বৈশ্বিক সমীকরণের গোলক ধাধায় এখন বাংলাদেশ। এই ধাধায় উত্তীর্ণদের অগ্রগামীতায়ই আগামীর বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতা এমনকি নিশ্চয়তাও নির্ভর করছে। তাই বাংলাদেশকে এই সমীকরণে উত্তীর্ণ হওয়ার নানাহ জটিলতায় আবদ্ধ এখন সরকার। তবে এই সমীকরণে এবার নতুন করে যুক্ত হয়েছে আগামী নির্বাচন। তাই একটু কঠিন ও সময়ের তাড়নায় জটিল হিসেব নিকেশে এগুতে হচ্ছে সরকারকে। আর জনগন এবং সরকারের মধ্যে একটু ফারাকও তৈরী হয়েছে বিভিন্ন কারনে; তবে দল এবং সরকার ঐক্যবদ্ধ থাকলে ঐ সমীকরন মোকাবেলা সহজ এবং উৎরিয়ে গিয়ে আগামীর করনীয় স্থীর এমনকি লক্ষ্য অর্জনে সফল সুনিশ্চিত। তাই দলকে সরকার আলিঙ্গনে আবদ্ধ করাই এখন মূল বিষয়। সকল বিভেদ এবং ব্যক্তিস্বার্থ ত্যাগ করে বৃহৎ দলীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সময় এখন।
এই উত্তাল সময়ে আগুনে ঘি ঢালছেন কতিপয় সুবিধাভোগী এবং দেশ ও সরকার বিরোধী মহল। সবই দেখা ও জানা এমনকি চেনা। তবে তাদের মুখোশ উন্মোচন করে জাতিকে দেখিয়ে জাতিদ্বারা শায়েস্তা করে নতুন করে কোন ষঢ়যন্ত্র করার বিষদাত ভাঙ্গতে না পাড়াই সরকারের এমনকি দলের ও দেশবাসীর ব্যর্থতা। তাই আর কত এই ব্যর্থতার গ্লানী বহন করতে হবে! আমাদের সামনে কোন বিকল্প নেই তাই সকল ব্যার্থতার গ্লানি ঘুচিয়ে সামনে এগুতে হবে এমনকি সময়োচিত পদক্ষেপ নিয়ে কার্য সম্পাদন করতে হবে। এই জটিল সমীকরণে এসে হিসেব মিলিয়ে নিতে গিয়ে দাতে দাত পিষা ছাড়া আর কোন কিছু করার আছে বলে আমার মনে হয় না। তাই অতীতের সকল ভুলগুলি এবং করনীয় ঠিক করার ক্ষেত্রে দুর্বলতাগুলোকে চিহ্নিত করুন এবং ঐ চিহ্নিত বিষয়ের ফয়সালায় নতুন তড়িৎ পরিকল্পনা করে অগ্রসর হউন এবং সময়ে ও সুযোগে ব্যবহার করে অতিত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের ভুলের ইতি টানুন।
বিশ্ব মোড়লরা এখন যে ছুড়ি চালানোতে মনযোগী হয়েছে সেই ছুড়ি চালানোতে বুদ্ধিদৃপ্ত দেয়াল দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত করে তুলুন। আর দেশীয় দালাল শ্রেণী এমনকি সুবিধাভোগী লোভী শ্রেণী আর দেশ ও সরকার বিরোধীদের ঐক্যবদ্দ প্রচেষ্টায় জ্ঞানের ও চর্চার এবং সুদুরপ্রসারী পরিকল্পনার অম্লমধু মিশ্রিত এসিড নিক্ষেপ করুন। যাতে মধুর গন্ধে ও স্বাধে ঐ এসিড সকল ষড়যন্ত্রকে এমনকি নেতিবাচকতাকে পুড়িয়ে ছাড়খার করতে পারে। তবে এই ক্ষেত্রে কথা বলায় এমনকি বিভিন্ন পাবলিক প্লেসে পাবলিক ফিগার হিসেবে সুগন্ধিযুক্ত ইতিবাচক এমনকি উন্নয়নের কথা বলুন অথবা বর্তমানের মৌলিক প্রয়োজনকে গুরুত্ব দিয়ে বক্তব্য দিন। জনগণের প্রয়োজন ও চাহিদায় মনোযোগ দিন এবং জনঅকাঙ্খার কথা বলুন। কোনভাবেই নিজ নিজ পান্ডিত্ব জাহির করা বা জ্ঞান গরিমায় ভর করে জনবিচ্ছিন্ন হওয়ার মত আচরণ থেকে বিরত থাকুন। অহৎকার এবং দাম্বিকতা পরিহার করুন আর নিজ নিজ ভূলগুলোকে স্বীকার করে আরো সংযত হয়ে ভুল শোধরানোতে মনযোগী হউন।
বিশ্বমোড়লদের দেয়া ডরচালানের ১মটি বুদ্ধিমত্তা ও কুটনৈতিক দূরদর্শীতা দ্বারা উৎরানো গেছে এবং এর প্রশসংসার দাবিদার আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র সচিব। তবে এই বুদ্ধিমত্তার দ্বার উন্মুক্ত রেখে আগামির জন্য আরো গতিময়তা নিয়ে এশিয়া অঞ্চলের মোড়লদের রাজনীতির গোলক ধাধায়ও জিতে আসুন। চিন এবং ভারত এই দুইয়ের খুশীর ধারাবাহিকতা ধরে রেখে কাজ করুন। হিসেবে গড়মিল করার কোন সুযোগ আর অবশিষ্ট নেই। তবে খেয়াল রাখুন পশ্চিমাদের লোভাতুর দৃষ্টি এবং চক্ষুশুলে পরিণত হওয়ার উপকরণগুলোর দিকে। তাই সকলকে খুশি রাখার কাজে নিজেদেরকে ব্যতিব্যস্ত রাখুন। পশ্চিমা সমীকরণে সকলকে খুশি রাখা একটি জটিল কাজ কিন্তু এযাবতকাল যা অর্জন হয়েছে তার সবটুকুই সকল খুশিরই ফল। তাই আগামীতেও ঐ খুশির ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে পুর্বের চেয়ে আরো তীক্ষ্ণ ক্ষুরদার দুরদৃষ্টি ব্যবহার করুন।
জনআকাঙ্খা কি এবং এই জনআকাঙ্খায় কিভাবে কাজ করা যায় সেই দিকে মনযোগ দিয়ে অগ্রসর হউন। কাউকে ছোট না ভেবে বড়ং সবাইকে বড় ভেবেই নিজের কাজটুকু সুসম্পন্ন করুন। দেশের এই গরম হাওয়ায় ঠান্ডা ও শিতল বাতাস এর আভির্ভাব গঠিয়ে জনগনের আস্থা ও বিশ্বাসকে স্থিতিশীল করুন। নাভিশ্বাস উঠাদেরকে সুরক্ষা দিয়ে নিশ্চিত দিশায় পথ পারি দিতে সহায়তা করুন। সরকারের দেয়া দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করুন। সৎ, নির্ভীক, দক্ষ্য, যোগ্য, এই কথাগুলোকে নিজের জীবন ও কর্মের সঙ্গে যুক্ত করে নিজ নিজ কাজটুকু সম্পন্ন করুন। এখনও যে বৈশাদৃশ্য এবং জনআকাঙ্খার বিপরীতে এমনকি জনঅসন্তোষের পক্ষে কাজ হচ্ছে সেগুলোকে বন্ধ করুন। নতুবা আপনার কর্মের দ্বারা সরকারের এমনকি দেশের দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি হচ্ছে যে ক্ষতিতে আপনিও ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। তবে এখনই সময় ও সুযোগ এই অবস্থার উন্নয়ন ঘটিয়ে আস্থা ও বিশ্বাস এমনকি নির্ভরতার জায়গায় ফিরে আসার। আসুন দেশ মার্তৃকার তরে আমরা প্রত্যেকেই স্ব স্ব অবস্থানে থেকে এই কাজটুকু করি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেখানো ও শেখানো পথে নিজেকে নিয়োজিত রাখুন। এইসময়ে এসে নিজেথেকে অতিরঞ্জিত বা বেশীকিছু করার কোন প্রয়োজন নেই। বরং যেটুকু বলা এবং করার কথা সেটুকুই বলুন এবং করুন। দয়া করে আগামীর গলীশিলতায় এবং উন্নয়নে বাধা হয়ে দাড়াবেন না। বর্তমানে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার বিকল্প কেউ নেই এবং তাঁর অবর্তমানে দেশ পরিচালনায় দায়িত্ব নেয়ার মত কেউ হয়নি। আওয়ামীলিগ এবং বিরোধী সকল রাজনৈতিক অঙ্গনে এমনকি সাধারণেও কেউ নেই। তাই শেখ হাসিনাকে স্বসম্মানে স্বপদে রেখে দেশটাকে এগিয়ে নিতে সুযোগ তৈরীতে কাজ করুন। পক্ষান্তরে এও বলতে চাই যে, প্রতিটি রাজনৈতিক দলেই শেখ হাসিনা তৈরীতে মনযোগী হউন। তাহলে দেশ এগুবে এবং দেশের জনগণ পাবে, গতি, দিশা, এবং নিশ্চিত নিশ্চয়তা ও আশা-আখাঙ্কা পুরনের অভয়ারন্য। তাই নিজেদের ক্ষতি এবং দেশের ক্ষতি, দলের ক্ষতি, রাজনৈতিক অঙ্গনের ক্ষতি থেকে রক্ষার জন্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় স্ব স্ব ভুমিকা পালনে কবুতরের মত সরল এবং শাপের মত চালাক হউন। আবারো বলছি হামছে বড়া কোনহে এই ভাব ছাড়–ন। বিচার ও শাস্তির আওতায় আনতে এবং শাস্তি নিশ্চিত করতে পরিবেশ তৈরী করুন। জোড়পূর্বক অথবা ক্ষমতার ব্যবহার অথবা অপব্যবহার যাই বলুননা কেন এই অবস্থান থেকে বেড় হয়ে আসুন। নির্বাচন হচ্ছে এবং হবে কিন্তু এর মধ্যে কোন তৃতীয় ভাবনা যুক্ত করে সাংঘর্ষিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হওয়া থেকে বিরত থাকুন। জনসম্পৃক্ততা এবং নির্বাচনী কর্মকান্ডে আরো স্বচ্ছতা আনয়নে কাজ করুন। মিথ্যা ও ছলনায় পূর্ণ কথাবার্তা বলা থেকে বিরত থাকুন। সত্য এবং সততার উপর নির্ভর করেই আগামীর কল্যাণের জন্য অগ্রসর হউন। সত্যের নৌকা সাতবার ডুবলেও সাতবারই ভেসে উঠে কিন্তু মিথ্যার নৌকা ডুবলে আর ভেসে উঠে না। তাই মিথ্যার নৌকাকে ডুবন্ত অবস্থা থেকে ভাসানোর বৃথা চেষ্টা করবেন না। বরং সত্যের নৌকাকেই ভাসিয়ে রাখতে চেষ্টা অব্যাহত রাখুন। বর্তমানের এই গোলক ধাধা থেকে মুক্ত হতে সত্যকেই ব্যবহার করুন এবং সত্যের আবরণেই মুক্তির নিশ্চয়তা বিধান করুন। সৃষ্টিকর্তা (আল্লাহ) আমাদেরকে হেফাজত করুন এবং এই কঠিন পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে এসে জাতির কল্যানে নিয়োজিত থাকতে সহায়তা করুন। আপনার শিখানো ও দেখানো পথেই আমাদেরকে কল্যাণের তরে নিয়োজিত রাখুন।