প্রতিফলন বাস্তবায়নে মনযোগী হয়ে আগামীর পথকে সুপ্রসস্ত করুন।
কসবা পশ্চিম ইউনিয়নে মো: মানিক মিয়া ৩৮৯৭; বায়েক ইউনিয়নে মো: বিল্লাল হোসেন ৬৩৯৭; কায়েমপুর ইউনিয়নে ইকতিয়ার আলম রনি ১০৮২৫; বিনাউটি ইউনিয়নে মো: বেদন খান ৬৬৮২; মেহারী ইউনিয়নে মোশারফ হোসেন মোর্শেদ ৫৬০৫; গোপিনাথপুর ইউনিয়নে মিজানুর রহমান ভুইয়া ৬০৬৮ এবং বাদৈর ইউনিয়নে শিপন আহাম্মেদ ভুইয়া ৪৭৭৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.