ভজন শংকর আর্চায, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়যি়া) প্রতনিধি॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবায় দিন দিন বাড়ছে ঘন কুয়াশা ও শীতের তীব্রতা। সীমান্তবর্তী এই উপজেলায় বেশ কয়েকদিন যাবত বইছে সত্য প্রবাহ। সন্ধ্যার পরই শুরু হয় শীতের তীব্রতা। রাগ যত গভীর হয় ততই বাড়তে থাকে হালকা বৃষ্টির ন্যায় কুয়াশা। সকাল দশটার আগে দেখা যায় না সূর্যের মুখ। কনকনে শীতে ভোগান্তিতে পড়ছে নিম্ন আয়ের মানুষ। রাতের বেলায় সম্ভবত ৮/৯ মধ্যে উঠা নামা করতে থাকে তাপমাত্রা। কারণে সড়কগুলোতে গাড়ি চলাচলের সময় ১০ হাত দূরেই কিছু দেখা যায় না। সকাল ১০টার পর সূর্যের দেখা মিললেও রোদে নেই উত্তাপ। শেষ মুহূর্তে কিছু এলাকায় আমন চাষিরা ধান নিয়ে পড়েছেন বিপাকে।
ঘন কুয়াশার কারণে শিশু ও বৃদ্ধদের মধ্যে দেখা দিচ্ছে ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগ। সকালে ঘুম থেকে মানুষ উঠলেও সারাদিনই শীতের কাপড় জড়িয়ে রাখতে হচ্ছে। অভিভাবকরা বেশি উদ্বিগ্ন ভোরে শুরু হওয়া কিন্ডারগার্ডেন স্কুলগুলোতে শিশুদের নিয়ে যেতে হচ্ছে এই ঘন কুয়াশা ভেদ করে। রোগের ভয়ে অনেক অভিভাবক ছোট ছোট বাচ্চাদের ভোরবেলায় স্কুলে পাঠাতে সংকট বোধ করছেন।
আজ ঘুরে দেখা যায় রাস্তাঘাট একপ্রকার ফাঁকা পেটের তাগিদে কয়েকজন শ্রমিক কাজে যাচ্ছেন আগের মত দল বেধে আসতে দেখা যায় না সন্ধ্যা থেকে পরদিন সূর্য উঠার আগে পর্যন্ত প্রচন্ড শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে কুমিল্লা- সিলেট মহাসড়ক থেকে শুরু করে উপজেলা সকল সড়কি বাতি জ্বালিয়ে গাড়ি চালালেও ১০ হাত দূরেই অপর প্রান্তের গাড়িটিকে দেখতে কষ্ট হচ্ছে। হেড লাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া যাত্রীরা মনে একপ্রকার ভয় নিয়ে যানবাহনে চলতে হচ্ছে। যানবাহনগুলো রাত এবং সকাল বেলাতেও বাতি এবং হর্ণ বাজিয়ে চলতে হচ্ছে। কুমিল্লা- সিলেট মহাসড়কে প্রায়ই গণ কুয়াশার কারণে ট্রাক উল্টে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে।
সি এনজি চালক জাকির হোসেন জানান রাতের বেলায় বেশি ভাগ সময় প্রসূতি রোগী নিয়ে যেতে হয় জেলা শহরে। ইদানিং রাতের বেলা ঘন কুয়াশার কারণে ৪০ মিনিটের রাস্তা যেতে প্রায় দুই ঘণ্টা সময় লেগে যায়। ৫ হাত দূর থেকেও অপর প্রান্তের গাড়িতে দেখা যায় না খুব ভয় নিয়ে চলতে হয়।
বায়েক গ্রামের কৃষক জলিল মিয়া জানান কয়েক দিনের মধ্যেই শুরু হবে বোরো আবাদের কাজ। বীজতলা তৈরি নিয়ে চিন্তায় আছি। বীজ ফেলার পর এভাবে কুয়াশা বা শৈত্য প্রবাহ থাকলে বীজ নষ্ট হয়ে যাবে।। ব্যাহত হবে বোরো আবাদ। কুয়াশা এবং প্রচন্ড শীতের কারণে কাজের লোক পাওয়া যাচ্ছেনা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার অরূপ পাল জানান এমন প্রচন্ড শীত ও সত্য প্রবাহের মতো কুয়াশার কারণে বৃদ্ধ এবং শিশুরা ঠান্ডজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। প্রতিদিনই নিউমোনিয়া, এজমা, এলার্জি সহ বিভিন্ন ঠান্ডা জড়িত রোগের আক্রান্ত রোগী আসছে চিকিৎসা নিতে। এ সময়টাতে বৃদ্ধ ও শিশুদের খুব কেয়ার করতে হবে।