ফরিদ উদ্দিন॥ সাউথ এশিয়া স্যাটেলাইট এই অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাউথ এশিয়া স্যাটেলাইটের সফল উৎক্ষেপণ শেষে ভিডিও কনফারেন্সে ভারত, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের সরকার প্রধানদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন। শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে বলেন: দদুই দেশ এবং অঞ্চলকে সংযুক্ত করতে বাংলাদেশ ও ভারত একসঙ্গে অনেক সফলতা অর্জন করেছে। আমি নিশ্চিত যে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার চিত্রপট পরিবর্তিত হয়ে যাবে। এর মাধ্যমে, আমাদের যোগাযোগ ভূমি, পানি এবং বাতাসের পরিধি থেকে এখন মহাকাশ পর্যন্ত বিস্তৃত হলো।
তিনি আরও বলেন, আমি নিশ্চিত যে এই সহযোগিতা এই অঞ্চলের প্রযুক্তিগত দিক সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাবে। দক্ষিণ এশিয়ার স্যাটেলাইট এই অঞ্চলের সহযোগিতার এক নতুন দিগন্ত খুলে দেবে বলেও আমি বিশ্বাস করি।’ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজকের দিনটিকে এ অঞ্চলের জন্য ঐতিসাহিক মন্তব্য করে বলে: ‘আমরা যোগাযোগ এবং সৌহর্দ্যের নতুন যুগে প্রবেশ করালাম। ভারত তার কথা রেখেছে। সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরী স্যাটেলাইটটি এ অঞ্চলের ১.৫ বিলিয়ন মানুষের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার আনার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবে। আমরা আবারও একত্রিত হয়েছি। একত্রিত হয়ে কাজ করলে আমাদের অর্জনটা আরও বড় হবে। ’
সাউথ এশিয়া স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে ব্যয়ের ৪০ কোটি ডলারের পুরোটাই বহন করেছে ভারত। স্যাটেলাইটটি থেকে ১২টি ট্রান্সপন্ডারের মধ্যে একটি বিনামূল্য পাচ্ছে বাংলাদেশ। যেটি ইচ্ছে মতো ব্যবহারের সুযোগ থাকছে। বাংলাদেশ সময় (গত) শুক্রবার বিকাল ৬টায় ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের নিজস্ব রকেট জিএসএলভি-এফ০৯ এ করে স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা হয়।
এই স্যাটেলাইট থেকে দক্ষিণ এশিয়ার সদ্য রাষ্ট্র গুলো টেলি মেডিসিন, টেলি শিক্ষা, আন্তঃসরকার নেটওয়ার্ক, দুর্যোগ পরিস্থিতিতে জরুরি যোগাযোগ, টেলিভিশন ব্রডকাস্ট, ডিটিএইচ টেলিভিশন সেবায় সুবিধা পাবে। স্যাটেলাইটের নাম প্রথমে সার্ক স্যাটেলাইট ঠিক করা হলেও পাকিস্তান না আসায় নাম বদলে রাখা হয় সাউথ এশিয়া স্যাটেলাইট।