প্রশান্তি ডেক্স॥ সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুন লাগার পর কনটেইনারে কী ধরনের জিনিস ছিল এ বিষয়ে তথ্য না থাকাতেই প্রাণহানি বেশি ঘটেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কথা উল্লেখ করে ফায়ার সার্ভিস বলছে, আগুন লাগার পর কনটেইনারে থাকা বস্তু সম্পর্কে কোনও তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে কর্তৃপক্ষ জানায়নি। যে কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে তীব্রতা আরও ছড়িয়ে পড়ে।
ফায়ার সার্ভিস বলছে, আগুনের ধরন অনুযায়ী প্রশিক্ষিত কর্মী রয়েছে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আগুন নেভাতে গিয়ে ভবন মালিক কিংবা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট কাউকে পাওয়া যায় না। যে কারণে প্রাথমিকভাবে ধারণাও পাওয়া যায় না। তারপরও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা জীবন বাজি রেখে কর্তব্য পালন করে যান।
ফায়ার সার্ভিস বলছে, শুধু রাসায়নিক থেকে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রায় তিন শতাধিক দক্ষ প্রশিক্ষিত কর্মী রয়েছে। এ ধরনের আগুন নেভাতে আছে আলাদা কেমিক্যালও।
সীতাকুণ্ডের আগুন নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বিএম কনটেইনারে লাগা আগুনকে প্রথমে সাধারণ আগুন মনে করা হয়েছিল। কর্মীরা কাজ শুরুর আগ পর্যন্ত জানতে পারেননি ভেতরে কী আছে। আগুন নেভানোর সময় কর্তৃপক্ষের কাউকেও পাওয়া যায়নি। যে কারণে কর্মীরা বেশি ঝুঁকিতে পড়ে গিয়েছিলেন।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন)-এর পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রেজাউল করিম বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশিক্ষিত সদস্য রয়েছে ফায়ার সার্ভিসে। কেমিক্যালের আগুনে প্রশিক্ষিত সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে। যেকোনও ধরনের আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের দক্ষতা রয়েছে। তবে আগুন লাগার সময় যথাযথ কর্তৃপক্ষ যদি আমাদের অবহিত করেন ভেতরে কী ধরনের বস্তু রয়েছে আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করতে পারি। তা না হলে আমাদের বড় ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স-এর ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক দিনমনি শর্মা বলেন, কেমিক্যালের জন্য স্পেশাল ইকুইপমেন্ট ব্যবহার করতে হয়। পুরান ঢাকার ক্ষেত্রেও আমরা প্রাথমিকভাবে বুঝতে পারিনি সেখানে কী ধরনের দাহ্যবস্তু ছিল। আমাদের জানানো হয়নি। যদি রাসায়নিক থেকে আগুন লাগে তবে সেটা বিবেচনায় নিয়েই কাজ করতে হয়।