আগামীর বিশ্ব এবং বাংলাদেশ প্রসঙ্গটি একটু বেমানান কিন্তু ঘটনার পরিক্রমাই এখন এই বিষয়টিই যেন মানসপটে ঘোরপাক খাচ্চে। বাংলাদেশে নির্বাচন আসন্ন আর নির্বাচন আসলেই ঘাপটি মেরে বসে থাকা স্বার্থান্বেষীরা কচ্ছপের মত বের হয়ে আসে। তবে এই ক্ষেত্রে দ্রুতই তারা মত পাল্টায় এবং নিজের আখের গোছানোর জন্য দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক মহলে ধরনা দেয়। তবে থলের বিড়াল বেড় হওয়ার রেওয়াজ আছে এবং ছিল ও থাকবে। কিন্তু মুখ ফসকে স্বার্থন্বেষী মহলের আসল উদ্দেশ্য প্রকাশিত হয়। এই টালমাটাল উত্তেজনাই যেন নির্বাচন পূর্ব দেশ এখন মাতাল। তবে ঐ মাতালদের একটু নিজ জিবন, পরিবার, আত্মীয়স্বজনসহ সকলকে নিয়ে ভাবার সময় এখন। কি পাইবে, আর কিইবা দিতে হবে? কেনইবা ঐ মাতাল চক্রে নিজেকে নিয়োজিত করতে হবে। সাত-পাঁচ না ভেবে জড়িয়ে গেলে মহা বিপদে পড়তে হয়। যা মোকাবিলা করার কোন সামর্থ এবং সুযোগ অবশিষ্ট থাকে না। বিপদে কেউ কাকে কখনও সহায়তা করেনি এবং করবেও না; বরং লোক দেখানো অংশটুকু সম্পন্ন করেই দায় খালাস নিয়ে নিশ্চুপ হবে। এই নিয়মেই এখনও পর্যন্ত চলে আসছে এবং আগামীতেও চলবে। এই বাস্তবতার স্বিকার আমি ও আপনি তবে অচিরেই আপনারা হবেন।
গত যুব সম্মেলনগুলোতে মানুষের কিই না দুর্ভোগ; তবে ছুটির দিনে হলে ভাল নইলে নিজেদেরই সমর্থক হারানোর ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে। ঐদিন অফিস চলাকালীন বিএনপির যুব সমাবেশ বেশ বেকায়দায়ই ফেলেছিল মানুষজন এবং যানবাহনকে। তবে যারা ঐ যুবাদের কবলে পড়েছিল তাড়া ছাড়া আর অন্য কেউই ঐ দুর্ভোগের ত্রিশঙ্কু যন্ত্রনা উপলব্দি করতে পারবেন না; এমনই একজন ভোক্তভোগী টানা ২ঘন্টা ঐ দুর্ভোগে গাড়িতে বসে কাটিয়েছেন এবং গাড়ির মাঝে যুবাদের কিল-ঘুষি ও বিভিন্ন স্ল্যাং এর ভারী আঘাতে জর্জরিত হয়েছেন। কিই লাভ হয়েছে ঐ যুবাদের সমাবেশ থেকে; আমার মনে হয় ঐ লাভের খাতায় শুন্যই রয়েছে বরং জনঅসন্তোষ একটু বেশী বৃদ্ধি পেয়েছে। আর ঐ যুবাদের দেখে মনে হচ্ছে যেন তারা কোন যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে এবং ঐ যুদ্ধে জয়ী না হয়ে ফিরতে আর কোন সুযোগ অবশিষ্ট নেই। আমার আরো মনে হয়েছে ঐ যুবাদের নিয়ন্ত্রণ কেউই আর করতে পারবে না বরং তারা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদের কিনারায় কাতরাবে অথবা অন্যদেরকে খাদের কিনারায় নিয়ে কাতরাতে বাধ্য করবে। এইখানেই আমি কামনা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সুবুদ্ধি। সুবুদ্ধির ডাক ও সুবচন ফিরে এসো এই বাক্যের বাস্তবায়ন ও দৃশ্যমানতা দেখতে খোদার সহায়তা কামনা করছি।
দেশীয় স্বার্থপর ও লোভী শ্রেণীর সঙ্গে বিদেশী স্বার্থান্বেষী মহলও এখন একটু মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। যেন এখন সুযোগ নিজেদের করায়ত্ব করার। তাই এই সময়টুকু সাবধান! বিভিন্ন মাধ্যমে দৃশ্যমান যে, দেশী বিদেশী চক্রান্ত এখন জোরে শোরে বইছে। তবে এই চক্রান্ত ভেদ করে ভোরের সুর্য এবং শান্তির নির্যাস ও নিশ্চয়তার বানী আর নিরাপত্তার চাদর অবৃত্ত হউক সমগ্র দেশেই। দেশবাসী যেন নিশ্চিন্তে ঐ মাতাল এবং মাতলামীর কবল থেকে রক্ষা পেয়ে আগামীর উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি চলমান রেখে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের আবরণে বসবাস করে যেতে পারে। তবে এই চক্রান্ত মোকাবিলা করা কঠিন এবং এইখান থেকে বের হতে পারলেই বিশ্ব নিবে শিক্ষা ও দিক্ষা। বাংলাদেশ হবে তাদের জন্য শিক্ষার ও দিক্ষার উপকরণ। এই লেছনে শুরু হবে নতুন নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা। তাই এখন দেখার ও বুঝার বিষয় হয়ে ঐ দুইয়ের মোকাবিলায় উর্ত্তির্নের পথ ও পরবর্তী পদক্ষেপ। ঐ লোভাতুর স্বার্থান্বেষীদের কাছে মানুষের জীবন ও মান এর কোন মূল্যই নেই। যেন এক নিমিষে তাদের প্রয়োজনে সবাইকে নিথর দেহে পরিণত করতে পারে এবং করেও যাচ্ছে। তবে এই ক্ষেত্রে সৃষ্টিকর্তার কাছে মানুষ মূল্য ও মর্যাদায় উচ্চমূখী। তিনি সবাইকে সমান দেখেন এবং সম্মান করেন। তাঁর ছিফতে (সুরুতে) সৃষ্টি মানুষকে তিনি নি:স্বার্থ্যভাবে ভালবাসেন। তিনিই বলেছেন যে, তোমরা মানুষ হত্যা করো না; মানুষ হত্যা করলে আমাকেই হত্যা করা হয়। সৃষ্টিকর্তা মানুষের হৃদয়ে বসবাস করেন। সৃষ্টিকর্তার বসবাসের ঘর হলো মানুষের হৃদয় বা অন্তর। তাই হৃদয় বা অন্তরকে পরিস্কার করুন আর পবিত্র রাখুন।
সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা আগামীর বিশ্ব হউক তাঁর অভিপ্রায়ের। সততা ও ন্যায় পরায়তনার, শান্তির, আনন্দের, নিশ্চয়তার, নিরাপত্তার; মোটকথা পাপহীন এক নিঝঞ্জাল বসবাসযোগ্য অভয়ারন্য। কিন্তু ঐ শয়তানের দোসরগণ সৃষ্টিকর্তার অভিপ্রায়ের বিরুদ্ধে মরনপন যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে। তাই আপনি ও আমি সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে সহবস্থানের আলোকে তাঁর সাহায্য ও সহযোগীতা নিয়ে এই আগামীর বিশ্বকে রূপদান করি বেহেস্তি আবরণে। যেন নতুন প্রজন্ম এসে নিষ্কলুষ এক অভয়ারণ্যে নিরানন্দে বসবাস করে সৃষ্টিকর্তার গুনগান প্রকাশ করতে পারে। সমস্ত গৌরব ও প্রশংসা তাঁর আর তাঁরই চরণে আমরা সকলে মাথানথ করে আমাদের স্ব স্ব দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে সচেষ্ট থাকি। তবে এই যুদ্ধ শয়তানের সঙ্গে সৃষ্টিকর্তার তাই আমরা যারা সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে যুক্ত হয়ে যুদ্ধ করছি আমাদের ভয় নেই এমনকি হারানোরও কিছু নেই। কারণ আমরা সবই পেয়েছি বরং এখন দেয়ার জন্য বিতরণ কাজে লিপ্ত রয়েছি। আমাদের জীবনের শেষ প্রাপ্তি বেহেস্ত যা পেয়েছি এবং মৃত্যুর সাথে সাথেই সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে বসবাস শুরু হবে। এখনও সৃষ্টিকর্তার সঙ্গেই বসবাস করে যাচ্ছি আর আগামীতেও চিরস্থায়ীভাবে করব।
বিশ্ব নীতি ও চোখ রাঙ্গানোতে এখন বাংলাদেশ একটি কাবু; কারণ সামনে নির্বাচন। তবে এই চোখ রাঙ্গানোতে আর বেশীদিন নতশীরে চুপ থাকতে হবে না। এই বিশ্ব পরিস্থিতি সামাল দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার যে সকল সমুহ সুযোগ রয়েছে তার সবকটিতেই বাংলাদেশ অগ্রগামী এবং বিশ্ব মোড়লগণ বাংলাদেশকে নিয়ে না খেলে বরং বাংলাদেশের সমর্থন ও বাণিজ্যিক সহযোগীতা নিয়ে অগ্রসর হতে মনযোগী। তবে স্বার্থান্বেষী মানুষজনদেরকে সামান্য সময় ব্যবহার করে ওদের ফায়দাটুকু খাসিলে মনযোগী হয়। স্বার্থান্বেষী মহলকে কোনভাবেই ক্ষমতায় বা সুযোগ করে দিতে বিশ্ব মোড়লগণ এখন আর ভাবেন না। তাই অন্যের লাভের নিমিত্ত্ব হতে আর মাতলামী না করাই ভাল। ছাগলের তৃতীয় বাচ্ছার দশায় লাফালাফি করে কিইবা লাভ! আসুন আমরা নিজেদের নিয়ে ভাবি, পরিবার নিয়ে ভাবি, সমাজ ও আত্মীয় পরিজন নিয়ে ভাবি। নিজেদের প্রয়োজনের যোগান দিতে সততার সহিত চেষ্টা করি এবং অন্যের ব্যক্তি লাভের নিমিত্ত্বে নিজেকে বিলিয়ে না দেয়। যুবক, তরুন, বৃদ্ধ এবং সর্বস্তরের জনতার এই একটাই কাজ এখন সম্মুখসমরে “ যা সত্য যা উপযুক্ত যা সৎ যা খাঁটি যা সুন্দর যা সম্মান পাবার যোগ্য, মোট কথা যা ভাল এবং প্রশংসার যোগ্য সেইদিকে তোমরা মন দাও।” হ্যা এই হউক আমাদের সকলের চাওয়া ও পাওয়া এবং দৃশ্যমান বাস্তবতা।
বিশ্ব দরবারে পরিবর্তনের হাওয়া বইয়ে দিতে গিয়ে আমরা যেন খেই হারিয়ে না ফেলি বরং প্রত্যয়ী মনোভাবে বিজয়ী চেতনায় এবং নিশ্চয়তার শতভাগ উপভোগে কার্যকর ভুমিকা রাখি। তবে সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে যেন আমরা তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে সামনে অগ্রসর হই। সৃষ্টিকর্তা আমাদের আগে আগে চলছেন এবং আমরা তাঁর পিছনে অগ্রসর হয়ে কার্যসম্পাদনকারী হিসেবে দৃশ্যমান থাকছি। যেমনিরূপে, মূছা, ইব্রাহীম, ইসহাক, ইয়াকুব, দায়ূদ, বাদশা সোলাইমানসহ অন্যান্যরা অগ্রসর হয়েছিলেন। শেষে হযরত ঈসা একজন মানুষ হিসেবে জীবনের বাস্তবতা দেখিয়েছেন এবং শিখিয়েছেন আর একইসঙ্গে একজন মানুষ ও সৃষ্টিকর্তার যৌথ কার্য তিনি দেখিয়ে গেছেন। এখন বক্তব্য হলো আমাদের উচিত মনুষ্য ঈসা ও খোদায়ী ঈসা এই দুইয়েরই সংমিশ্রন হয়ে আগামী পৃথিবীর জন্য কায্য সম্পাদন করা। সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছাও তাই। তিনি সকল রাজনীতির উর্দ্ধে উঠে মানবতা, সততা এবং ন্যায়পরায়নতার জন্য কাজ করছেন। ক্ষমা ও ভালবসার পসরা দিয়ে তিনি সকলকে জয় করে নতুন বিশ্ব উপহারে কাজ করছেন। আসুন আমরাও যুক্ত হয় ঐ সৃষ্টিকর্তার ঐকান্তিক ও একমাত্র শেষ কাজটুকু সমাপ্তকরণের লক্ষ্যে। জয় আমাদের হবেই হবে।