ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ কসবায় নির্বাচনোত্তর সহিংসতায় একজনকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে একটি সন্ত্রাসীচক্র। আহত ব্যক্তিকে কসবা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৩ জনকে আসামী করে থানায় মামলা করা হয়েছে। অভিযোগ প্রকাশ; কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউপি’র নির্বাচন গত ৩১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে বিনাউটি ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের সৈয়দাবাদ গ্রামের সাধারন সদস্য প্রার্থী মো.রফিকুল ইসলাম খান পরাজিত হন। ওইদিন বিকেলে একই গ্রামের মৃত ইদন খানের পুত্র নিয়াজ মুহাম্মদ খান (৬০) বাড়ি থেকে বের হয়ে চা খাওয়ার জন্য ভু্েট্রা মিয়ার দোকানে যাওয়ার পথে পরাজিত সদস্য প্রার্থীর নির্দেশে তার দুই ছেলে নিশাদ খান ও রিয়াদ খান দা, রড ও লাঠি দিয়ে ভোট না দেয়ার অজুহাতে তাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় তার নিকট থেকে নগদ ৩০ হাজার টাকা ও একটি দামী এনড্রয়েট মোবাইল নিয়ে যায়। পরে তার আর্তচিৎকারে আশ-পাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে কসবা হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ব্যপারে জখমী নিয়াজ মোহাম্মদ খান বাদী হয়ে পিতা-পুত্রদের বিরুদ্ধে কসবা থানায় মামলা রুজু করেন।
এ বিষয়ে গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা মো.এবাদত খান বলেন, ইউপি সদস্য প্রার্থীকে ভোট দেয়নি বলে অজুহাত দেখিয়ে নিয়াজ মোহাম্মদ খানকে পরাজিত প্রার্থী রফিকুল ইসলাম ও তার ছেলে বেদড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি। অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম খানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নির্বাচনী ফলাফল ঘোষনার পর পরাজিত হয়ে আমি চলে আসার সময় নিয়াজ মুহাম্মদ খান আমাকে নিয়ে উস্কানীমুলক মন্তব্য করলে আমার ছেলেদের সাথে ধস্তাধস্তি হয়। তখন মনও ভাল ছিলোনা। পরে আমি নিয়াজ মুহাম্মদ খানের নিকট ক্ষমাও চেয়েছি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলমগীর ভূইয়া জানান, এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।