প্রশান্তি ডেক্স॥ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কীভাবে অন্যায়-অত্যাচার-নিপীড়ন-নির্যাতন হচ্ছে, তা আপনারা সবাই জানেন। আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করছেন যে, আন্দোলনকে দমন করার জন্য সরকার কীভাবে ভয়ংকরভাবে কাজ করছে। তারা গণতন্ত্রের কথা বলে বিরোধী দলের সমাবেশে বাধা দিচ্ছে। বাস মালিকদের দিয়ে গণপরিবহন বন্ধ করেছে যেনো সমাবেশ বড় না হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘সমাবেশ বড় না হলে তাদের (সরকার) লাভটা কী হবে? তারা বলতে পারবে যে, বিএনপির সমাবেশ বড় হয়নি। তাতে কী হবে? মানুষের অন্তরের মধ্যে যে ক্ষোভ জমে আছে, প্রতিটি মানুষের মধ্যে যে ক্ষোভ বিরাজ করছে, তা কি ওরা মুছে দিতে পারবে? পারবে না।’
গত বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে এই ‘মৃত্যুকূপে ধাবমান বাংলাদেশ’ শীর্ষক স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন তিনি।
ফখরুল বলেন, ‘আর না। এখন সময় এসে গেছে যার যা শক্তি আছে, সেটি দিয়ে সমগ্র দেশের মানুষকে জাগিয়ে তোলা। আজকে জিয়া পরিষদের দায়িত্ব হবে এই গণজাগরণের কাজটি করা।’
অনুষ্ঠানে সাম্প্রতিক চলমান আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহতদের স্মরণে ‘পুস্তিকা’ প্রকাশ করে জিয়া পরিষদ। গত আগস্ট থেকে জ্বালানি তেল ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপি জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সভা-সমাবেশের কর্মসূচি করে। এসব কর্মসূচি পালনকালে ভোলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের আব্দুর রহিম, ছাত্রদলের নুরে আলম, নারায়ণগঞ্জে যুবদলের রাজা আহমেদ শাওন, মুন্সীগঞ্জে যুবদলের শহিদুল ইসলাম শাওন পুলিশের গুলিতে নিহত হয়।
বিএনপি সমর্থিত পেশাজীবীদের সংগঠন ‘জিয়া পরিষদ’ এর উদ্যোগে সাম্প্রতিককালে পুলিশের গুলিতে নিহতদের পরিবারের কাছে আর্থিক সহযোগিতার অর্থ তুলে দেন বিএনপি মহাসচিব। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মির্জা ফখরুল চলমান আন্দোলনে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাদের আত্মত্যাগকে শক্তিতে পরিণত করে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।
জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে ও জ্যেষ্ঠ মহাসচিব অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় অধ্যাপক এমতাজ হোসেন, অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান ফরহাদ, ছাত্রদলের সাইফ মাহমুদ জুয়েল, নিহত শহিদুল ইসলাম শাওনের বাবা ছোয়াব আলী ভুঁইয়া বক্তব্য রাখেন।