বা আ॥ দু’দেশের মধ্যকার অর্থনৈতিক সম্পর্ক এগিয়ে নিতে বাংলাদেশকে নিয়ে একটি ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনীতি সম্পর্কিত যৌথ কমিশন করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বেলারুশ। সফররত বেলারুশের শিল্পমন্ত্রী ভিতালী ভোভক বুধবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ আগ্রহের কথা জানান। বৈঠকের পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বেলারুশের মন্ত্রীর আগ্রহের প্রতি সম্মতি জানিয়ে বলেন, আমরা একসঙ্গে বসে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আমাদের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার ক্ষেত্রগুলোকে কাজে লাগাতে পারি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আগামী দিনগুলোতে বেলারুশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রগুলোকে আরো বাড়াতে ইচ্ছুক। বেলারুশের মন্ত্রী এ সময় ভারি কৃষি যন্ত্রাংশ ব্যবহারে বাংলাদেশী শ্রমিক এবং প্রকৌশলীদের প্রশিক্ষণ প্রদানেও তাঁর আগ্রহের কথা জানান। তিনি এ সময় বাংলাদেশের এলজিআরডি মন্ত্রণালয় এবং বেলারুশের মধ্যকার যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশে ভারি যন্ত্রাংশের জন্য একটি সার্ভিস সেন্টার গড়ে তোলার উদ্যোগ সম্পর্কেও প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
তিনি বলেন, এ সেন্টারে প্রশিক্ষণ প্রদান ছাড়াও ভারি যন্ত্রাংশ সংযোজনের ব্যবস্থা থাকবে। বেলারুশ মন্ত্রী ভিতালী বাংলাদেশ ও বেলারুশের বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে এই সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরো শক্তিশালী হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন। বাংলাদেশকে একটি কৃষিভিত্তিক দেশ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের যান্ত্রিক কৃষিকাজ আরো বেশি করে রপ্ত করতে হবে। তাঁর সরকারের উদ্যোগে সারাদেশে একশ’র বেশি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার প্রসংগ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেখানে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় সকল সুযোগ-সুবিধা বিদ্যমান থাকবে।
দেশের শিক্ষাখাতের অগ্রগতি তুলে ধরতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার শিক্ষা খাতকে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করেছে। বর্তমান বিশ্বে যোগাযোগের গুরুত্ব তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল বিবিআইএন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এই অঞ্চলের জনগণের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেলারুশ প্রদত্ত শ্রমিক ও প্রকৌশলীদের প্রশিক্ষণ এবং শিল্প স্থাপনে বেলারুশের যেকোন উদ্যোগকে বাংলাদেশ স্বাগত জানায়।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় তৎকালীন সৌভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে একীভূত বেলারুশের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতার কথাও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব সুরাইয়া বেগম এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আব্দুল মালেক উপস্থিত ছিলেন।